সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কক্সবাজারের জালালাবাদে বিধবার বসতভিটা দখলে হামলা ও লুটপাট

প্রকাশিত: ১০:১২ এএম, এপ্রিল ২৩, ২০১৫
ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : কক্সবাজার সদরের জালালাবাদে বিধবার বসতভিটা দখলে নিতে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে প্রভাবশালী চক্র। এসময় সন্ত্রাসীরা বসতভিটার গাছপালা কেটে ফেলে এবং বসতঘর ভাঙচুর ও তরুণীর শ্লীলতাহানী করে। ২২ এপ্রিল বিকাল ৪টার দিকে জালালাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব ফরাজীপাড়ায় এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। সরেজমিনে জানা যায়, উক্ত এলাকার মৃত কবির আহমদের স্ত্রী বিধবা সাকেরা বেগম তার সন্তানদের নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত স্বামীর পৈত্রিক বসতভিটায় বসবাস করে আসছে। বিগত কয়েকমাস পূর্ব থেকে পার্শ্ববর্তী প্রভাবশালী মালেক ঐ জায়গার মালিকানা দাবী করে বসতভিটাটি দখলের পায়তারা করে। এ নিয়ে একাধিকবার মালেকের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা বসতভিটার গাছপালা কেটে ফেলে এবং ঘরবাড়ীতে ভাঙচুর চালায় বলে স্থানীয়রা জানায়। এনিয়ে একাধিক বিচার শালিস হয় এবং বর্তমানেও তা অব্যাহত রয়েছে। বিচারাধীন বিষয়কে তোয়াক্কা না করে ঘটনার দিন প্রকাশ্য দিবালোকে মালেকের নেতৃত্বে হাকিম, আওয়াল, মহিউদ্দীন, মনির, রাহমতসহ ১৫/২০ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীর উপর্যুপরী ঐ বসতভিটার নারকেল, সুপারি গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক গাছ কেটে লুট করে এবং বসতঘরেও ভাঙচুর চালায়। এসময় বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা বিধবার তরুণী কন্যাকে শ্লীলতাহানি করে বলে বিধবার কন্যা ও তার পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান। উপস্থিত শতাধিক লোকও উক্ত মালেকের নেতৃত্বে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছপালা কেটে বসতঘর দখল চেষ্টার সত্যতা স্বীকার করে বলেন দীর্ঘদিন যাবত ঐ মালেক কোন প্রকার বিচারের তোয়াক্কা না করে এসব করে চলছে। এ অমানবিক ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিধবার আত্মীয় মোহাম্মদ আলী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ ঘটনাস্থলেই স্ট্রোক করে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে স্বজনরা জানিয়েছে। লূটকৃত গাছের স্তুপ সন্ত্রাসী মালেকের বসতঘরে পুলিশ ও উপস্থিত লোকজন দেখতে বলে জানায়। ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আতিকের নেতৃত্বে পুলিশ দল ঘটনাস্থলে পৌছলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে এবং অসুস্থ হয়ে পড়া বৃদ্ধকে দ্রুত চিকিৎসা ও সংঘটিত ঘটনার আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয় বলে জানায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা। এদিকে সন্ত্রাসীদের ভয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছেনা বলে জানা গেছে। যে কোন মুহুর্তে খুনের মত বড় ধরণের ঘটনাও ঘটতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করছে স্থানীয়রা। এদিকে অভিযোগ উঠা পক্ষের হাকিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জায়গা পাবে বলে দাবী করে গাছপালা কাটার ঘটনা স্বীকার করে।

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1