সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

পৃথিবীর সব কিছু আল্লাহকে সেজদা করে

প্রকাশিত: ০১:৪৬ পিএম, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৪
একুশে সংবাদ : আমরা যা কিছু দেখি বা না দেখি সব কিছু মহান আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। আকাশ-বাতাস, বৃক্ষলতা, তারকারাজি, পাখ-পাখালি, গাছ-গাছালি, জল ও স্থলের সব ধরনের প্রাণী এবং নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সব কিছু মহান আল্লাহর সৃষ্টি। এই বিশাল সৃষ্টি জগতের সব কিছু মহান পরওয়ারদেগারকে সেজদা করে। রাব্বুল আলামিনের দরবারে মাথা নুইয়ে দেয়। শতভাগ আনুগত্য স্বীকার করে। শুধু মানবজাতির মধ্যে অবাধ্য বান্দা পাওয়া যায়। আর কোনো জীব মহান আল্লাহর অবাধ্য নয়। সবাই বাধ্য ও অনুগত। সবাই আল্লাহতায়ালাকে সেজদা করে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে- ‘তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহকে সেজদা করে যা কিছু আছে নভোমণ্ডলে, যা কিছু আছে ভূমণ্ডলে, সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি, পর্বতরাজি, বৃক্ষলতা, জীবজন্তু এবং অনেক মানুষ। আবার অনেকের ওপর অবধারিত হয়েছে শাস্তি। আল্লাহ যাকে লাঞ্ছিত করেন, তাকে কেউ সম্মান দিতে পারে না। আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন।’ সূরা হজ্জ : আয়াত ১৮। পথহারা মানবজাতিকে আপন রবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে মহান পরওয়ারদিগার আরও ইরশাদ করেন, ‘তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে রয়েছে দিবস, রজনী, সূর্য ও চন্দ্র। তোমরা সূর্যকে সেজদা কর না, চন্দ্রকেও না; আল্লাহকে সেজদা কর, যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা নিষ্ঠার সঙ্গে শুধু তাঁরই ইবাদত কর। সূরা : হা-মীম সেজদা, আয়াত : ৩৭। পবিত্র কোরআনে আরও ইরশাদ হচ্ছে, ‘আল্লাহকে সেজদা করে যা কিছু নভোমণ্ডলে আছে এবং যা কিছু ভূমণ্ডলে আছে এবং ফেরেশতাগণ; তারা অহঙ্কার করে না। তারা তাদের ওপর পরাক্রমশালী পালনকর্তাকে ভয় করে এবং তারা যা আদেশ পায়, তা পালন করে।’ সূরা নাহল : আয়াত : ৪৯-৫০। মহান সৃষ্টিকর্তা প্রিয় বান্দাদের লক্ষ্য করে নিয়মিত নামাজ আদায় করতে ও অন্যান্য ইবাদত বন্দেগি করতে আহ্বান করছেন এবং বলছেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা রুকু কর, সেজদা কর, তোমাদের পালনকর্তার ইবাদত কর এবং সৎকাজ সম্পাদন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।’ সূরা হজ্জ : আয়াত : ৭৭। প্রিয় পাঠক! দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা সব মুসলমানের ওপর ফরজ। প্রতি ওয়াক্ত নামাজের মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর দরবারে হাজিরা দিই। তাঁর কুদরতি পায়ে সেজদা করি। কিন্তু চিন্তার বিষয় এই যে, আমরা কি সবাই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি? মহান রাব্বুল আলামিনের হুকুম পালন করি? তাঁর করুণা ও দয়া স্বীকার করি? যদি না করে থাকি তাহলে কবে থেকে আমরা ইবাদত-বন্দেগির প্রতি মনোযোগী হব? আর কতদিনই বা পৃথিবীতে বেঁচে থাকার সুযোগ পাব? এসব কি কখনো ভেবে দেখেছি? মহান রাব্বুল আলামিন যেন আমাদের সবাইকে তাঁর কুদরতি পায়ে প্রতিদিন পাঁচবার নামাজের মাধ্যমে অসংখ্যবার সেজদা করার তৌফিক দান করেন। আমিন। লেখক : খতিব, বাইতুর রহমত জামে মসজিদ, গাজীপুরা, টঙ্গী। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৯-১২-০১৪:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1