সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

আইএস বাংলাদেশি পরিবারটিকে আটকে রেখেছে

প্রকাশিত: ০২:০৩ পিএম, জুলাই ১৪, ২০১৫
  একুশে সংবাদ : ইংল্যান্ডের লুটন শহরের ১২ সদস্যের ব্রিটিশ-বাংলাদেশি পরিবারটিকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিরা আটকে রেখেছে বলে দাবি করেছেন পরিবারটির বয়োবৃদ্ধ সদস্য আবদুল মান্নানের ছেলে সেলিম হোসেন। ব্রিটেনের আইটিভি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, তার পরিবারের সদস্যদের কৌশলে ফাঁদে ফেলে সিরিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ১২ সদস্যের এই পরিবারটি গত ১০ এপ্রিল বাংলাদেশে বেড়াতে আসে। এখান থেকে তুরস্ক হয়ে তাদের ফিরে যাওয়ার কথা ছিল মে মাসের মাঝামাঝি। কিন্তু ১১ মে তুরস্কে নামার পর থেকে পরিবারটির আর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। বাংলাদেশে রওনা হওয়ার আগের দিন এই পরিবারের লুটনের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছিল সন্ত্রাস দমন আইনের আওতায়। এই পরিবারের মেয়ে ২১ বছর বয়সী রাজিয়া খানুম নিষিদ্ধ ইসলামী গোষ্ঠী ‘আল-মোহাজিরুনের’ সদস্য বলে মনে করা হয়। এরপর গত সপ্তাহে হঠাত্ আবদুল মান্নানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পরিবারের পক্ষে আইএসের দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, পরিবারটি ‘অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে নিরাপদ’ রয়েছে এবং পরিবারের ১২ সদস্যই আইএসে যোগদান করেছেন। কিন্তু আইটিভি নিউজকে সেলিম জানান, তার পিতাকে জোর করে একটি গাড়িতে তোলা হয় এবং ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে সিরিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সিরিয়া থেকে টেলিফোনে কথা বলার সময় তার পিতা ভীষণ কান্নাকাটি করছিলো বলে জানান তিনি। সেলিম বলেন, ঘটনার দিন তার পরিবার ইস্তাম্বুলে ছিলো। এ সময় তাদের হোটেল কক্ষে একদল অজ্ঞাত ব্যক্তি পাসপোর্ট যাচাই করতে যায়।   এরপর একে একে ওই পরিবারের ১০ সদস্যকে হোটেল ভবনের নিচে নামানো হয়। সেলিম জানান, ওই ব্যক্তিরা আবদুল মান্নান ও তার স্ত্রীকে সন্তান ও নাতি-নাতনীদের ছাড়াই ব্রিটেনে ফিরে যেতে বলে। কিন্তু তারা রাজি হননি। এরপর ১২ জনকে দু’ভাগে হোটেলের বাইরে অপেক্ষমাণ দুটি গাড়িতে ওঠানো হয়। আইএস সদস্যদের মতো পিতা কেন ছবিতে একটি আঙুল প্রদর্শন করছেন? আইটিভি নিউজের সম্পাদকের এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিম বলেন, তার পিতা আইএসকে সমর্থন জানাননি। বরং এটা আইএসের প্রোপাগাণ্ডা। তিনি দাবি করেন, তার কোন ভাইবোনের মধ্যে মৌলবাদে জড়িয়ে পড়ার কোন লক্ষণ কখনোই দেখেননি এবং তারা কখনো সিরিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও করেননি। তিনি আরো বলেন, এমন কিছু জানা থাকলে আমি তাদের যেতে দিতাম না। পুলিশ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মৌলবাদের কিছুই খুঁজে পায়নি। সন্দেহ করার মতো কোন প্রমাণ নেই। আবেগপ্রবণ হয়ে তিনি তার পরিবারকে ব্রিটেনে ফেরার অনুরোধ জানান। তাদের চলে যাওয়ার পর, তিনি শূন্য বোধ করছেন বলে জানান। এ বিষয়ে ব্রিটেনের ফরেইন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের এক মুখপাত্র আইটিভি নিউজকে জানান, তারা বেডফোর্ডশায়ার পুলিশ ও তুরস্কের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন। বিভিন্ন সময়ে সিরিয়া ভ্রমণ না করার জন্য ব্রিটেন সরকার নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছিলো বলে তিনি জানান।   একুশে সংবাদ ডটকম/শান্ত/১৪.০৭.০১৫

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1