সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ধান যেন গলার কাঁটা

প্রকাশিত: ০১:৪৬ পিএম, জুলাই ১, ২০১৫
একুশে সংবাদ : জেলার শষ্য ভান্ডার উপজেলা রাণীশংকৈলে ধানের বাম্পার ফলন হলেও কৃষকের সুখ হারিয়ে তারা হতাশার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। শ্রমিক সংকটের সাথে ধানের বাজার মূল্যে চরম দরপতন ঘটায় উৎপাদনে যে পরিমান খরচ হয়েছে ধান বিক্রী করে সে খরচ উঠছে না। তার উপর অনেকের মাথার উপর ঋণের বোঝা রয়েছে। যে কারণে সোনালী ধান কৃষকের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে।     গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার কয়েকটি হাটবাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে মোটা জাতের ধান ৪০০-৪৫০ টাকা চিকন ধান ৪৫০-৫০০ টাকা দরে বিক্রী হচ্ছে। ৮০০-৯০০ টাকা দরে ধান বিক্রী হলে কৃষক লাভবান হতে পারতো।তবে আগের তুলনায় সামান্য দাম বাড়লেও কৃষকের মাথায় দাদন ব্যবসায়ী, এনজিও, অর্থলগ্নী সমিতিসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ধান চাষ করায় উৎপাদন খরচের অর্ধেক দামে অনেক আগেই বিক্রী করে দিয়েছে।     এতে লাভবান হয়েছে সুবিধাভোগিরা। চলতি মৌসুমে সরকার ২২ টাকা কেজি দরে ধান কেনার ঘোষনা দিলেও উপজেলার খাদ্য গুদামগুলোতে জায়গার সংকুলান থাকায় সরকারিভাবে এখনও ধান কেনা শুরু হয়নি।ফলে মজুদদার, দালাল, ফরিয়ারা সিন্ডিকেট করে কম দামে ধান কিনছে বলে কৃষকদের মুখে গুঞ্জন উঠেছে। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা জানান, সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান না কিনে মিল চাতাল ও বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উৎকোচের মাধ্যমে চাল কিনে ফলে ব্যবসায়ীরা ওই ব্যবসায়ীরা নাম মাত্র দামে কৃষকদের ধান বিক্রী করার পরিস্থিতি তৈরী করে।     নেকমরদের কৃষক ফারুক জানান ৪ বিঘা ধান চাষ করে ১২ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে তার। জমি ফেলেও রাখা যায়না আবার চাষাবাদ করে লোকসান হলেও ধান চাষ করতে হয়।উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রমতে, চলতি বোরো মৌসুমে ৮৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো ও ২৭০০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষ করা হয়েছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাজেদুর রহমান বলেন, এবার ধানের বাম্পার ফলন হলেও বাজার মন্দা থাকায় কৃষকরা নায্য মুল্য পাচ্ছেনা। একুশে সংবাদ/এম/ইয়াসমনি/০১/০৭/১৫

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1