সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাঙালি মেতে ওঠো পহেলা বৈশাখে || শিহাব শাহরিয়ার

প্রকাশিত: ০১:১৮ পিএম, এপ্রিল ১০, ২০১৫
একুশে সংবাদ : বাঙালিদের প্রাণের উৎসব যে পহেলা বৈশাখ- এ কথা সকলেই স্বীকার করবেন। কেননা এটি হাজার বছরের ঐতিহ্যিক ও নিজস্ব ঘরানার একমাত্র বড় উৎসব। উৎসবটি প্রান্ত থেকে কেন্দ্রের করিডোর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। কেন্দ্রের করিডোর বলতে রমনার বটমূলকেই বুঝাচ্ছি। ছোটবেলায় গ্রামে যে উৎসব নিয়ে মেতে উঠতাম, এখন রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখে রঙিন সরোবরে সাঁতার কাটি। আমার শৈশবের কথাই যখন বললাম, মনে পড়ল আমার একটি কবিতার কথা : ‘উৎসব মানে থোকা থোকা আগুন উৎসব মানে ভুলে থাকা ফাগুন।’ এটি আমার একটি ছোট্ট ও খুবই নস্টালজিক কবিতা। কারণ কবিতাটি অনেক পরে লিখলেও, এর ভাব মনে মনে তৈরি হয়েছিল বহু বছর আগে- সেই কিশোরবেলা। আমার গ্রামে পৌষে, ফাগুনে, চৈত্রে ও বৈশাখে নানান ধরনের অনুষ্ঠান হতো। যেমন মেলা, বান্নি, লাঠিখেলা, ষাঁড়দৌড়, নৌকাবাইচ, নাটক, পুতুলনাচ, পুঁথিপাঠ, যাত্রা ও পালাগান। আমার গ্রাম মানে ব্রহ্মপুত্র নদী তীরবর্তী শেরপুর জেলার চরখারচর। কোনো এক ফাগুন মাসে আমাদের বাড়ির সামনের স্কুলের বিশাল মাঠে একটি নাটক মঞ্চস্থ করেছিল আমাদের গ্রামেরই একদল উৎসাহী যুবক। এতে মুরুব্বি ব্যক্তিরা বাধাও দিয়েছিল কিন্তু রবীন্দ্রনাথের সবুজের অভিযাত্রীরা সেই বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে নাটক মঞ্চস্থ করেছিল। একদিনের নাটকের জন্য প্রায় দুই মাস মহড়া হয়েছে। সন্ধ্যার পরে পরেই স্কুলের একটি কক্ষে হারিক্যানের আলোতে রিহের্সাল, তারপর মঞ্চ তৈরি, দর্শক সমাবেশ ইত্যাদির জন্য সেই তরুণদের মধ্যে কি যে আয়োজন, প্রস্তুতি এবং পরিশ্রম তা সত্যি দেখার মত। অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। রাত দুপুরে শুরু হয়ে চলল শেষ রাতাবধি। নাটকে ছেলেরাই মেয়েদের কস্টিউমে অভিনয় করতে দেখলাম। শেষ রাতে শেষ হাততালির মধ্য দিয়ে শেষ হলো নাটক। পরদিন সকাল থেকে বিরান মঞ্চটি ভাঙা হলো। শূন্য হলো বুকের কিনার। উৎসব কেন প্রতিদিন হবে না? উৎসব কেন শেষ হয়ে যায়? উৎসব কেন আগুনের মত জ্বলে উঠে? উৎসবের স্মৃতি কেন ফাল্গুনের বাতাসের মতো মনে শিরশির করে? ২. বহু বছর পরে ট্রেনে ঢাকা থেকে জামালপুরের মেলান্দহ গিয়েছিলাম। ট্রেন থেকে নেমেই সবুজের হাতছানি পেলাম। আসলে রাজধানী ঢাকায় এখন বসবাস করে আমরা যেন কেমন যান্ত্রিক হয়ে গেছি। যানজট, মানুষের দঙ্গল, স্বার্থপরতা ইত্যাদি সব মিলিয়ে ভারী অসহ্য জীবন। তাই ইদানিং ঢাকার সীমানা পার হলেই আমি যেন মুক্ত বিহঙ্গের মতো আকাশ দেখি। চারিদিকে অবারিত সবুজ আমাকে হাতছানি দেয়। আমার মন পাগল হয়। সেদিনও মেলান্দহ গিয়ে একই হাতছানি পেলাম। প্লাটফরম আর রেললাইন পেরিয়েই প্রথমে পাকা রাস্তা, তারপর কাঁচা রাস্তা পেরিয়ে ক্ষেতের আইল ধরে ব্র‏হ্মপুত্র নদীর তীরের প্রাকৃতিক সমারোহের মাঝে স্নিগ্ধ এক গ্রামে ঢুকলাম। ঐ গ্রামের যে বাড়ির মেহমান হয়ে গিয়েছি সেই বাড়ির পাশেই মাইকে যাত্রাপালা শুনতে পেলাম। কৌতূহলবশত হেঁটে হেঁটে সেই বাড়িতে গেলাম। বাড়ির মালিক কৃষক। তাকে জিজ্ঞেস করলাম কেন ভাই মাইক বাজিয়ে যাত্রাপালা ও লোকগান শোনাচ্ছেন? উত্তর দেওয়ার আগে তিনি আমাকে ডেকে তার ঘরে নিয়ে গেলেন। বসতে দিলেন জামালপুর অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী নকশিকাঁথা বিছানো চৌকিতে। তারপর তার স্ত্রী এসে এক গ্লাস পানি দিলেন। মাইক থামিয়ে কৃষক ভদ্রলোক বললেন, হালখাতা করছি। আমি বললাম, এটি কি রকম হালখাতা? তিনি আবার বললেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাইক বাজিয়ে গ্রামের কৃষকদের জানিয়ে দিচ্ছি যে, গত এক বছর বাকিতে তাদের খেতের চাষ করে দিয়েছি। আজ তারা বছর শেষে চৈত্রের এই লগ্নে আমার বাড়িতে এক এক করে এসে পাওনা টাকা দিয়ে যাচ্ছে। বহু বছর যাবৎ এই রীতি চালু রয়েছে। অনেকে ইতিমধ্যে পাওনা টাকা দিয়ে গেছে বাকিরা রাত অবধি দিয়ে যাবে। আমি তাকে পুনরায় প্রশ্ন করলাম, মাইকে যাত্রাপালা ও লোকগান কেন শুনাচ্ছেন? উত্তরে তিনি বললেন, আমাদের এই অঞ্চলের সাধারণ কৃষকদের জন্য এই গানই বিনোদনের অন্যতম হাতিয়ার। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরেই এ রকম গানের আসর, যাত্রা, পুঁথিপাঠ ও পালাগান শুনতে বসে যায় সবাই। যদিও পুরনো এই সব গানের আসর এখন কমে গেছে। প্রায় ঘরেই টিভি আছে। তারা টেলিভিশনের অনুষ্ঠান দেখে। তারপর ব্যাখ্যা করে বললেন, এখন যে যাত্রাপালাটি শুনছেন সেটি জামালপুরের নান্দিনা অঞ্চলের একটি পালা। আর ক’দিন পরেই বৈশাখ মাস, নতুন বছর। নতুন বছর এলেই আমরা নতুনভাবে কাজ শুরু করি। অর্থাৎ পুরনো বছরের পাওনা-দাওনা পরিষ্কার করে আবার হাল-চাষ ও ফসল-ফলানো শুরু করি। বাংলা নতুন বছরের পহেলা দিনে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো এখানেও কোন কোন জায়গায় বৈশাখী মেলা বসে। কোন মেলা একদিনের, কোন মেলা তিনদিনের, কোন মেলা সাতদিনের আবার কোন কোন মেলা পনের দিনেরও হয়ে থাকে। নববর্ষের মেলায় লোকগান হয়, পুতুল নাচ হয়, নাগরদোলা হয়, বিভিন্ন ধরনের পসরা বেচা-কেনা হয়। আগে নববর্ষের এ মেলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের খেলা ও প্রতিযোগিতাও হত- যা আমি ছোট বেলায় দেখেছি। এখন অবশ্য সময়ের পরিবর্তনের কারণে অনেক কিছু হারিয়ে গেছে। পাশাপাশি নতুন কিছু উপাদানও যুক্ত হয়েছে। তবে পহেলা বৈশাখের মেলায় ছোট-বড়, ধনী-দরিদ্র সকলেই খুব আনন্দ করে। মেলাকে ঘিরে বহু দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে। বিশেষ করে ছেলেমেয়েরা অনেক মজা করে। ৩. বাংলা নববর্ষের পহেলা বৈশাখ সত্যিকার অর্থেই বাঙালিদের প্রাণের উৎসব। কারণ এই উৎসবে কোন বিদেশিপনা নেই। শুধু আছে বাঙালির নিজস্ব ঐতিহ্য, আত্ম-পরিচয় ও আপন উপাদান। প্রতি বছর পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে আমরা কি করি? আমরা বর্ষার দিনে যেমন খিচুরি-ইলিশ খাই, তেমনি পহেলা বৈশাখে পান্তাভাত খাই ইলিশ, আলুভর্তা, কাঁচা পিয়াজ আর শুকনা মরিচ ভাজা দিয়ে। আরো খাই কদমা, বাতাশা, খোরমা, তিলের নাড়ু, নারিকেলের নাড়ু, মুড়ির মোয়া, খৈয়ের মোয়া নাড়, চিড়ার মোয়া, পাপর ভাজা, ঘুঘনি ও নানান ধরনের পিঠা-পুলি, দই, মাঠা ইত্যাদি। এ ছাড়া বর্তমান সময়ে আইসক্রীম, কোমল পানীয় এই দিনের খাদ্য তালিকায় যুক্ত হয়েছে বিশেষ করে এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের এগুলো পছন্দ। এ ছাড়া প্রায় সকল ঘরে বিশেষ ধরনের খাবার তৈরি করে খেতে দেখা যায়। এই সময়ে দেখা যাচ্ছে, ছেলেমেয়েসহ বাবা-মায়েরা বিশেষ করে ঢাকায় ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত পহেলা বৈশাখের নানান সঙ্গীতানুষ্ঠান দেখে ও শোনে। তাদের কেউ বড় বড় হোটেলে বা রেস্টুরেন্টে গিয়ে বিশেষ ধরনের খাবার খেয়ে আনন্দ করে। পোশাকের ক্ষেত্রে পহেলা বৈশাখে বাঙালিদের মধ্যে দেখা যায় এক নতুন আমেজ। গ্রামে পুরুষেরা নতুন লুঙ্গি ও গামছা এবং মেয়েরা নতুন শাড়ি পরার চেষ্টা করে। শহরে ছেলেরা নতুন ফতোয়া, পাঞ্জাবি, পায়জামা, স্যান্ডেল আর মেয়েরা নতুন শাড়ি, নতুন সেলোয়ার-কামিজ পরে। ইদানীং ঢাকায় নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে উভয় শ্রেণীর মানুষের জন্য নানান রঙের ও বর্ণের পোশাক তৈরি ও বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে পহেলা বৈশাখ উদযাপনকারী মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষেরা পোশাক কেনা ও পরা এবং পরে পুরো পরিবার রমনার বটমূল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এসে সারা দিন গান-বাজনা শোনা, ঘোরাফেরা করা, টমটমে চড়া, নানা ধরনের খাবার কিনে খাওয়া প্রভৃতি করে থাকেন। কাকভোর থেকে রমনার বটমূলে যাওয়া তো আছেই, পাশাপাশি চারুকলা অনুষদের ছাত্র-শিক্ষদের উদ্যোগে বৈশাখের বিশাল শোভাযাত্রায় বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে অনেকে অংশগ্রহণ করেন, আনন্দ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাজুড়ে নানান ধরনের পসরা সাজিয়ে বসে বিভিন্ন পেশার চারু ও কারুশিল্পীরা। বাংলা একাডেমি সাত অথবা পনেরো দিনব্যাপী আয়োজন করে কারুশিল্প মেলা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিল্পীরা তাদের নান্দনিক পসরা নিয়ে মেলায় আসে। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বাউল গানের পাশাপাশি পিঠা উৎসবের আয়োজন করে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা বাদে রাজধানীর বিভিন্ন খোলা মাঠে বা জায়গায় বৈশাখী মেলা হচ্ছে প্রতি বছর। এসব আয়োজনে সারাদিনই উপচেপরা ভিড় থাকে মানুষের। রমনার বটমূলে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ছায়ানটের গান শুনতে বাঙালি সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষদের ভিড় লক্ষণীয়। বাঙালি সংস্কৃতিবিরোধী ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠী বোমা হামলা করেও সে স্রোত থামাতে পারেনি। রবীন্দ্র-নজরুল-অতুলসহ বিভিন্ন গান ছায়ানটের শিল্পীদের পরিবেশনায় শোনার পাশাপাশি লালন অর্থাৎ বাউল গানের পরিবেশনায় আগত দর্শক-শ্রোতারা মুগ্ধ থাকেন। পহেলা বৈশাখ বা বর্ষবরণের যে শোভাযাত্রাটি বর্তমানে দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বে বাঙালিদের প্রাণের উৎসবের কথা ছড়িয়ে দিচ্ছে সেটির জন্য চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-ছাত্রদের প্রস্তুতি চলে প্রায় এক মাস ধরে। নানান ধরনের মুখোশ আঁকা বা তৈরি থেকে আলপনা করা এবং প্রতি বছর একটি থিম আইটেম নির্মাণ করা যেন এক মহাকর্মযজ্ঞ। রাতদিন পুরো অনুষদে বিশেষ করে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যে প্রণোদনা তা দেখার মতো। নিবিষ্টচিত্তে কাজ করেই যাচ্ছে সবাই সেখানে। এই যে নিবিষ্টচিত্তের কথা বললাম, এটিই হচ্ছে নিজের সংস্কৃতির প্রতি ভালবাসা। ৪. এখন প্রশ্ন হলো, বাঙালির সংস্কৃতির বয়স কত? গবেষণায় যাবো না। এখানে একটি গল্প বলি। আমেরিকার একটি রাস্তায় সকালবেলা দুই ভদ্রলোক দ্রুত পাশাপাশি হাঁটছেন। এদের একজন শাদা, একজন শ্যামলা। হাঁটতে হাঁটতে একজনের গায়ের সাথে অন্যজনের গা লেগে গেছে। তখন শাদা চামড়ার ভদ্রলোকটি শ্যামলা ভদ্রলোটিকে বললেন, এই আপনি আমাকে ধাক্কা দিলেন কেন, আপনি একজন অসভ্য? প্রতিউত্তরে শ্যামলা মানুষটি বললেন, আমি অসভ্য নই, অসভ্য আপনি। কারণ আপনার সভ্যতা হল পাঁচশ বছরের আর আমার সভ্যতা আড়াই হাজার বছরের। চিনতে পারলেন তো শ্যামলাবরণ মানুষটিকে? তাহলে আমাদের সংস্কৃতি বহু পুরনো। পরাধীনতার শৃঙ্খলে শত-সহস্র বছর বন্দী না থাকলে আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে আরো বেগবান করতে পারতাম। অবশেষে ১৯৭১-এ এসে আমরা অধীনতার বোঝা সরাতে পেরেছি। এখন আমরা নিজের পরিচয় বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করবো। নিজের পরিচয় মানে নিজের সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতিকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে আমাদের পুরোপুরি বাঙালি হতে হবে। বিদেশি অপসংস্কৃতির আগ্রাসন থামিয়ে এগিয়ে যেতে হবে এই নদী-মেঘলা শ্যামল মাটির গন্ধ নিয়ে। এই গন্ধেরই একটি নাম ‘পহেলা বৈশাখ’। পহেলা বৈশাখ উদযাপনের মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করার ইতিহাস অনেকেরই জানা। তবে প্রাচীনকাল থেকে আমাদের অঞ্চলের কৃষকরা তাদের নানান সুখ-আনন্দে বিভিন্ন অনাড়ম্বর উৎসব করে আসছে। নববর্ষ পালন সেই উৎসবেরই একটি প্রধান দিন। নববর্ষ পালন একটি আনন্দ, একটি চেতনা, একটি প্রাণের স্রোতধারা। এই স্রোত নিয়ত বয়ে চলে পদ্মা, মেঘনা, যুমনা, সুরমা, কর্ণফুলী, ধলেশ্বরীর বুক চিরে। ৫. বাঙালির চেতনার স্রোত থামায় কে? কালবৈশাখীও এই চেতনা, এই বেগ থামাতে পারে না। কারণ রবীন্দ্রনাথ তার অমর বাণীর মাধ্যমে বৈশাখের চেহারা আলোকোজ্জ্বল করে দিয়ে গেছেন।বলুন এই বাণী বাঙালি কি ভুলে থাকতে পারবে - ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’। আমি এই গানের ব্যাখ্যায় যাবো না। আমি বলবো চেতনার কথা। চেতনা হল ভিতরের বিষয়। ভিতর বলতে অন্ধকার নয়। কৃষ্ণচূড়ার মত টকটকে। এই ফুল যেন ফুটছে অহরহ। পহেলা বৈশাখের পর, বর্ষা উৎসব, শরৎ উৎসব, হেমন্ত উৎসব, ফাল্গুন উৎসব ও চৈত্র সংক্রান্তি এখন খুব ঘটা করেই পালন করা হচ্ছে। এমন পালনে শুধু মনে পড়ে সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে। মনে পড়ে তার পঙ্ক্তি : ‘ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত’। বসন্তের পরেই আসে নতুন বছর। গাছের দিকে তাকালে নতুনকে টের পাই। কঁচি পাতাগুলো ঝিরিঝিরি বাতাসে দোল খায় ‘গভীর চোখের তারায় তারায়’। আমরা পুরনো স্মৃতিকে ভুলে নব জাগরণে উদীপ্ত হই। জেগে উঠি প্রাণের টানে। বলি- শুভ নববর্ষ। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১০-০৪-০১৫:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1