সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

শরীর ঘামার উপকারিতা...

প্রকাশিত: ১২:১৮ পিএম, মার্চ ২৩, ২০১৫
একুশে সংবাদ : দোর গোড়ায় গরমকালের উঁকিঝুকি চলছে। দুপুরে রোদের তাপ এখনই ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁইছুঁই করে। নানা উপায়ে গরমের হাত থেকে বাঁচলেও এসময় একটা জিনিসের হাত থেকে বাঁচা প্রায় অসম্ভব, ঘাম। তার সঙ্গে একরাশ ক্লান্তির অনুভুতি। কিন্তু আপনি জানেন কি ঘামা শরীরের জন্য উপকারি। এর বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক... ১. ব্যাথা উপশম করে: সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন ঘাড়ে কিংবা হাতে বেশ ব্যাথা। কী করবেন মাথায় আসছে না। খচখচে ভাবটা যাচ্ছে না কিছুতেই। ঘরেই হাল্কা গা ঘামানোর এক্সারসাইজ করুন। চিকিৎসকরা বলেন, ব্যায়াম মস্তিষ্কের বিশেষ অংশকে উত্তেজিত করে। যার ফলে শরীরে এন্ডরফিনের মাত্রা বাড়ে। যা স্বাভাবিক ভাবে ব্যাথা উপশমে কার্যকরী। ২. শরীর পরিষ্কার রাখে: ঘামের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ভিতরকার এবং ত্বকের উপরিভাগের ময়লা বেরিয়ে আসে। সারা দিন যাঁরা বাইরে ঘুরে কাজ করেন বা যাঁরা খেলাধূলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাঁরা দিনে অন্তত ৩ বার ভালো করে শরীর ধুয়ে ফেলুন। ৩. ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে আনে: সপ্তাহে অন্তত একবার এক্সারসাইজের মাধ্যমে প্রচুর ঘামলে শরীরে ক্ষতিকারক টক্সিন অ্যালকোহল, কোলস্টেরল এবং অতিরিক্ত লবনের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। ঘরে বসেই সাইক্লিং বা হাল্কা জগিং করে এ কাজ সহজে করতে পারেন আপনি। ৪. মেজাজ পাল্টাতে সাহায্য করে: কোনও কারণে যদি মেজাজ খিঁচড়ে থাকে বা সারাদিন কাজের পর রুক্ষ মেজাজে থাকেন, তবে ঘরে বসেই খানিক যোগ ব্যায়াম বা বাড়ির ধারেকাছে কোনও পার্কে গিয়ে জোরে জোরে হাঁটুন, যাতে ঘাম হয়। দেখবেন, বেশ হাল্কা লাগছে। গবেষণায় দেখা গেছে, উত্তাপের রকমফেরে স্নায়ুতন্ত্র মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ৫. সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে: জার্মানির এবারহার্ড কার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঘামের সঙ্গে ডার্মসিডিন নামে এক ধরণের অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল পেপটাইড নির্গত হয়। যা সংক্রমণ রোধে সাহায্য করে। বিশেষত, যক্ষার জীবাণু এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। ৬. শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে: যে কোনও কাজ করার সময় আমাদের শরীরের তাপমাত্রা একটু করে বাড়তে থাকে। যে কাজ যত কষ্টসাধ্য তাতে তাপমাত্রা বাড়ার পরিমাণ তত বেশি। ঘাম এই অতিরিক্ত তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যদি কোনও কারণে ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, তাতে ঝিমুনিভাব, ত্বকে র‌্যাশ বেরনো এমনকি জ্ঞানও হারাতে পারেন। ৭. কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমায়: ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যদি প্রত্যেক দিন ব্যায়ামের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘাম হয়, তবে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। কারণ ঘামের সঙ্গে শরীরের অতিরিক্ত লবন এবং ক্যালসিয়াম বেরিয়ে যায়। যেটা কিডনিতে জমা হয়ে পাথর সৃষ্টি করে। আর যাঁরা বেশি ঘামেন, তাঁরা জলও বেশি খান। ফলে কিডনি তাতেও পরিষ্কার থাকে। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৩-০৩-০১৫:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1