সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কর্মীদের বিরোধ ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে তাবিথ

প্রকাশিত: ১০:৪১ এএম, এপ্রিল ২৪, ২০১৫
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফুটবলের দক্ষ সংগঠক তরুণ শিল্প উদ্যোক্তা রাজনীতির মাঠে একদমই নতুন মুখ। অনেকটা কাকতলীয়ভাবে সরাসরি নির্বাচনের মাঠে এসে পড়েছেন। এখন চষে বেড়াচ্ছেন রাজধানীর অলিগলি আর রাজপথ। কোটিপতি এই যুবকের কাঁধে দেখা গেছে বস্তির শিশু। বুক মেলাচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষদের সঙ্গে।   তার এই তৎপরতা এবং স্বয়ং বিএনপি চেয়ারপারসনের তার হয়ে প্রচারণায় নামা দেখে অনেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেকখানি এগিয়ে রাখছেন। এ লক্ষ্যে বিরামহীন খেটেও যাচ্ছেন তিনি।   তবে তাকে সমর্থন দেয়ার প্রক্রিয়া ও নানা কারণে বিএনপি কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। যা দিনে দিন তীব্র হচ্ছে। এই মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ এম আউয়াল। তার পেছনে নির্বাচনী প্রচারণায় ওতোপ্রোতভাবে জড়িত কর্মী ও নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটিই জানা গেছে।   বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টুই ছিলেন মূলত এ এলাকার বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী। কিন্তু তার রহস্যজনক ভুলের কারণে তার জায়গায় স্থান পেয়েছেন বড় ছেলে তাবিথ এম আউয়াল। তিনি দেশের বাইরে লেখা পড়া করেছেন।   তাবিথকে সমর্থন দেয়ার ব্যাপারে বিএনপি শুরুতে কিছুটা দ্বিধায় ছিল। যদিও বিষয়টা বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি। বলা হয়েছে, মিন্টুর প্রার্থিতা আইনি প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনার আশায় ছিলেন বলে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে দেরি হয়েছে।   অবশ্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ মিন্টুর প্রার্থিতা বৈধ না হলে বিকল্প প্রার্থীর ক্ষেত্রে বলেছিলেন, ‘যার জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। জনগণ যাকে চেনে, বিএনপি তাকেই সমর্থন দেবে।’   তাবিথের একজন হলেন মাহী বি. চৌধুরী। বিএনপির মিত্র হিসেবে তিনিও ২০ দলীয় জোটের সমর্থন আশা করেছিলেন। রাজনীতির মাঠে তিনি পরিচিত মুখও। ধারণা করা হয়েছিলে মাহীই বিএনপির সমর্থন পেতে যাচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি।   বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন রয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের বিতর্কিত এক শীর্ষ কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠজনের মাধ্যমে তাবিথের সমর্থন চূড়ান্ত করা হয়েছে। যদিও তাবিথের ব্যাপারে অধিকাংশ শীর্ষ নেতার সমর্থন ছিল না।   এই অনৈক্যের বিষয়টি তাবিথের প্রথম দিনের নির্বাচনী প্রচারণায়ই কিছুটা আঁচ করা গিয়েছিল। প্রচারণার শুরুতে কাওরান বাজার মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়ে ঘটে এক অস্বস্তিকর ঘটনা। তাবিথের উপস্থিতিতেই মসজিদের বাইরে সমর্থকরা মারামারি করে।   গত বুধবার আবার তাবিথের বাংলামোটর এলাকার নির্বাচনী অফিসে ছাত্রদল কর্মীদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। তেজগাঁওয়ের লিংক রোডের নির্বাচনী অফিসও ছিল উত্তপ্ত।   প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাংলামটরের বীর উত্তম সিআর দত্ত সড়কে তাবিথের নির্বাচনী অফিসে ছাত্রদলের নোয়াখালী অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে অন্য অঞ্চলের নেতাদের সংঘর্ষ হয়। অবশ্য পরে তা মিটে গেছে।   জানা গেছে, তাবিথের নির্বাচনী প্রচারণার দায়িত্ব নিয়ে তেজগাঁও ছাত্রদল এবং মহানগর ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবুল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন উর রশীদ মামুনের কর্মীদের মধ্যে মারামারি হয়।   একটি সূত্র জানায়, নোয়াখালী অঞ্চলের কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের এক নেতা সম্প্রতি বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের সদস্য মওদুদ আহমদসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন। সে কারণে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। শহিদুল ইসলাম বাবুল কার্যালয়ে ঢুকলে তার অনুসারীরা মামুনের অনুসারীদের ওপর চড়াও হয়।   এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আমি কথা বলতে ইচ্ছুক নই।’ মামুন বলেন, ‘বহিরাগতরা নির্বাচনী কার্যালয়ে ঢুকে হামলা চালিয়েছে। অফিস ভাঙচুর করেছে।’   তবে আমিরুজ্জামান শিমুল ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, তার উপস্থিতিতে কর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তিনি পরিস্থিতি শান্ত করেছেন।   পরিস্থিতি যা-ই থাকুক না কেন আগামী ২৮ এপ্রিল ভোট গণনায় স্পষ্ট হবে প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে অর্জনের ঝুলি কতটা ভরতে পারেন রাজনীতির বাইরে থেকে হঠাৎ করে ময়দানে আসা ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ এম আউয়াল।   একুশেসংবাদ.কম/এইচ কে এস/২৪.০৪.১৫।

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1