সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

জেনে নিন চুমুর উপকারিতা

প্রকাশিত: ০৪:২২ পিএম, জানুয়ারি ২৪, ২০১৫
একুশে সংবাদ : চুম্বন হলো ভালোবাসা প্রকাশের একটি মাধ্যম। ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম সহ আরো অনেক দেশেই গালে চুম্বন করাটা শুভেচ্ছা জানানোর একটি রীতি এবং কাউকে ‘হ্যালো’ বলার একটি প্রথা। চুম্বন হল দুই ঠোঁটের স্পর্শ দিয়ে কাউকে আদর করা বা স্নেহ প্রকাশ করা। মানব সভ্যতার বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও উৎসবে চুম্বন প্রথা ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। এটি অভিবাদনের সাধারণ একটি রীতি। বেশ কিছু ধর্মগ্রন্থতেও চুম্বনের কথা বর্ণিত হয়েছে। হোমারের রচনা থেকে জানা যায় যে প্রাচীন গ্রিসে শ্রদ্ধা প্রদর্শনের পন্থা হিসেবে ঠোঁট, হাত ও পা চুম্বনের প্রথা প্রচলিত ছিল। প্রাচীন রোমে, ইসাক ডি’ইসরায়েলির বর্ণনা থেকে জানা যায়, কেউ যদি একনায়কের হাতে চুম্বনের অনুমতি পেতেন তাহলে তারা নিজেদেরকে ভাগ্যবান মনে করতেন। গবেষকদের মতে চুম্বন শরীরের জন্যও বেশ উপকারী। উদাহারণস্বরূপ ধরুন আপনি খুব মানসিক চাপে আছেন কোনো কিছু নিয়ে। এই সময়ে ভালোবাসার মানুষটির একটি চুম্বনেই আপনার মানসিক চাপ অনেকখানি কমে যাবে। নিয়মিত চুম্বনে মানুষের যৌবনও বৃদ্ধি পায়। আসুন জেনে নেই চুম্বনের শারীরিক উপকারিতাগুলো। -দুজন ব্যক্তি পরস্পরকে চুম্বনের সময়ে মুখের প্রায় ৩০টি পেশি ব্যবহৃত হয়। এতে রক্ত চলাচল বাড়ে এবং বয়সের কারণে সৃষ্ট মুখের বলিরেখা কমায়। -প্রায় ২ মিনিট ধরে চুম্বন করলে অন্তত ৬ ক্যালোরি ক্ষয় হয়। চুম্বনে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়, তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চুম্বনের জুড়ি নেই। -চুমু খাওয়া দাঁতের জন্যও উপকারী। চুম্বনের সময় মুখের সালাইভা ফ্লো বাড়ে এবং এর ফলে দাঁত পরিষ্কার হয় ও ভালো থাকে। -যারা চুমু খেতে ভালোবাসেন এবং নিয়মিত চুমু খান তাদের ইনসোমনিয়ার সমস্যা হয় না। অন্যদের তুলনায় তারা মানসিক ভাবে স্থির প্রকৃতির হয়। -চুম্বনের ফলে দেহে অক্সিটোসিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যা দেহকে প্রশান্ত রাখতে সহায়তা করে। -গবেষণায় জানা গেছে যে অনেকেই যৌনতার চাইতে চুম্বনকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাদের মতে চুম্বনে বেশি ভালোবাসা প্রকাশ পায়। -গবেষকদের মতে যারা নিয়মিত চুম্বন করে জীবন সম্পর্কে তাদের ধারণা বেশ ইতিবাচক। এসব যুগল অন্যদের তুলনায় বেশি দীর্ঘ ও সুস্থ্ জীবন যাপন করে। -নিয়মিত চুম্বনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং দাম্পত্য সম্পর্ক আরো মজবুত হয়। -নিয়মিয় চুম্বনকারী দম্পতিরা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও সুখী হয়। চুম্বনের সময় শরীর সুখাঅনুভূতির হরমোন তৈরি করে। যার ফলে তারা অন্যদের থেকে বেশি প্রশান্তিতে থাকে এবং যে কোনো লক্ষ্য সহজেই অর্জন করতে পারে। -চুম্বন করলে মেজাজ ফুরফুরে থাকে। প্রতিদিন সকালে মাত্র ২ মিনিট চুম্বন করলে সারা দিন আপনার মন-মেজাজ উত্ফুল্ল থাকবে। -গিনিজ ওয়ার্ল্ড অনুযায়ী এখন পর্যন্ত সবচেয়ে লম্বা চুম্বনটি ছিলো ৫০ ঘন্টা ২৫ মিনিট ১ সেকেন্ড মেয়াদী। দুটি মানুষের ভালোবাসা প্রকাশের এই মাধ্যমে শরীরের নানান উপকারীতা লুকিয়ে আছে। চুম্বনকে মনের খোরাকের পাশাপাশি শরীরের খোরাকও বলা যেতে পারে। তাই ভালোবাসার মানুষটিকে চুম্বন করে সুস্থ,দীর্ঘ ও সুখী জীবন লাভ করুন। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৪-০১-০১৫:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1