সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ভুয়া স্লিপের মাধ্যমে চট্টগ্রাম ওয়াসায় অর্থ জালিয়াতি

প্রকাশিত: ১০:৩৯ এএম, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৪
একুশে সংবাদ : চট্টগ্রাম ওয়াসায় চলছে টাকা আত্মসাতের হরিলুট। ব্যাংক স্লিপ জাল করে পানি বিক্রির প্রায় ১৩ লাখ টাকা আত্মসাতের চাঞ্চল্যকর ঘটনার পর অভিযোগ উঠেছে লাইন স্থাপনের টাকা, গভীর নলকূপের লাইসেন্স ফি এবং নবায়ন ফিসহ বিভিন্ন খাতের টাকা নিয়ে। এদিকে পানি বিক্রির ১৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুই প্রকৌশলী ও ৯ কর্মচারীকে বরখাস্ত করায় বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন বিক্ষোভ করেছে। এ সময় ওয়াসা ভবন ৪ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর পানি সঙ্কট নিরসনে ওয়াসার ১৫টি ভাউচার দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৭৫ গাড়ি পানি বিক্রি হয়। ওয়াসার নিয়মানুযায়ী ভাউচারের পানির জন্য একটি রিকুইজিশন ফরম পূরণ করতে হয়। যেখানে একজন ওভারশিয়ার, একজন উপসহকারী প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলী স্বাক্ষর করেন। স্বাক্ষরিত এ রিকুইজিশন ফরম নিয়ে গ্রাহককে জনতা ব্যাংকের ওয়াসা শাখার নির্ধারিত হিসাবে জমা দিতে হয়। ব্যাংক সিস্নপ দেখে একজন ওভারশিয়ার বিতরণের রসিদ দেন। এ রসিদের একটি নমুনা গ্রাহক এবং একটি ভাউচার চালকের কাছে দেয়া হয়। চালক রসিদ অনুযায়ী পানি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেন। গ্রাহকদের বেশিরভাগই এ প্রক্রিয়ায় ওয়াসা কর্মকর্তা, চালক ও সহকারীদের সহযোগিতা নিয়ে থাকেন। এ সুযোগে ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট পরিকল্পিতভাবে জালিয়াতি করে টাকা আত্মসাৎ করছে। জালিয়াতির ক্ষেত্রে চক্রটি সই ও স্ট্যাম্প জাল করে ভুয়া ব্যাংক সিস্নপ গ্রাহকদের ইস্যু করে পানি সরবরাহ করত। গ্রাহকদের টাকা ওয়াসার হিসাবের পরিবর্তে যেত নিজেদের পকেটে। তবে ওয়াসার বিতরণ রসিদটি জাল না হওয়ায় সেখানে বিতরণকৃত পানির রেকর্ড সংরক্ষিত আছে, যার মাধ্যমে দুর্নীতির বিষয়টি উঠে আসে। ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, স্বাক্ষর ও সিল নকল করে ৯ মাসে ওয়াসার ১৫টি ভাউচারের মাধ্যমে পানি বিক্রির প্রায় ১৩ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনা তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে। যার ভিত্তিতে ১১ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা হলেন ওয়াসার ওয়াটার ওয়ার্কসের সহকারী প্রকৌশলী আশিক মাহমুদ চৌধুরী, উপসহকারী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম, ওভারশিয়ার আবদুর রহিম, চালক আলতাব আলী, মোঃ আবদুর রব, মোঃ শাহ জামাল, আমানত খান এবং সহকারী মোঃ আনোয়ার হোসেন, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ ইউছুফ ও মোঃ শাহাদাৎ। জালিয়াতি তদন্তের জন্য অবিলম্বে গঠন করা হবে একটি তদন্ত কমিটি। জালিয়াত চক্রের সব সদস্যকে চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। শ্রমিকদের প্রতিনিধি নিয়েই নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। শ্রমিক নেতার পাশাপাশি তদন্ত কমিটিতে রাখা হবে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট, সিনিয়র অডিট অফিসার ও প্রকৌশলী। তারা প্রকাশ্যে তদন্ত করবেন। কেউ নির্দোষ হলে তার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হবে। চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বলেন, ওয়াসার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তদারকির অভাবে ব্যাংক সিস্নপ জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিজেদের দোষ ঢাকতে সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূতভাবে ১১ জনকে বরখাস্ত করেছেন। যার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা যায়, সকাল ৮টার দিকে ওয়াসার মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে ১১ জনের বরখাস্তের বিরুদ্ধে সেস্নাগান দেয় শ্রমিক-কর্মচারীরা। কর্মসূচির কারণে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ কোনো কর্মকর্তা বহনকারী গাড়ি ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি। পানিবাহী যানবাহনের চালকরাও কর্মসূচিতে যোগ দেয়ায় ভাউচারের মাধ্যমে পানি সরবরাহ বন্ধ ছিল। এ বিষয়ে দামপাড়া ওয়াসা শাখার জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার মোস্তফা আনোয়ার বলেন, টাকাটা যদি ব্যাংকে জমা হওয়ার পর লোপাট হতো তাহলে বলা যেত এর সঙ্গে ব্যাংক জড়িত। কিন্তু টাকা ব্যাংকে না এসেই বাইরে থেকে কে বা কারা ব্যাংকের জমা সিস্নপ ও স্বাক্ষর জাল করে ওয়াসার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সেজন্য কোনোভাবেই ব্যাংক দায়ী হতে পারে না। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৫-১২-০১৪:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1