সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই অসাধু ব্যক্তিদের কাঁকড়া শিকার

প্রকাশিত: ১২:৪৪ পিএম, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫
একুশে সংবাদ : বর্তমানে কাঁকড়া প্রজনন মওসুম চলছে। তাই সুন্দরবনের খাল ও নদীতে কাঁকড়া আহরণ পারমিট (অনুমতিপত্র) বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এ নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কিছু অসাধু বন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে কাঁকড়া আহরণ চালিয়ে যাচ্ছে জেলেরা। সুন্দরবন সংশ্লিষ্ট জেলে-বাওয়ালীরা জানায়, কাঁকড়া আহরণের অনুমতি বন্ধ থাকলেও এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি ভিন্ন পন্থায় কাঁকড়া শিকার চালিয়ে যাচ্ছে। কাঁকড়া আহরণের নামে সুন্দরবনের গুইসাপ নিধনের পাশাপাশি শিকারীদের অনেকে হরিণ শিকার করে সুন্দরবন ধ্বংসের মহোৎসবে মেতে ওঠেছে। যে কারণে বিগত দু’মাস যাবৎ বন বিভাগ কাঁকড়া আহরণের অনুমতি দেয়া বন্ধ রেখেছে। তারা আরও জানায়, অনুমতি বন্ধ থাকলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মাছ ধরার জন্য দড়ি-বড়শির পাশ নিয়ে সুন্দরবনে গিয়ে কাঁকড়া আহরণ করছে। এতে কাঁকড়ার প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। তাছাড়া কাঁকড়ার পাশাপাশি গুইসাপ, হরিণ শিকারের ফলে এসব প্রাণীও ধ্বংস হচ্ছে। সুন্দরবনের হড্ডা, কালাবগী, আদাচাই, মানিকখালী, ঝাপসি, হলদেবুনিয়া, বড়ছেলা, ছোটছেলাসহ বেশ কয়েকটি খাল-নদীতে গিয়ে দেখা যায়, অনুমতি না থাকলেও ওইসব স্থানে প্রকাশ্যে কাঁকড়া আহরণ করা হচ্ছে। আহরণকারীরা জানায়, তারা বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে পাশ নিয়ে এসেছেন। সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জহির উদ্দিন আহমেদ জানান, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি কাঁকড়া প্রজনন মওসুম। এই দুই মাস সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদী ও খালে কাঁকড়া আহরণ নিষিদ্ধ। মার্চ মাস থেকে আবারও সুন্দরবন এলাকায় কাঁকড়া শিকারের পারমিট (অনুমতি পত্র) দেয়া হবে। আইন ভেঙে যদি কেউ কাঁকড়া আহরণে যুক্ত থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২২-০২-০১৫:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1