সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

‘বিমান বাহিনীতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে’

প্রকাশিত: ০৩:৪৫ পিএম, মে ২৭, ২০১৫
একুশে সংবাদ:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যদের কল্যাণ ও এই বাহিনীর উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ভবিষ্যতে উন্নয়নের এ ধারা সবসময়ই অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা বিমান বাহিনীকে আরও আধুনিকায়নের মাধ্যমে কৌশলগত দিক থেকে একটি সুদৃঢ়, শক্তিশালী ও কার্যকর বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবো। আজ বুধবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বাশার এ এক অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রত্যয়ের কথা জানান। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাশার বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছালে বাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ এনামুল বারী এবং ঘাঁটি অধিনায়ক তাকে স্বাগত জানান। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে এল-৪১০ পরিবহন প্রশিক্ষণ বিমান অন্তর্ভুক্তি উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, সেনা ও নৌ-বাহিনী প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারসহ তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিশ্রম, পেশাগত দক্ষতা ও সততার কোন বিকল্প নেই। তাই সর্বোচ্চ শৃংখলা ও দেশপ্রেমের মন্ত্রে উদ্দীপ্ত হয়ে আপনাদের প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনে মনোনিবেশ করতে হবে। সমরে আপনারা হয়ে উঠুন আকাশ সীমার অতন্দ্র প্রহরী, আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় জনগণের বন্ধু। আন্তর্জাতিক বিশ্বে বিমান বাহিনী সদস্যদের পেশাদারিত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, সুপ্রশিক্ষিত, পেশাদার ও দেশপ্রেমে উদ্দীপ্ত সাহসী বৈমানিক হিসাবে বাংলাদেশ কিংবা আন্তর্জাতিক যে কোন আকাশসীমায় আপনাদের সুদৃপ্ত বিচরণ আমাদের জাতিগত উৎকর্ষেরই পরিচয় বহন করে। তিনি বলেন, ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আওতায় সরকার সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সরকার তিন বাহিনীর সদস্যদের পদমর্যাদা বৃদ্ধি করেছি। চাকরির সময় সীমা বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে প্রয়োজনীয় জনবল, স্থাপনা, নতুন নতুন ইউনিটও। সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে নেয়া সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমির জন্য পিটি-৬ প্রাইমারী প্রশিক্ষণ বিমান এবং কে-৮ডব্লিউ জেট প্রশিক্ষণ বিমান ক্রয়, রাশিয়া থেকে ৩টি এমআই-১৭১ এসএইচ হেলিকপ্টার ক্রয়সহ বিভিন্ন উন্নয়ন করেছে। এছাড়া চতুর্থ প্রজন্মের অত্যাধুনিক মিগ-২৯ যুদ্ধ বিমান, বড় পরিসরের সি-১৩০ পরিবহন বিমান এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আকাশ প্রতিরক্ষা রাডার সংযোজন, অত্যাধুনিক এফ-৭বিজিআই যুদ্ধ বিমান, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র (সারফেস টু এয়ার মিসাইল) সংযোজন, এফ-৭ যুদ্ধ বিমানসহ সব ধরনের বিমান, রাডার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির সুষ্ঠু, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিকায়নের মাধ্যমে কৌশলগত দিক থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে একটি শক্তিশালী বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলা হবে। নতুন বিমান সংযুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আজ বিমান বাহিনী বহরে যুক্ত হতে যাচ্ছে ৩টি এল-৪১০ পরিবহন প্রশিক্ষণ বিমান। এর আগে পরিবহন বৈমানিকরা পিটি-৬ বিমানে উড্ডয়ন সম্পন্ন করে টি-৩৭ বিমানে উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতেন। এরপর পরিবহন বিমানে প্রশিক্ষণ নিতেন, যা ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এল-৪১০ অন্তর্ভুক্তির ফলে এ ব্যয় কমে যাবে। তিনি আরও বলেন, পরিবহন বিমানের বৈমানিকরা বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর বিমান বাহিনীর মতো পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন। অবতরণের ক্ষেত্রে এ বিমানে অধিক সুবিধা থাকায় অত্যন্ত দুর্গম অঞ্চলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হবে।

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1