সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৫ টাকা

প্রকাশিত: ১২:৩২ পিএম, মার্চ ২১, ২০১৫
একুশে সংবাদ : রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে কমেছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহ শেষে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা কমেছে। এ দিকে গত সপ্তাহের তুলনায় দেশি মসুর ডাল কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকা দরে। তবে মাছ, মাংস, ডিম, সবজিসহ বেশিরভাগ মুদিপণ্য বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের দামেই। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। রাজধানীর নিউমার্কেট ও আজিমপুরের পলাশী কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে আকার ভেদে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫ টাকা কমে ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের ৪০ টাকা দরের ভারতীয় পেঁয়াজ ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৫ টাকা দরে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিউমার্কেটের গাজী জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী ওলিউর রহমান জানান, দেশে পেঁয়াজের ফলন ভালো হওয়ায় বাজারে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। এ কারণে দাম কমেছে। দেশি মসুর ডালের দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে নিউমার্কেটের মারিয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী জামাল হোসেন জানান, গত সপ্তাহে আমরা প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল ১১০ টাকা করে বিক্রি করেছি। চলতি সপ্তাহে পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরাও দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছি। কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতারা প্রতি কেজি আলু ১৩-১৫ টাকা, বেগুন ৩৫-৪০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, চাল কুমড়া ৩০-৪০ টাকা, লাউ ৪০-৪৫ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকা, গাজর ২৫-৩০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০-৭০ টাকা, মটরশুটি ৫০-৬০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ২০-২৫ টাকা,ফুল কপি প্রতিটি ২৫-৩০ টাকা, বাধা কপি প্রতিটি ২৫-৩০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ২০ টাকা দরে বিক্রি করছে। আদা প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি আঁটি লাউ শাক ১৫-২০ টাকা, লাল শাক ও সবুজ শাক ১০-১২ টাকা, পুঁই শাক ১৫-১৮ টাকা ও ডাঁটা শাক ১৫-২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্যাপসিকাম আকারভেদে প্রতিটি ২০-৩০ টাকা, ব্রোকলি ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মুদিপণ্যের মধ্যে প্রতি কেজি মুগ ডাল ১২০-১২৫ টাকা, বুটের ডাল ৪০-৪৫ টাকা, মাসকলাই ৯০ টাকা, ছোলা ৬০-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি খোলা চিনি ৪৩-৪৫ টাকা, প্যাকেট চিনি ৫০ টাকা, প্রতি কেজি খোলা আটা ৩২ টাকা, প্যাকেট আটা প্রতি ২ কেজি ৬৮-৭০ টাকা। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা ও প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা দরে। মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই ২৭০-৩৫০ টাকা, কাতলা ৩৮০-৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০-২০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৬০-২০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০-১৮০ টাকা, বাটা মাছ ১৬০-২৫০ টাকা, শিং ৪৫০-৯০০, চাষের কৈ ২৫০-২৮০ টাকা, দেশি কৈ ৬০০-৭০০ টাকা,শৌল মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, আঁইড় ৪৫০-৮০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৬০০-১৪০০ টাকা, সর পুঁটি ১৫০-১৬০ টাকা, পোয়া ৪০০-৪৫০ টাকা, মলা ৩০০-৩৫০ টাকা, পাবদা ৫০০-৬০০ টাকা,বোয়াল ৪৫০-৫০০ টাকা এবং দেশি মাগুর ৬৫০-৭০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৩৪০-৩৫০ টাকা, খাসির মাংস ৫০০-৫৫০ টাকা, দেশি মুরগি প্রতিটি ৩৩০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের লাল ডিম প্রতি হালি ৩০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ৪০ টাকা ও হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা দরে। বিক্রেতারা প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি করছেন ৩৬-৩৮ টাকা দরে। এছাড়া মিনিকেট ৫০-৫২ টাকা, পারিজা ৪২ টাকা, নাজির শাইল ৫০-৫৫ টাকা এবং লতা ৩৮-৪৩ টাকা দরে বিক্রি হচেছ। সুগন্ধি চালের মধ্যে কাটারি ভোগ প্রতি কেজি ৭৫ টাকা, কালো জিরা চাল খোলা ৮০-৮৫ টাকা এবং প্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২১-০৩-০১৫:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1