সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

এসআর মৃত্যুর দরজা থেকে ফিরলেন-আটক ১

প্রকাশিত: ০১:৫৯ পিএম, আগস্ট ৪, ২০১৫
কক্সবাজার প্রতিনিধি : প্রাণে বাঁচার তাগিদ গভীর জঙ্গল, ঘোর অন্ধকার ও অপহরণ চক্রের অস্ত্রের চোখ রাঙানীও আটকাতে পারেনি অপহরণের শিকার ঔষধ কোম্পানীর এসআর মোহাম্মদ এমরানুল হককে। জীবন বাজি রেখে দুর্ধর্ষ অপহরণ চক্রের চোখকে ফাঁকি দিয়ে গুলিবর্ষণের মুখে ঘোর অন্ধকারে পালিয়ে ভোররাতে লোকালয়ে ফিরেছে আহতাবস্থায়। ৪ আগষ্ট মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে এক মহিলা কাঠুুরিয়ার সহায়তায় ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়ায় পৌছে অপহরনের শিকার যুবক। সে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর বড় মহেশখালী ইউনিয়নের নিচ তালুকদার পাড়ার কামাল পাশার ছেলে এবং ঔষধ কোম্পানী ক্যামিকো ফার্মাসিউটিক্যালের এসআর। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও পুলিশের আইসি মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়ার নেতৃত্বে পুলিশদল তাকে উদ্ধার করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায়। এদিকে এ যুবকের উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে তাকে দেখতে ও তার পালিয়ে আসার কাহিনী জানতে লোকজন ও স্বজনদের তদন্ত কেন্দ্র এলাকায় ভিড় করতে দেখা গেছে। উদ্ধার হওয়া যুবকের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত সোমবার দুপুরের দিকে সিএনজি যোগে অপর যাত্রীদের সাথে সেও পার্বত্য বাইশারী বাজার থেকে ঈদগাঁওতে ফিরছিল। এমতাবস্থায় ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের ঈদগাঁও হিমছড়ি ঢালায় পৌছামাত্রই ১০/১৫ জনের মুখোশধারী সশস্ত্র অপহরণচক্র সিএনজির গতিরোধ করে তাকেসহ ৩ জনকে অপহরণ করে গভীর জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরে তাদের কাছে থাকা সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে হাত-মুখ বেঁধে বেধড়ক মারধর ও মুক্তিপণের জন্য স্বজনদের কাছে মোবাইলে ফোন করায়। পরে পৃথক অপর ৩ জনের একটি দলকেও অপহরণ করে তাদের থেকে একটু দূরবর্তী স্থানে রাখে চক্রটি। এমতাবস্থায় গভীর রাতে উক্ত চক্র ঈদগাঁও থেকে একটি গাড়ী বাইশারীর দিকে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে ঐ গাড়ীটি ডাকাতির জন্য তাদেরকে সহ নিয়ে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির জন্য অবস্থান নেয়। ঐ গাড়ীটি পৌছামাত্রই হানা দেয়ার পরপরই অপহরণচক্রের সদস্যরা পুলিশ ধারণা করে পালিয়ে হাতমুখ বাঁধা অবস্থায় তাদেরকে নিয়ে দিকবিদিক লাফ দিতে শুরু করে। এ সুযোগে ইমরান অন্ধকারের মধ্যে অপহরণচক্রের চোখকে ফাঁকি দিয়ে পেছনে সটকে পড়ে। এক পর্যায়ে দুই পাহাড়ের মাঝখানের একটি পাহাড়ী পানি চলাচলের ঝিরিতে পড়ে যায়। অস্ত্রধারী ডাকাতরা অন্ধকারে টর্চলাইট জালিয়ে তাকে দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুজির পরও না পেয়ে সম্ভাব্য স্থানে ৩ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এভাবেই ভোর সাড়ে ৬টা পর্যন্ত গহীন জঙ্গলে তাকে খোঁজতে থাকে। যে ভয়ানক দৃশ্য সে ঝিরি থেকে পাহাড়ের দুই চূড়ায় অবস্থান নেয়া অস্ত্রধারী ডাকাতদের সচক্ষে দেখতে পায়। না পেয়ে তারা সকাল ৬টার দিকে স্থান ত্যাগ করলে আহত এমরান কোনরকম পাহাড়ী পথ বেয়ে সড়কের গজালিয়ার কাছাকাছি পৌছলে জঙ্গলে কাজ করতে যাওয়া এক মহিলাকে দেখতে পায়। পরে ঘটনা খুলে বললে মহিলাটি যুবককে স্থানীয় দোকানে পৌছে দেয়। সংবাদ পেয়ে লোকজনদের সহায়তায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। তার সাথে অপহরণের শিকার অপর ২ জনের বিষয়ে জানতে চাইলে জানায়, এর মধ্যে ১জন বৃদ্ধ হওয়ায় রাত ১২টার দিকে মারধর পূর্বক তাকে ছেড়ে দেয়। তবে অপরজনের ভাগ্যে ঘটেছে তা জানাতে পারেনি। উদ্ধার হওয়া যুবককে জিম্মায় নিতে তদন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করছে তার পিতা কামাল পাশা, আত্মীয় সাহাব উদ্দীন ও কোম্পানীর ডিপো কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হাকিম। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়া অপরাধীদের অবস্থান ও অপর অপহৃতকে উদ্ধারে তথ্য উপাত্ত জানার চেষ্টা করছে। উদ্ধার না হওয়া যুবক হচ্ছে বাইশারী ইউনিয়নের দক্ষিণ বাইশারী গ্রামের মাষ্টার আবদুল মোনায়েমের ছেলে মাহবুবুর রহমান (২৩)। এদিকে পুলিশ গতকাল দিনেও রাতে অপহৃতদের উদ্ধারে বিরামহীন অভিযান পরিচালনা করে। এসময় সন্দেহভাজন অবস্থায় পাহাড়ী এলাকায় ঘুরাফেরাকালে আবুল কালাম, পিতা-আবদু শুক্কুর, সাং- গজালিয়া, ইসলামাবাদ নামের এক যুবককে আটক করেছে। তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে একাধিক ডাকাতি ও অপহরণ মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই অপহরণচক্রের রহস্য উদঘাটন হতে পারে বলে ধারণা করছে। একুশে সংবাদ ডট কম/ মো:আরিফ মুনসী/০৪/০৮/১৫

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1