সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সুন্দরী মনির ফাঁদে ১০০ ব্যবসায়ী

প্রকাশিত: ০৫:০৫ পিএম, মে ২৬, ২০১৫
একুশে সংবাদ: ফোন করে বাসায় ডেকে এনে আপত্তিকর ছবি তুলতো সুন্দরী মনি। তারপর সেই ছবি তুলে মক্তিপণ আদায় করতো। ব্যবসায়ীরাই তার বড় টার্গেট ছিল। চট্টগ্রামসহ সারা দেশের অন্তত ১০০ ব্যক্তিকে এভাবে ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে আসছে মণি। তার সঙ্গে রয়েছে আরও ১০ জনের একটি সিন্ডিকেট। নগরীর হালিশহর ও খুলশী এলাকায় দীর্ঘদিন এমন অপকর্মের ফাঁদ পাতে সে। সর্বশেষ গত রোববার গভীর রাতে এক ব্যক্তিকে ফাঁদে ফেলতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সে। এরপর বেরিয়ে আসে নানা চাঞ্চল্যকর কাহিনী। পুলিশ জানায়, শান্তিবাগ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার সঙ্গে সিন্ডিকেট চক্রের সদস্য রনি ও লিটন নামের আরও দুই যুবক গ্রেপ্তার হন। ২৩ বছরের মণি আক্তার সব সময় তার বয়স দিয়ে পুরুষদের আকর্ষণ করতে চাইতো। সুযোগ পেলেই বিছানায় নিয়ে যাওয়ার অফার করতো। তবে গত রোববার শাহাদাত নামের এক ব্যক্তিকে কম টাকায় প্লট বিক্রির লোভ দেখিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে কাজল নামের এক ব্যক্তি। সেই কাজলও মণির সঙ্গে সিন্ডিকেটে কাজ করতো। প্রথমে শাহাদাতকে প্রতারক মণির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। মণি কথা বলার ছলে দরজার ছিটকিনি লাগিয়ে শাহাদাতকে কাপড় খুলতে বাধ্য করে। একইসঙ্গে তার সহকর্মীরা মণির সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলতে থাকে। শাহাদাত এ ঘটনা থেকে বাঁচার আকুতি জানালে তারা দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। শাহাদাত বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে তারা প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার টাকা পাঠায় বিকাশের মাধ্যমে। কিন্তু মণি ও তার চক্রের সদস্যরা তাকে ওই বাড়িতে আটকে রাখে। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় মামলা করার পর পুলিশ তদন্তে নামে। তারা কৌশলে মণির সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা পরিশোধ করার কথা জানায়। টাকার লোভে রনি নামের প্রতারক চক্রের আরেক সদস্য বড়পুল এলাকায় তাসফিয়া কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এলে পুলিশ তাকে আটক করে। এরপর রনির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মণির বাসা থেকে শাহাদাতকে উদ্ধার করে মণি ও লিটনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা ৩ জন জানায়, এ ঘটনার সঙ্গে এরশাদ ও মামুনসহ আরও বেশ কয়েকজন জড়িত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুলশী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, মণি পুরুষদের ব্ল্যাকমেইলিং করতে ওস্তাদ। সে তার রূপের মোহে অনেক মানুষকে নিঃস্ব করেছে বলে জেনেছি। স্বীকার করেছে টাকার বিনিময়ে ছেলেদের বাসায় ডেকে এনে কাপড়চোপড় খুলে আপত্তিকর ছবি তুলতো। তিনি আরও বলেন, আমরা ধারণা করছি মণির সঙ্গে আরও অনেক সদস্য কাজ করছে। যেখানে অনেক উঠতি মেয়েও থাকতে পারে। পুরো চট্টগ্রাম শহরে তাদের বড় নেটওয়ার্ক রয়েছে। অপকর্মের কাজে তারা ইয়াবা ও ভিডিও ক্যামেরা ব্যবহার করে। প্রতারণার শিকার শাহাদাত বলেন, মানসম্মানটা উদ্ধার করতে পেরেছি তাতেই আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। তা না হলে ব্ল্যাকমেইলিং করে ওরা আমাকে সারা জীবন ধ্বংস করে দিতো টাকার জন্য। আমি জমি কেনার ফাঁদে পা দিয়ে এ ঘটনার শিকার হয়েছি। মণি ও তার সহযোগীরা আমার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন সেট, মানিব্যাগ, ৫ হাজার টাকা ও ব্যাংকের দুটি ক্রেডিট কার্ড হাতিয়ে নিয়েছে। ঘটনার পরপরই মণিকে খুলশী থানায় নিয়ে আসা হয়। এ সময় সে চিৎকার করে পুলিশ ও সাংবাদিকদের অশ্লীল গালি দিয়ে বলে, তোরা আমার কিছুই করতে পারবি না। সব পুরুষ মানুষ আমার চেনা আছে। সুযোগ পেলেই তারা বিছানায় যেতে চায়। আমাকে ছাড়িয়ে নিতে লিডারদের খবর দিয়েছি। ওরা এসে আমাকে গাড়িতে করে নিয়ে যাবে। এ সময় তাকে পুলিশের উপরও রাগ ঝাড়তে দেখা যায়।

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1