সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

''ডিসিসি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত কমিশন''

প্রকাশিত: ০১:৫৪ পিএম, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫
একুশে সংবাদ : দীর্ঘ সাত বছর ধরে আটকে আছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (ডিসিসি) নির্বাচন। মূলত সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে আটকে থাকা নগরবাসীর আকাঙ্খার নির্বাচন করতে সরকার নড়েচড়ে বসেছে। এরই মধ্যে সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি করে গেজেটও প্রকাশ করা হয়েছে।সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে গেজেট ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে।এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশনও। এ বিষয়ে আলাপচারিতা হয় নির্বাচন কমিশন সচিব সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে। তার আলাপচারিতা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো। সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করে তো গেজেট প্রকাশ হয়েছে। এখন নির্বাচন করতে সমস্যা কোথায়? সিরাজুল ইসলাম: নির্বাচন করতে আমাদের সমস্যা নাই। আমরা প্রস্তুত আছি। গেজেট প্রকাশ হয়েছে তা আমরা বিভিন্ন পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে গেজেটের কপি এখনো আমরা পাইনি। গেজেট হাতে পেলেই আমরা নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু করবো। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নির্বাচন করা কি কমিশনের পক্ষে সম্ভব? সিরাজুল ইসলাম: আসলে পরিস্থিতির ওপরই সবকিছু নির্ভর করে।এখন যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা পরে নাও থাকতে পারে।পরিস্থিতি আরো ভালোও হতে পারে।আমরা চাই নির্বাচন হোক।সরকার যেহেতু চাইছে নির্বাচন করতে তাহলে নির্বাচন করতে হবে।কারণ সরকারের ইচ্ছার উপরই নির্ভর করছে ডিসিসি নির্বাচন। রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো না, এ অবস্থায় ডিসিসি নির্বাচন কতটা যৌক্তিক হবে বলে মনে করেন? সিরাজুল ইসলাম: রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে চাইনা। পরিস্থিতি জটিল এটা সবাই জানে। আমরা নির্বাচন করতে সদা প্রস্তুত। কমিশন কোন দলের হয়ে কাজ করেনা। রাজনৈতিক দলগুলো যদি চায় নির্বাচন করবে তাহলে তারা অবশ্যই এই রাজনৈতিক সংঘাত বন্ধ করবে বলে আশা রাখি। আপনারা বলেছেন গেজেট পেলে শিগগিরই নির্বাচন করবেন। কতদিনের মধ্যে তা সম্ভব ? সিরাজুল ইসলাম: এটা কমিশনের সিদ্ধান্ত। গেজেট পাওয়ার পরে কমিশনের বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্দান্ত নেয়া হবে। তবে তফসিল ঘোষনার পর ৪৫দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়।আমাদের কাছে গেজেটের কপি পৌঁছলেই তফসিল ঘোষণা করা সম্ভব। সে হিসেবে দেড় থেকে দুই মাসতো লাগবেই। এছাড়া তফসিলের আগে আমাদের কিছু কার্যক্রমও করতে হবে। মার্চের মধ্যে কি নির্বাচন করা সম্ভব, আপনার মতামত কী? সিরাজুল ইসলাম: প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকে ডিসিসি নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন বলে আমরা সংবাদ মাধ্যমে জেনেছি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে নির্বাচন করতে নির্দেশনাও দিয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ইসিকে কোনো নির্দেশনা এখনও দেয়া হয়নি। তবে যেহেতু নির্বাচনের ৪৫দিন আগে তফসিল ঘোষণা করতে হয়। আর এখন মাসের অর্ধেক চলে গেছে। সে হিসেবে মার্চে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। নির্বাচন নিয়ে আপনাদের প্রস্তুতি কেমন? সিরাজুল ইসলাম: আমরা জাতীয় নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচন করেছি। তাই অনেক কিছুই আগে থেকেই প্রস্তুত আছে। আর আনুষঙ্গিক প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছি। এসএসসি পরীক্ষা চলছে ও এইচএসসি পরীক্ষা সামনে। নির্বাচনে পরীক্ষা বাঁধা হবে কী? সিরাজুল ইসলাম: নির্বাচন করার আগে অবশ্যই এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। পরীক্ষার গ্যাপেই নির্বাচন নেয়া হবে। তবে এ ব্যাপারে ইসি সিদ্ধান্ত নেবে। চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনেরও মেয়াদ জুলাইয়ে শেষ হবে। জুনের প্রথম দিকে নির্বাচন নেয়ার কথা ভাবছেন কী? সিরাজুল ইসলাম: জুনের প্রথম সপ্তাহে নেয়া হবে কিনা এ বিষয়ে ইসি এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আমাদের কোন বাঁধা নাই। আগামী ২৫ জুলাইয়ে শেষ হবে এর মেয়াদ। মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন করতে হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা বিবেচনা করেই ইসি নির্বাচনের সিদ্দান্ত নেবে। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৮-০২-০১৫:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1