সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

রাণীশংকৈলে পানির চেয়ে ধানের দাম কম

প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, মে ৯, ২০১৫
ঠাকুরগাও প্রতিনিধি : জেলার সর্বত্রই চলতি মৌসুমে ইরি বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। ফলন ভাল হলেও স্বস্তিতে নেই কৃষক। আগের চেয়ে প্রতিমন ধানে কমেছে প্রায় ৩’শ টাকা। সপ্তাহ খানের আগে ধান বিক্রী হতো ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে এখন কমে ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা দরে বিক্রী হচ্ছে। আগের তুলনায় উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে অনেক বেশি। গত বছর উৎপাদন ব্যয় ছিল প্রায় ১৬ টাকা আর এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৮ টাকায়। ফলে কৃষকের ধান উৎপাদন খরচও উঠছেনা। ধানের বিক্রয় মূল্য থেকে উৎপাদন মূল্য বেশি হওয়ায় কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সরকারিভাবে বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য ২২ টাকা নির্ধারণ করলেও হাট বাজারে তার বিন্দু মাত্র প্রভাব পড়েনি। যেখানে বাজারে বোতলজাত ১ লিটার পানি কিনতে হচ্ছে ২০-২৫ টাকায় আর ১ কেজি ধান বিক্রী করতে হচ্ছে ৮-১২ টাকায়। উপজেলার নেকমরদ বাজারে ধান বিক্রী করতে আসা আক্তার আলী, আঃ মতিন, সোহরাব জানায় এক মন ধান বিক্রী করে ৫০০ টাকায় বিক্রী করে দু’জন শ্রমিকের ৬০০ টাকা মজুরী দিতে পারছিনা। আগের তুলনায় কৃষককে প্রতিমন ধানে ৩-৪’শ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। এ ছাড়া বর্গা চাষীদের বেলায় আরো মরণ। এদের উৎপাদন খরচ অনেকগুন বেড়ে যায় । কাতিহার বাজারে ধান বিক্রী করতে আসা কয়েকজন কৃষক ক্ষোভের সাথে জানায়, যত মরণ কৃষকের। সার বীজ কীটনাশক কেনার সময় প্রতারিত হতে হয়। আবার ধান বিক্রীর সময় নায্য মুল্য থেকে বঞ্চিত হতে হয়। প্রতি বিঘা ধান চাষ করতে চাষাবাদ, সেচ, আইল ছাঁটা, ধানের চারা লাগানো ও কাটা, রাসায়নিক ও গোবর সার, কীটনাশক প্রয়োগ, শ্রমিক মজুরী বাবদ প্রায় ১২ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। ধান বিক্রী করে পাওয়া যাচ্ছে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। চাল ব্যবসায়ী এন্তাজুল বলেন, যে চাল বিক্রী হতো ৩২ টাকায় তা এখন বিক্রী হচ্ছে ২৩-২৫ টাকায়। দেশের কৃষক জাতির মেরুদণ্ড সে দেশে কৃষকের অশ্রুজল কতটুকু সুখের ঠিকানা এনে দিতে পারে এমন প্রশ্ন কৃষকের। সরকার কৃষক বান্ধবের ঘোষনা দিলেও বাস্তবতা কতটুকু রয়েছে তৃণমুল পর্যায়ে তা খতিয়ে দেখার আহবান জানিয়ে ভুক্তভোগিরা।

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1