একুশে সংবাদ : বাইরের সমালোচনার পর এবার খোদ অর্থ মন্ত্রণালয় প্রশ্ন তুলেছে-পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) শেয়ারের মূল্য নির্ধারণে। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে নির্দেশনা দিয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ ১৭ ডিসেম্বর কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো চিঠিতে নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯-এর ধারা ২ এ(৪) অনুসারে কমিশন শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করবে না। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩-এর ৮(১) এবং ৮-এর (২) (ঙ) অনুযায়ী কমিশনের মূল উদ্দেশ্য, দায়িত্ব ও কার্যাবলি হচ্ছে সিকিউরিটিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ, সিকিউরিটির যথার্থ ইস্যু নিশ্চিতকরণ ও সিকিউরিটি বা সিকিউরিটি বাজার সম্পর্কিত প্রতারণামূলক এবং অসাধু ব্যবসা বন্ধ করবে। কিন্তু এক্ষেত্রে কমিশন বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে পারছে না। এছাড়া একই অধ্যাদেশের ধারা ২ এফ এবং ধারা ১৮ অনুসারে কোনো ইস্যুর মূলধন উত্তোলনের সময় মিথ্যা তথ্য প্রদান করবেন না বা মিথ্যা তথ্য দাখিল করবেন না। একইসঙ্গে কমিশন বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে নতুন শর্তারোপ করতে পারবে। কিন্তু সম্প্রতি বেশ কিছু কোম্পানি মূলধন উত্তোলনে মিথ্যা তথ্যের আশ্রয় নিয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ক্ষুণœ হয়েছে। এক্ষেত্রে বিএসইসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০০৬-এর বিধি ৮(বি) ১৬ (১) (বি) অনুসারে স্থিরমূল্য পদ্ধতিতে প্রিমিয়াম শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে একাধিক মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতির উল্লেখ রয়েছে। এজন্য এ পদ্ধতির সঠিক ব্যবহার এবং ব্যবহৃত উপাত্তের নির্ভুলতা যাচাইয়ের নির্দেশও দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের নির্দেশনাও দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৯-১২-০১৪: