একুশে সংবাদ : বাংলাদেশ পুলিশের সব স্তরে নিয়োগকৃত নতুন সদস্যদের সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রশিক্ষিত করা হবে। কারিগরি সহায়তার জন্য নিয়োগ দেয়া হবে কিছু সাইবার বিশেষজ্ঞও।   সোমবার দুপুরে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।   সভায় আইজিপি বলেন, ‘দেশের ইমিগ্রেশন, অপরাধ উদঘাটন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জাতিসংঘের আওতায় বাংলাদেশ পুলিশ দক্ষতার সাথে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। সেই অভিজ্ঞতাকে সারাদেশের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনায় ছড়িয়ে দিতে হবে।’   তিনি বলেন, ‘এক সময়ের ধারালো অস্ত্রের জায়গায় আগ্নেয়াস্ত্র এসেছে। এখন নানা অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের বেশকিছু সদস্য রয়েছেন যারা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তিগত অপরাধ নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। অপরাধ প্রতিরোধ, উদঘাটন এবং নিয়ন্ত্রণে যুগোপযোগী প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং বিশেষ জ্ঞান অর্জনের জন্য সব পুলিশ সদস্যের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তিনি স্টিয়ারিং কমিটিকে নির্দেশ দেন।’   সভায় জানানো হয়, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ই-ট্রাফিকিং প্রসিকিউশন, অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, স্পেশাল ব্রাঞ্চের ইমিগ্রেশন সার্ভিস, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নিয়োগ, টেন্ডার, কর্মকর্তাদের ই-মেইল ও ফোন নম্বর ইত্যাদি সুবিধা চালু রয়েছে। অনলাইন জিডি চালুকরণ প্রক্রিয়াধীন। এছাড়াও স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে অপরাধীচক্র চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।   বর্তমানে রাজারবাগে আইসিটি প্রশিক্ষণ স্কুলে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদাসহ অন্যান্য পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।   সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. মোখলেসুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি (অর্থ ও উন্নয়ন) মো. আবুল কাশেম এবং অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) মো. মইনুর রহমান চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।       একুশে সংবাদ ডটকম/শান্ত/২৭.০৭.০১৫