সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

উখিয়ায় শীর্ষ মানবপাচারকারী রেবি ম্যাডাম ফের গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ০৬:৫৬ পিএম, জানুয়ারি ২১, ২০১৫
উখিয়া প্রতিনিধি : কক্সবাজারের উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের শীর্ষ মানবপাচারকারী রেজিয়া আক্তার ওরফে রেবি ম্যাডামকে ফের আটক করেছে ডিবি পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকাল ৩ টায় দিকে জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনারপাড়াস্থ তার নিজ বাড়ী থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মানবপাচারকারী ফয়েজ আহমদ পুলিশ প্রহরায় নিরাপদে উপকূলীয় ছেপটখালী থেকে কক্সবাজারে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কক্সবাজার ডিবি পুলিশের ওসি আবুল হোসেন বলেন, চি˝িত এ মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে কক্সবাজারের বিভিন্ন থানায় ৮টি মামলা রয়েছে। কয়েকটি মামলায় জামিনে থাকলেও অবশিষ্ট মামলায় পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। আটককৃত মানবপাচারকারী রেবি ম্যাডামকে ডিবি পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। উল্লেখ্য প্রায় ২ মাস পূর্বে উক্ত মানবপাচারকারী রেবি ম্যাডাম কক্সবাজার শহর থেকে পুলিশের হাতে আটক হয়ে  দীর্ঘদিন জেল হাজত বাস করার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও সমূদ্র পথে মানবপাচার কাজ চালালে বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল ফের ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে। অন্য দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মানবপাচারকারী উখিয়ার ছেপটখালী গ্রামের ফয়েজ আহমদকে পুলিশ হাতে পেয়েও গ্রেপ্তার না করে কৌশলে পুলিশ পাহারায় কক্সবাজারের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে নিজ গ্রামের বাড়ী ছেপটখালী থেকে উখিয়ার ইনানী ফাঁড়ি পুলিশের সহায়তায় অন্যান্য মানবপাচারকারীদের মোটর সাইকেল স্কটে করে অন্য মানবপাচারকারী মনখালী মোঃ মুছার নেতৃত্বে কক্সবাজার পৌঁছে গেছে বলে জালিয়াপালং ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি কামাল উদ্দিন, উখিয়া যুবলীগ সভাপতি মুজিবুল হক আজাদসহ স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। ইনানী ফাঁড়ি পুলিশের আইসি এসআই আলা উদ্দিন বলেন, শীর্ষ মানবপাচারকারী ফয়েজ আহমদ এলাকায় অবস্থান করার খবর পাওয়ার পর একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে আটক করতে পারিনি। তবে ফয়েজ আহমদকে পালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে পুলিশের সহায়তার কথা অস্বীকার করেন। এদিকে শীর্ষ মানবপাচারকারী রেবি ম্যাডাম গ্রেপ্তার হলেও তার সহযোগীরা এখনো পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। প্রায় ৬০ জনের একটি পাচারকারী সিন্ডিকেট জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ পাচার পয়েন্ট নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। তৎমধ্যে জালিয়াপালং ইউনিয়নের পরিষদের ইউপি মেম্বার জাহেদ, বেলাল মেম্বার, ফয়েজ আহমদ, আবুল কালাম, নূরুল কবির, রফিকুল হুদা, সোলতান মেম্বার, কালা জমির, যুবদল নেতা ছৈয়দ, মাহবুল আলম, বুলবুল আক্তার, রোস্তম আলী, মোসলেম উদ্দিন, থাইংখালী রহমতের বিল গ্রামের লুৎফুন্নাহার, সোনাইছড়ি গ্রামের ধয়া খাতুর ছেলে মীর আহমদসহ আরো অর্ধশতাধিক পাচারকারী আইন শৃংখলা বাহিনীর জালে আটকা না পড়ায় চোরাই পয়েন্ট দিয়ে মানবপাচার কাজ পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২১-০১-০১৫:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1