সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

গাইবান্ধায় কীটনাশক ছাড়াই পটল চাষে সাফল্য

প্রকাশিত: ০৬:১৯ পিএম, এপ্রিল ২১, ২০১৫
গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধার চরাঞ্চলসহ সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্যাপুর, ফুলছড়ি ও জেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় এ বছর রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই জৈব সার প্রয়োগ করে পটল চাষের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। জৈব সার প্রয়োগ করায় এ বছর পটলের পচন রোগের ব্যাপকতা দেখা দেয়নি। বিশেষ করে ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের কালাসোনার চর পটল চাষীরা রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ না করে শুধুমাত্র জৈব সার প্রয়োগ এবং বালাই দমন ব্যবস্থাপনার আওতায় পটল চাষে সার্বিক সাফল্য অর্জন করেছে। ফুলছড়ি উড়িয়া ইউনিয়নের কালাসোনার চরসহ অন্যান্য চরাঞ্চলে ও কঞ্চিপাড়া, সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের বালাহাটা, মালিবাড়ি, সাদুল্যাপুরের খোর্দ্দকোমরপুর, ধাপেরহাট, সুন্দরগঞ্জের সীচা, পাঁচপীর, ছাপড়হাটি ইউনিয়নের মন্ডলেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় এ বছর পটলের আবাদ বেশি হয়েছে। তবে চরাঞ্চলগুলোতে ভুট্টা, মরিচ, মিষ্টি কুমড়া, পাটসহ বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা অপেক্ষাকৃত কম জমিতে এ বছর পটল চাষ করেছে বলে জানা গেছে। পটল চাষীরা জানান, কার্তিক মাসে জমিতে ৩ থেকে ৪টি চাষ দিয়ে ২ থেকে ৩ ইঞ্চি মাটির নীচে পটলের লতা (গাছ) রোপন করা হয়। বৈশাখ মাস হতে আশ্বিন মাস পর্যন্ত ফলন দেয়। কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় ১শ’ ৭৫ হেক্টর জমিতে পটল চাষ করা হয়েছে। পটলের পচন রোধে রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের পরিবর্তে জমিতে গোবর সার এবং জৈব সার প্রয়োগের মাধ্যমে চাষীদের পটল চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়। সেই সাথে বালাই দমন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আলোর ফাঁদ পেতে পোকা মাকড় দমনেরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এই পদ্ধতিতে পটল চাষ করে কৃষকরা যেমন পটলের মান বৃদ্ধিতে সক্ষম হয়েছে তেমনি জমিতে বিঘা প্রতি উৎপাদনের হারও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া জৈব সার প্রয়োগ করে পটল চাষ করায় উৎপাদন ব্যয়ও হয়েছে অনেক কম।

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1