সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

স্বস্তি ফিরেছে কাঁচাবাজারে

প্রকাশিত: ০১:৪২ পিএম, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৫
একুশে সংবাদ : প্রায় দুই মাস ধরেই চলছে টানা অবরোধ আর বিচ্ছিন্ন হরতাল। তবে থেমে নেই মানুষ ও মানুষের জীবনযাত্রা। রাজনৈতিক অস্থিরতা উপেক্ষা করেই বেড়েছে দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল। আর সেই সঙ্গে বেড়েছে রাজধানীর কাঁচাবাজার গুলোতে সবজির সরবরাহ। ফলে সবজির দাম কিছুটা কমায় দীর্ঘ দিন পর কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মাঝে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ-মাংসের পাশাপাশি মুদিপণ্যের দাম। রাজধানীর মিরপুর, কল্যাণপুর কাঁচবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। মিরপুরের শাহ আলী কাঁচাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান অর্থসূচককে জানান, ‘হরতাল-অবরোধে মহাসড়কে নাশকতা কম হওয়ায় পরিবহন চলাচল বেড়েছে। তাই সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় দাম একটু কম। তবে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘ফের যদি রাজনৈতিক সহিংসতা বেড়ে যায় তাহলে পরিস্থিতি আবার ঘোলাটে হয়ে যাবে’। কথা হয় মিরপুর-১ নং এর শাহ আলী কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী শফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি অর্থসূচককে বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কিছুটা কম। কিন্তু সবজির মৌসুম হিসেবে আশানুরূপ নয়। কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়- প্রতি কেজি টমেটো ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়। শিম কেজিতে ৮-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। কাঁচা মরিচ ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। গত সপ্তাহের ৩০-৪০ টাকার শশা বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। এছাড়া বিক্রেতারা প্রতি কেজি আলু ১২-১৪ টাকা, বেগুন ৩০-৪০ টাকা, আকারভেদে প্রতিটি ফুলকপি ১৮-২০ টাকা, বাধাকপি ১৫-১৮ টাকা, কেজি প্রতি শালগম ২৫-৩০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, গাজর ২০-২৫ টাকা, পটল ৬০-৭০ টাকা, মূলা ২০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৭০-৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০-৭০ টাকা, মটরশুটি ৫০-৬০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ২০-২৫ টাকা, লেবু প্রতি হালি ২০ টাকা দরে বিক্রি করছে। প্রতি আঁটি লাউ শাক ১৫ টাকা, লাল শাক ও সবুজ শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ১৫ টাকা ও ডাঁটা শাক ১৫-২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্যাপসিকাম আকারভেদে প্রতিটি ২০-৩০ টাকা, ব্রোকলি ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ ৪৮-৫০, ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা, দেশি রসুন কেজি প্রতি ৯০-৯৫ টাকা, ভারতীয় (মোটা)রসুন ৮৫-৯০ টাকা ও এক দানা রসুন ১৬০ টাকা, আদা ৯০-৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মুদিপণ্যের মধ্যে দেশি মসুর ডাল কেজি প্রতি ১২০-১২৫ টাকা। ভারতীয় মসুর ডাল (মোটা) কেজি প্রতি ৯০-৯৫ টাকা, প্রতি কেজি মুগ ডাল ১২০-১২৫ টাকা, বুটের ডাল ৪০-৪৫ টাকা, মাসকলাই ৯০ টাকা, ছোলা ৬০-৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি খোলা চিনি ৪৩-৪৫ টাকা, প্যাকেট চিনি ৫০ টাকা, প্রতি কেজি খোলা আটা ৩২ টাকা, প্যাকেট আটা প্রতি ২ কেজি ৭০ টাকা। মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই ২৮০-৩৭০ টাকা, কাতলা ৩৯০-৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০-২০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৭০-২০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০-১৮০ টাকা, বাটা মাছ ১৬০-২০০ টাকা, শিং ৪৫০-৯০০, চাষের কৈ ২৫০-২৮০ টাকা, দেশি কৈ ৬০০-৭০০ টাকা, শৌল মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, আইড় ৪৫০-৮০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৬০০-১৪০০ টাকা, সর পুঁটি ১৫০-১৬০ টাকা, পোয়া ৪০০-৪৫০ টাকা, মলা ৩০০-৩৫০ টাকা, পাবদা ৫০০-৬০০ টাকা, বোয়াল ৪৫০-৫০০ টাকা এবং দেশি মাগুর ৬৫০-৭০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৩৩০-৩৪০ টাকা, খাসির মাংস ৪৯০-৫০০ টাকা, ব্রয়লার ১৩০-১৪০ টাকা, লেয়ার ১৪০ টাকা, দেশি মুরগি প্রতিটি ৩৩০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের লাল ডিম প্রতি হালি ৩০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ৪২ টাকা ও হাঁসের ডিম ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি করছেন ৩৭-৩৮ টাকা দরে। এছাড়া মিনিকেট ৫০-৫২ টাকা, পারিজা ৪২ টাকা, নাজির শাইল ৫২-৫৮ টাকা ও বিআর আটাশ ৩৮-৪০ টাকা এবং লতা ৩৮-৪২ টাকা দরে বিক্রি হচেছ। সুগন্ধি চালের মধ্যে কাটারি ভোগ প্রতি কেজি ৭৫ টাকা, কালো জিরা খোলা ৮০-৮৫ টাকা এবং প্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৮-০২-০১৫:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1