সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশে আসছে চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় গাড়ী

প্রকাশিত: ০৭:২৯ পিএম, এপ্রিল ২৪, ২০১৫
একুশে ডেস্কঃ  প্রতিদিন ৪৭ জন এর মৃত্যুর হার নিয়ে, এশিয়ায় গাড়ী চালানোর ক্ষেত্রে ভয়াবহ দেশগুলোর একটি হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। এই বিষয়টি এবং আমাদের রাস্তায় যানবাহন এর বৃদ্ধি- এ দুটি মিলিয়ে বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে অত্যন্ত খারাপ ট্রাফিক জ্যাম এর উদাহরণ হিসেবে। অনলাইনে গাড়ী বেচাকেনার প্রধান ওয়েবসাইট কারমুডি চালকহীন স্বয়ংক্রিয় (সেলফ-ড্রাইভিং) গাড়ীকে দেখছে এর সম্ভাব্য সমাধান হিসাবে। কয়েক বছরের মধ্যেই, অন্তত কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে যেমন হাইওয়ে কিংবা স্টপ অ্যান্ড গো ট্র্যাফিকে গাড়ী চলতে পারবে চালকবিহীন ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে। ইলন মাস্ক এর ঘোষণা অনুযায়ী, স্বয়ংক্রিয় টেসলা গাড়ী যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ৩ মাসের ভেতর আসতে যাচ্ছে। অনলাইনে গাড়ী বেচাকেনার সবচেয়ে দ্রুত মাধ্যম এই চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় গাড়ী বাংলাদেশে কবে আসবে গবেষণা, তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন বের করেছে। এই রিপোর্টে বের করা গেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় গাড়ী প্রচার করলে, সড়ক দুর্ঘটনায় সংঘর্ষের জন্য যে অর্থব্যয় হয়, তা ৪৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে কমে যাবে এবং উৎপাদনশীলতার উন্নতি হবে ৬৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরকম প্রতিফল আমরা বাংলাদেশেও পেতে পারি যদি উন্নতির জন্য আমরা প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে আরও আপন করে নেই। খরচ কমানোর পাশাপাশি এই প্রযুক্তি জীবন বাঁচাতেও সক্ষম হবে। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে চালকের ত্রুটির কারনে। যেহেতু চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় গাড়ীতে মানুষের নিয়ন্ত্রন করার প্রয়োজন নেই, তাই এটি আমাদের দেশে দিন প্রতি ৫টি জীবন বাঁচিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার ৯০% কমিয়ে দিতে পারবে। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের সাথে, চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় গাড়ী দৈনন্দিন এর বিরক্তিকর ট্রাফিক জ্যামেরও সমাধান করতে পারবে। বাংলাদেশে প্রায় ১,৬২,৮৬২ টি রেজিস্ট্রি করা গাড়ী আছে এবং ট্রাফিকের জটে আটকে থাকার সময় হিসাব করলে দেখা যায় চলতি পথে গাড়ীগুলো বছরে টানা ৮ দিন ব্যয় করে ভিড়ে আটক থেকে। এই নতুন প্রযুক্তি রাস্তায় গাড়ীর সংখ্যা কমাতেও সাহায্য করবে। যুক্তরাষ্ট্রের পরিসংখ্যান বলে, রাস্তায় গাড়ীর সংখ্যা গড়ে ৪৩% কমে দাড়াতে পারে, যা বাংলাদেশের হিসেবে আসে ৯২৬২৭২টি কম গাড়ী; যার ফলাফল হবে আরও কম ট্রাফিক যানজট ও কর্মক্ষেত্রে সবার ফলদায়ক সময়ের বৃদ্ধি। সুখবর হল, গাড়ী প্রস্তুতকারকরা বাংলাদেশের মার্কেটে ইতিমধ্যেই চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় গাড়ী বিক্রি করার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে, যেগুলো কিনতে পাওয়া যাবে অটোমেটিক ব্রেকিং সিস্টেম ও সংঘর্ষের সতর্কতার জন্য বেসিক ফরওয়ার্ড-কলিশান ওয়ার্নিং সিস্টেমের মত ফিচারসহ, যা সড়ক দুর্ঘটনার হার ১৫% কমিয়ে দিতে সাহায্য করছে ইতিমধ্যেই। ২০২০ ইং সালের মধ্যে, জিএম, মারসিডিজ-বেঞ্জ, অডি, নিসান, বিএমডাব্লিউ, রেনল্ট, টেসলা ও গুগল, এই সব ব্রান্ডগুলোই তাদের এই গাড়ীগুলো বিশ্বজুড়ে বাজারজাত করার আসা করছে। চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় গাড়ী বাস্তবেই এক পর্যায় আমাদের দেশে এসে পৌঁছাবে। আমাদের যানবাহনগুলো আরও নিরাপদ করতে বিভিন্ন ফিচার যোগ হতে হতে, সেই দিন দূরে নেই যখন বাংলাদেশের মানুষও হাত গুটিয়ে চালকবিহীন গাড়ীতে চড়ে বেরাতে পারবে। ২০১৩ সালে কারমুডি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং বর্তমানে বাংলাদেশ, ক্যামেরুন, কঙ্গো, ঘানা, ইন্দোনেশিয়া, আইভরিকোস্ট, মেক্সিকো, মায়ানমার, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভিয়েতনামে এর কার্যক্রম আছে। গাড়ী, মোটরসাইকেল এবং ব্যবসায়িক যানবাহন অনলাইনে পাওয়ার জন্য, যানবাহন বেচাকেনার এই সাইটটি ক্রেতা, বিক্রেতা ও গাড়ীর ডিলারদের দিচ্ছে একটি আদর্শ প্লাটফর্ম

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1