সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

পিঁয়াজের ঝাজ যে কারণে বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৫:১৪ পিএম, আগস্ট ২৪, ২০১৫
একুমে সংবাদঃ ভারত পিঁয়াজের দাম (রফতানির জন্য রাখা) বাড়িয়ে দেয়ায় বাংলাদেশের বাজারে দাম আরো বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ভারতে ভয়াবহ বন্যার কারণে এবার উত্পাদন কিছুটা কম হওয়ায় রফতানি নিরুত্সাহিত করতে সেদেশের সরকার মূল্য বাড়িয়েছে। জানা গেছে, ভারত রফতানির ক্ষেত্রে পিঁয়াজের দাম প্রতি মেট্রিক টনে ২৭৫ মার্কিন ডলার বাড়িয়েছে। এর আগে প্রতি মেট্রিক টন পিঁয়াজের রফতানি মূল্য ছিল ৪২৫ মার্কিন ডলার। গতকাল তা বাড়িয়ে ৭০০ মার্কিন ডলার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশের দেশীয় বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। আর দেশীয় পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারত পিঁয়াজের দাম বাড়ানোয় দেশীয় বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ঢাকায় প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, উত্পাদন কম হওয়ায় এমনিতেই পিঁয়াজ নিয়ে ভারতীয় বাজারে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। এজন্য সরকার পিঁয়াজ রফতানি নিরুত্সাহিত করছে। এছাড়া বাজার পরিস্থিতির দিকে কড়া নজরও রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ভারত সরকার সর্বশেষ চলতি বছরের ২৬ জুন রফতানির ক্ষেত্রে পিঁয়াজের দাম বাড়িয়েছিল। তখন প্রতি মেট্রিক টন পিঁয়াজের মূল্য ২৫০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ৪২৫ ডলার করা হয়েছিল। এদিকে নির্ধারণ করা নতুন দামে পিঁয়াজ বিক্রির জন্য ভারত সরকার আগামী ২৭ আগস্ট দরপত্র আহ্বান করবে। এর মাধ্যমে ১০ হাজার মেট্রিক টন পিঁয়াজ বিক্রি করা হবে। জানা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ভারতে মোট পিঁয়াজ উত্পাদন হয়েছিল এক কোটি ৯৪ লাখ মেট্রিক টন। এবার উত্পাদন হয়েছে এক কোটি ৮৯ লাখ ২৩ হাজার মেট্রিক টন। ভারত সরকার মনে করছে, অবাধে পিঁয়াজ রফতানি করলে তাদের বাজারে অস্থিরতা বাড়বে। প্রসঙ্গত বাংলাদেশে যে পরিমাণ পিঁয়াজ উত্পাদন হয় তা দিয়ে চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না। প্রতিবছর ঘাটতির তিন লাখ মেটিক টন পিঁয়াজ আমদানি করতে হয়। ভারতে উত্পাদন কম হওয়ায় এবার আমদানিকারকরা মিয়ানমার থেকে পিঁয়াজ আমদানি বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সেটি এবার ২২ হাজার মেট্রিক টন হতে পারে বলে জানা গেছে। কাঁচা মরিচের কেজি ২২০ টাকা ঢাকার বাজারে এখন কাঁচা মরিচ যেন মহার্ঘ্য। নিম্নধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে এর দাম। কাঁচা মরিচের ঝালে এখন আগুনের উত্তাপ। দাম বাড়ছে হুহু করে। মানুষ পড়েছে বিপাকে। কাওরান বাজারের আড়তদাররা দাবি করছেন, কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে মরিচের গাছ মরে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যে এলাকায় ক্ষেত জলমগ্ন হয়নি সেখান থেকে আসছে মরিচ। বৃষ্টি না কাটলে দাম কমবে না। ক্রেতারা বলছেন, একথা মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের বাড়িয়ে বলা। কারণ এক সপ্তাহ আগেও যেখানে প্রতি কেজি মরিচ ৫০ টাকায় বিকিয়েছে সে কি পাগলা ঘোড়া হলো। লাফিয়ে লাফিয়ে প্রতি কেজি ২২০ টাকা হয়েছে। খুলনার একজন মরিচ চাষি আব্দুল্লাহ জানান, অতি বৃষ্টির কারণে অনেকের মরিচসহ সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে মরিচের দাম বেড়েছে। তারা পাইকারী আড়ত্দারদের কাছে কাঁচামরিচ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। তারা ঢাকায় এনে দাম বাড়াচ্ছে ইচ্ছে মত।     একুশে সংবাদ ডট কম/আলম গীর হােসনে/ ২৪.০৮.২০১৫

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1