সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

পরীক্ষাতেও একই ফল অনুরূপা-অপরূপার!

প্রকাশিত: ০১:২৪ পিএম, মে ২২, ২০১৫
রাঁচি: দুজনেরই পছন্দ চিলি চিকেন। একজনের ভ্যানিলা আইসক্রিম খেতে ইচ্ছা করলে, অন্যজনও ওই আইসক্রিমের বায়না ধরে। একই রকম পোশাক পছন্দ তাদের। বৃষ্টি হলে একই সঙ্গে ছাদে ভিজতে যায় রাঁচির যমজ বোন অনুরূপা, অপরূপা। কিন্তু পরীক্ষার ফলে মাত্র এক নম্বরের তফাৎ হল তাদের। আইসিএসই পরীক্ষায় অনুরূপা পেল ৪৯০। অপরূপা ৪৮৯। এক জনের ৯৮%, অন্যের ৯৭.৮%। রাঁচির ডোরাণ্ডায় যমজ দুই বোনের পরিজন-পড়শিরা ভেবেই রেখেছিলেন, পরীক্ষায় দুজনে একই নম্বর পাবে। কারণ, রাঁচির লোরেটো কনভেন্টের দুই ছাত্রী যে প্রথম শ্রেণি থেকে বরাবর প্রায় একই নম্বর পেতো। দুই বোন জানায়, তারা একই নোটস পড়ে পরীক্ষা দিয়েছে। একই সঙ্গে রাত জেগেছে। অপরূপা বলে, ‘দুজনে সমান খাটলাম। কিন্তু এক নম্বরের জন্য এদিক-ওদিক হয়ে গেল। খুব ভাল লাগত যদি আমরা একই নম্বর পেতাম।’ চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চায় তারা। তাদের বাবা শৈলেশ চট্টোপাধ্যায় বিরসা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবিজ্ঞান পড়ান। তিনি বলেন, ‘দুজনের খুব মিল। কনভেন্ট স্কুলে পড়লেও বাংলা উপন্যাস নিয়ে ওদের খুব উৎসাহ। দুই বোনই ফেলুদার ভক্ত।’ শুধু ফেলুদাই নয়, অনুরূপা জানায়, তারা শরৎচন্দ্রেরও ভক্ত। শ্রীকান্ত উপন্যাস পড়েছে। পড়েছে রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্প, কবিতাও। ওদের মা মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ছোটবেলা থেকেই সব বিষয়ে ওদের অত্যধিক মিল। ওরা সব সময় এক সঙ্গে পড়তে বসে এক সঙ্গে খেলে, ঘুরতে যায়। জন্ম থেকেই ওদের সবকিছুতে মিল। দুজনে দেখতে হুবহু একই রকম। চলাফেরা কথাবার্তাতেও একই। একই রকম পোশাক পরে থাকে বলে আলাদা করে চেনা আরো মুশকিল। রাঁচির এ দুই যমজ বোন এবার আইসিএসই পরীক্ষায় প্রায় একই ফলাফল করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। একটি মাত্র বিষয় ছাড়া সব বিষয়েই দুজন একই নম্বর পেয়েছে। দুজনই কম্পিউটার স্টাডিজে ১০০তে ১০০ নম্বর পেয়েছে। বিজ্ঞানে ৯৯, গণিতে ৯৮, ইংরেজিতে ৯৫ এবং ইতিহাস ও ভূগোলে ৯৭। একমাত্র ব্যতিক্রম হিন্দি ভাষা। এ বিষয়ে অনুরূপা পেয়েছে ৯৮ আর অপরূপা পেয়েছে ৯৭। ফলে সব বিষয় মিলিয়ে কয়েক মিনিটের বড় অনুরূপা পেয়েছে ৯৮ শতাংশ নম্বর। আর ছোট বোন অপরূপা পেয়েছে ৯৭.৮ শতাংশ নম্বর। অপরূপা ও অনুরূপার আইসিএসই পরীক্ষার ফল নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর ভারতের লিমকা বুক অব রেকর্ডস জানিয়েছে, এ দুই বোনের নম্বরপত্রের কপি সংগ্রহ করে একে রেকর্ড বুকে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় তারা। ছোটবেলায় বাবা-মায়ের কাছে পড়া ছাড়া এই দুই বোন কখনোই কোনো গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ালেখা করেনি। মা মৌসুমীর আশা, ওদের মধ্যে সব সময়ই এই ইতিবাচক প্রতিযোগিতা বজায় থাকবে এবং ওরা একই সঙ্গে মেডিকেল কলেজে লেখাপড়া করে ভালো চিকিৎসক হবে। এদিকে, বাবা শৈলেশ মনে করেন, ওদের এখন থেকেই একটু একটু করে ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যের চর্চা শুরু করতে হবে। আর সব সময় একসঙ্গে না থেকে দুজনকেই আলাদা চলাফেরা মেলামেশায় অভ্যস্ত হতে হবে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, আনন্দবাজার

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1