সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

১০ হাজার টাকার চুক্তিতে কোটি টাকার স্বর্ণ পাচার

প্রকাশিত: ০৪:৫৬ পিএম, ডিসেম্বর ২০, ২০১৪
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিমানবন্দরে মাত্র ১০ হাজার টাকার ‍চুক্তিতে কোটি টাকার স্বর্ণ পাচারের পেশায় জড়িত রয়েছে একটি চক্র। এরা চোরাকারবারি চক্রের খরচে মালয়েশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য থেকে স্বর্ণ এনে বিমানবন্দরের গ্রিনচ্যানেল পার করে দেয়। বিনিময়ে নেয় মাত্র ১০ হাজার টাকা।     গতকাল শুক্রবার এভাবেই মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের এমএইচ১০২ ফ্লাইটে ৪০ লাখ টাকা মূল্যমানের স্বর্ণের একটি চালান নিয়ে বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমের সময় শুল্ক গোন্দাদের হাতে ধরা পড়েন রাশেদ (৩০) নামে একজন। তার সঙ্গে থাকা লাগেজ তল্লাশি করে ৮০০ গ্রাম স্বর্ণ উদ্বার করা হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিমানবন্দর থানায় তাকে হস্তান্তার করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।     আটককৃত রাশেদের বরাত দিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পরিচালক উম্মে নাহিদা বলেন, ‘রাশেদ দীর্ঘদিন যাবৎ সুমন নামের এক ব্যক্তির নির্দেশনায় স্বর্ণের চালান দেশে আনা নেয়া করছিলেন। এর আগে ‍তিনি কমপক্ষে আটবার স্বর্ণ এনেছেন। এ জন্য অবশ্য প্রত্যেকবার ১০ হাজার টাকা করে প্রতি চালানে পেতেন রাশেদ।’     তিনি আরো বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাশেদ সুমন নামের সেই ব্যক্তির একটি ফোন নম্বর দিয়েছেন। কিন্তু নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তবে আমরা সেই নম্বরটি বিমানবন্দর থানা পুলিশকে দিয়েছি।’     এর আগে শুক্রবার দুপুরে সৌদি আরব থেকে আসা আবু তাহের নামে এক যাত্রীর কাছ থেকে ৮২০ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। আবু তাহের সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এসভি ৮০৮ যোগে যাত্রী আবু তাহের (৫০) ঢাকায় অবতরণ করেন। গ্রিনচ্যানেল অতিক্রমের সময় তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তল্লাশি করা হয়। তার লাগেজ থেকে ৮২০ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের মূল্য আনুমানিক ৪০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন বিমানবন্দর কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার কাজী মুহাম্মদ জিয়াউদ্দীন ।     মামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিমানবন্দর থানার এসআই মুজিবুর বলেন, ‘বিশেষ ক্ষমতা আইনে আবু তাহের ও রাশেদ মিয়ার নামে শুক্রবার রাতে মামলা দায়ের করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই আমরা মামলা তদন্ত কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, খুব শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারব।’     মামলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না। এখন পর্যন্ত এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’     চোরাচালানে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগ সম্প্রতি বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের পর এই ৩টি স্বর্ণের চালান দেশে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের হাতে ধরা পড়েছে। স্বর্ণ চোরাচালানের সহযোগী বিমানের রাঘব বোয়ালরা জেলহাজতে থাকার পরও কীভাবে এতো স্বর্ণের চালান আসে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।     একুশে সংবাদ ডটকম/মামুন/২০.১২.২০১৪

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1