সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

চসিকের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে অনুমোদনহীন জনবল

প্রকাশিত: ১২:২৯ পিএম, মার্চ ২, ২০১৫
একুশে সংবাদ : ১৯৮৮ সালে প্রণীত জনবল কাঠামো দিয়েই চলছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। ২৭ বছরে করপোরেশনের প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কাঠামোর দ্বিগুন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। হরতাল-অবরোধে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আদায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা আদায়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঠিকাদারদের উন্নয়ন কাজের টাকা আদায় করতে না পারায় বাড়ছে বকেয়ার বোঝাও। ফলে অতিরিক্ত জনবল চসিকের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। করপোরেশন সূত্র জানায়, ১৯৮৮ সালের জনবল কাঠামো অনুযায়ী অনুমোদিত কর্মকর্তা-কর্মচারি ৩ হাজার ১৮০ জন। ২৭ বছরে নতুন জনবল কাঠামোর অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রণালয়। বর্তমানে চসিকের জনবল স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে ৭ হাজার ৪৮৭জন। এরমধ্যে স্থায়ী ৩ হাজার ৩৪০ ও অস্থায়ী ৪ হাজার ১৪৭জন। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া নিয়োগ পাওয়া ৪ হাজার ৩০৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন আদায় করা হয় করপোরেশনের নিজস্ব তহবিল থেকে। সিটি কর্পোরেশনের সচিব রশিদ আহমেদ বলেন,‘২৭ বছর আগের জনবল কাঠামো দিয়েতো সিটি করপোরেশন চালানো সম্ভব নয়। ২৭ বছরে সিটি করপোরেশনের পরিধি যেমন বেড়েছে তেমনি জনসংখ্যাও বেড়েছে। নগরবাসীর সেবা নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশনকে বিভিন্ন সময় জনবল নিয়োগ দিতে হয়েছে। অতিরিক্ত জনবলের বেতন-ভাতা করপোরেশনের নিজস্ব তহবিল থেকে আদায় করা হয়। জনবল বৃদ্ধির জন্য একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।’ করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, লোকবল বৃদ্ধির জন্য নতুন জনবল কাঠামো প্রস্তাব করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। নতুন কাঠামোতে ছয় হাজার জনবলের সুপারিশ করা হয়েছিল।। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রস্তাব সংশোধন করে দুইহাজার ৪০০ জনবলের সুপারিশ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন করপোরেশনের কর্মকর্তারা। করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ জানুয়ারী থেকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের হরতাল-অবরোধে রাজস্ব আদায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে(জুন-ডিসেম্বর) গড়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি টাকা। কিন্তু গত জানুয়ারি মাসে আদায় হয়েছে মাত্র সাড়ে ৮ কোটি টাকা। করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা শামসুল ইসলাম বলেন,‘কর্মকর্তারা কর আদায়ের জন্য গেলে করদাতারা হরতাল-অবরোধের অজুহাত দেখিয়ে কর দিতে চাই না। এ কারণে রাজস্ব আদায় কমেছে।’ হরতাল অবরোধে রাজস্ব আদায় কমে যাওয়ায় অতিরিক্ত জনবলের বেতন-ভাতা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঠিকাদারদের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের টাকাও আদায় করতে পারছে না। চসিকের কাছে প্রায় একশ কোটি টাকা পাওনা বলে দাবি ঠিকাদারদের। কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা জমা না দিয়ে বেতন-ভাতা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। করপোরেশনের হিসাব শাখার এক কর্মকর্তা জানান,‘জানুয়ারিতে করপোরেশনের রাজস্ব আদায় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ কারণে অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতেই করপোরেশনের বেগ পেতে হচ্ছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে তা খরচ করতে হচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা করপোরেশনের ফিক্সড ডিপোজিটের টাকাও খরচ করতে হচ্ছে।’ একুশে সংবাদ ডটকম/আর/০২-০৩-০১৫:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1