সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কলকাতায় মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

প্রকাশিত: ১১:০১ এএম, এপ্রিল ১৮, ২০১৫
একুশে সংবাদ : মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে কলকাতায় বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। কলকাত‍ার আট নম্বর শেক্সপিয়ার সরণীর অরবিন্দ ভবনে-এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন আনন্দবাজার পত্রিকার অবসরপ্রাপ্ত সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাসগুপ্ত, আকাশবানী এবং কলকাতা দূরদর্শনের সাবেক অধিকর্তা পঙ্কজ সাহা, সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল শঙ্কর রায় চৌধুরী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপ হাই কমিশনার জকি আহাদ। আলোচনায় উঠে আসে ইতিহাসের নানা দিক। সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করে পঙ্কজ সাহা বলেন, বর্তমান আট নম্বর শেক্সপিয়ার সরণী ছিল সেই সময়ের আট নম্বর থিয়েটার রোড। এই জায়গা থেকেই গোপনে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার পরিচালনা করা হত। তিনি জানান, ওই বাড়ি ছিল সরকারের প্রধান কার্যালয়। সেখান থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হত। এছাড়াও ক্যাবিনেট প্লানিং, অর্থ, তথ্য ও বেতার, প্রতিরক্ষা, কৃষি প্রভৃতি দপ্তর পরিচালনা করা হোতো। এই সরকারে রাষ্ট্রপতি ছিলেন নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমেদ, অর্থমন্ত্রী ছিলেন মনসুর আলী, কর্নেল আসমানি ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। পঙ্কজ সাহা জানান, এর কিছুদিন পরেই কলকাতার ৫৭/৮ বালিগঞ্জ রোড থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রটি অরবিন্দ ভবন-এ চলে আসে। পঙ্কজ সাহা প্রস্তাব দেন পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত যে বাড়িগুলি আছে সেখানে একটি করে ইতিহাস সম্মিলিত ফলক স্থাপন করতে। ফলে আগামী দিনে মানুষ এই ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে। সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাসগুপ্ত স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ১৬ ডিসেম্বরের আগে সাধারণ মানুষ জানতেন না মুজিবনগর ঠিক কোথায়। কারণ স্বাধীন বাংলা সরকারের তরফে এই তথ্য সাংবাদিকদের গোপন রাখতে অনুরোধ করা হয়েছিল। তিনি জানান, আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রথম ‘মুজিবনগর’ হিসেবে মেহেরপুরের বৈদ্যতলা আম্রকুঞ্জকে অভিহিত করা হয়। জেনারেল শঙ্কর রায় চৌধুরী বলেন, প্রথম অভিজ্ঞতায় মুক্তিযোদ্ধাদের দেখে মনে হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সিপাহী বিদ্রোহের যোদ্ধাদের মিল আছে। তারা লড়াই করতে নেমেছিল, কিন্তু প্রয়োজনীয় যুদ্ধের প্রশিক্ষণ তাদের ছিল না। জেনারেল রায় চৌধুরী জানান, তাদের ওপর দায়িত্ব ছিল এই মুক্তি বাহিনীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যোদ্ধা হিসেবে গড়ে তোলা। তিনি বলেন, মুক্তি বাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় সেনারাও মুক্তিযোদ্ধার বেশে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল। তিনি আরও বলেন শুধু প্রশিক্ষণ নয়, অর্থসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়ে ভারতীয় সেনা সেই সময় মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। জকি আহাদ তার সমাপ্তি ভাষণে বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমেদ, কাজী নজরুলসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া সমস্ত যোদ্ধাদের তিনি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, সেই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশ এবং ভারতের প্রতিটি নাগরিককে এই মহান দিনে তার শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আগামী দিনে আরও ভাল হবে। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৮-০৪-০১৫:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1