সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি কক্সবাজার

প্রকাশিত: ০৪:৩০ পিএম, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৪
একুশে সংবাদ : সাগর, নদী, পাহাড় আর সমুদ্র দ্বীপের সমাহার কক্সবাজার। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্হিত এই শহরে সৃষ্টিকর্তা যেন রূপসী বাংলার সব রূপ ঢেলে দিয়েছে বালুর আঁচলে। ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ছাড়াও বাংলাদেশের বৃহত্তম সামুদ্রিক মৎস্য বন্দর এবং সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন রয়েছে এখানে। কক্সবাজর শহরে ঢুকতেই কানে বাজবে উত্তাল সাগরের গর্জন। পশ্চিম দিকে উঁকি দিলে নজরে পড়বে বিশাল সাগর। নরম বালুচরে দেখা যায় লাল রঙের রাজকাঁকড়ার দৌড়ঝাঁপ, গভীর সাগরে মাছ ধরে জেলেদের ফিরে আসা। সাগরের বিশাল মায়াবী গোধূলী ও সুর্যাস্ত, রাতের নিস্তব্ধতায় এক অন্য জগত। সূর্য্যস্নান কিংবা সমুদ্রস্নানে নিজেকে বিলীন করে দেয়া যায় নীলাভ প্রকৃতিতে। খোলা জীপে, স্পীড বোটে বা ঘোড়ায় চড়ে বেড়ানো আর সমুদ্রের বালির বিছানায় দাঁড়িয়ে শামুক-ঝিনুকের সাখে লোকোচুরি খেলতে খেলতে উপভোগ করুন অনাবিল আনন্দ। উত্তাল সাগরে ঢেউয়ের ওপর ছেলে-মেয়ে ও বাচ্চাদের জলক্রীড়া দেখে মন সতেজ করতে হলে যেতে হবে কলাতলী পয়েন্টে। সৈকতের পাদদেশেই বিশাল ঝাউবাগান। উচুঁ পাহাড়ের ওপর ৩০০ বছর আগে স্থাপিত জাদিরাম মন্দির, ক্যাং, বার্মিজ মার্কেট মনোমুগ্ধকর রাডার ষ্টেশন, লাইট হাউজ এবং নাজিরাটেক শুটকিপল্লী ও ঝিনুক মার্কেট। সমুদ্র সৈকত ছাড়াও হিমছড়ির ঝরনা, ইনানিতে পাথরের সৈকত, নাইক্ষ্যংছড়ি লেক ও ঝুলন্ত ব্রীজ, কুতুবদিয়া, সোনাদিয়াদ্বীপ, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, ডুলহাজারা সাফারিপার্কসহ কক্সবাজার জেলার পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় লেগেই আছে। হিমছড়ির ঝরনা1 হিমছড়ি কক্সবাজারের ১৮ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থিত। ভঙ্গুর পাহাড় আর ঝর্ণা এখানকার প্রধান আকর্ষণ। কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি যাওয়ার পথে বামদিকে সবুজঘেরা পাহাড় আর ডানদিকে সমুদ্রের নীল জলরাশি মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের সৃষ্টি করে। বর্ষার সময়ে হিমছড়ির ঝর্ণাকে অনেক বেশি জীবন্ত ও প্রাণবন্ত বলে মনে হয়। হিমছড়িতে পাহাড়ের চূড়ায় একটি রিসোর্ট আছে যেখান থেকে সাগরের দৃশ্য অপার্থিব মনে হয়। হিমছড়ির প্রধান আকর্ষণ এখানকার ক্রিসমাস ট্রি। সম্প্রতি হিমছড়িতে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু পর্যটন কেন্দ্র ও পিকনিক স্পট। পাথরের সৈকত ইনানি2 ইনানী সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার থেকে ৩৫ কি.মি দক্ষিণে অবস্থিত। অভাবনীয় সৌন্দর্যে ভরপুর এই সমুদ্র সৈকতটি কক্সবাজার থেকে রাস্তায় মাত্র আধঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত। পরিষ্কার পানির জন্য জায়গাটি পর্যটকদের কাছে সমুদ্রস্নানের জন্য উৎকৃষ্ট বলে বিবেচিত। সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপ3 বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত একটি প্রবাল দ্বীপ। প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায় বলে স্থানীয়ভাবে একে নারিকেল জিঞ্জিরাও বলা হয়ে থাকে। সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে বিভিন্ন প্রজাতির প্রবাল,শামুক-ঝিনুক, সামুদ্রিক শৈবাল, গুপ্তজীবী উদ্ভিদ, সামুদ্রিক মাছ, উভচর প্রাণী ও পাখি দেখা যায়। দ্বীপটি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এখানে প্রতিদিন তিনটি লঞ্চ বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড (টেকনাফ) হতে আসা যাওয়া করে। এছাড়া টেকনাফ থেকে স্পীডবোটও চলাচল করে। সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে বর্তমানে বেশ কয়েকটি ভালো আবাসিক হোটেল রয়েছে। একটি সরকারি ডাকবাংলো আছে। সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল। নাইক্ষ্যংছড়ি লেক ও ঝুলন্ত ব্রীজ4 এটি একটি প্রাকৃতিক জলাশয়। পাহাড়ের পাদদেশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব সমাহার। এখানে রয়েছে একটি ঝুলন্ত ব্রীজ। এর উপর দিয়ে লেকের এপাড় ওপাড় যাওয়া যায়। কক্সবাজার শহর থেকে সরাসরি গাড়ি যোগে নাইক্ষ্যংছড়ি যাওয়া যায় এবং দিনে দিনেই ঘুরে আসা যায়। কক্সবাজার থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দূরত্ব ২৮ কি:মি:। প্রাকৃতিক এ বৈচিত্র দর্শনে জুড়িয়ে যাবে আপনার চোখ। ঝুলন্ত ব্রীজের উপর চড়ে মনে হবে, আপনি পানির উপর ভাসছেন। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৩-১২-০১৪:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1