সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বর্ধমান কাণ্ডকে নিয়ে মমতার মন্তব্য

প্রকাশিত: ১১:৪১ এএম, নভেম্বর ২৬, ২০১৪
একুশে সংবাদ : বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডের গতিপ্রকৃতি যেন আরো বেশি ঘোলা হয়ে উঠছে। এই ঘটনা বাংলাদেশ-ভারতে জঙ্গি তৎপরতার সাক্ষীই শুধু নয়, তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা পদে পদে বিস্মিত হচ্ছেন জঙ্গি নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি দেখেও। আবার একদিকে কলকাতার তৃণমূলের নেতাদের একে একে এই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া, অপরদিকে ভারতের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ (রিসার্চএন্ড অ্যানালিসিস উইং)কে জড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য- সবমিলিয়ে পরিস্থিতি হয়ে উঠছে আরো জটিল। একে একে বর্ধমান কাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া গেছে সাংসদ কুণাল ঘোষ, দলের সহ সভাপতি রজত মজুমদার, উত্তরপ্রদেশে দলের পর্যবেক্ষক আসিফ খানের এবং এবার সৃঞ্জয় বসুর। তার এই মন্তব্যের সাথে সাথেই দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিক্রিয়া। আইনজ্ঞ এবং পুলিশের একাংশ তার এই বক্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আখ্যা দিয়ে মনে করছেন, এবার অভিযুক্তদের আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পথ সুগমই হলো। অনেকে এধরণের মন্তব্যকে দেশোদ্রোহীতার সামিল মনে করছেন। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তাই আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও ঘনিষ্ঠজনদের কাছে মন্তব্য করেছেন, একটা রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর স্বভাবতই প্রশ্ন উঠবে- তাহলে যাদের গ্রেপ্তার করে রাখা হয়েছে বা অভিযুক্ত করা হয়েছে, তাদের কেন এমনটা করা হচ্ছে? জানা গেছে, খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে আটক ও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ছাড়াও ‘রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার চেষ্টা’র মতো কঠোর অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের এক আইনজীবী ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, মমতার এমন মন্তব্যের কারণেই ওইসব কঠোর ধারা কেন অভিযুক্তদের দেওয়া হলো- তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন তাদের আইনজীবীরা। কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ভগবর্তীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় এধরণের মন্তব্যকে গণতন্ত্র এবং দেশের নিরাপত্তার ব্যাপারে খুবই অশুভ লক্ষণ বলে মন্তব্য করে বলেছেন, যেকোনো বিচারাধীন বিষয়ে খুব সতর্ক হয়েই কথা বলতে হয়। মূখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য বিচারব্যবস্থায় নাক গলানরই সামিল। এদিকে রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি অরুণপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, সত্যকে বিকৃত করা উচিত নয়। এতে দুষ্কৃতীরা উৎসাহিত হয়। মমতার এমন মন্তব্যে শুধু বিচার প্রক্রিয়াই নয়, জঙ্গি নেটওয়ার্কের মূল সন্ধানে তদন্ত প্রক্রিয়াও ব্যহত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ১৮ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যা ব) এর সাথে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) এর বৈঠক। এতে দুইদেশের সর্বমোট ৫১ জঙ্গি সদস্যের নাম হস্তান্তর করা হয়েছে। এনআইএ দিয়েছে ১১ জঙ্গির তালিকা আর র্যাংব দিয়েছে ৪১ জনের তালিকা। এদের মাঝে ১০ জঙ্গি নেতা পলাতক। এবছর ময়মনসিংহের ত্রিশালে ছিনতাইয়ের ঘটনায় হাতছাড়া হয়ে যাওয়া তিন জঙ্গিও বর্ধমান কাণ্ডে জড়িত বলে সন্দেহ করছে বাংলাদেশ-ভারতের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। জানা গেছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে বাংলাদেশে ৩০০ জঙ্গি অবস্থান করছে। এদিকে গত ১৭ নভেম্বর এক প্রতিবেদনে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ‘ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস এন্ড পিস’ তাদের ‘গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডেক্স-২০১৪’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে ‘গুরুতর’ জঙ্গি ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ বলে দাবি করেছে। বিশ্বব্যাপী ১৬২ দেশের ৯৯ দশমিক ৬ শতাংশ জনসংখ্যার ওপর পরিচালিত এক জরিপের মাধ্যমে এ প্রতিবেদনে প্রস্তুত করা হয়েছে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অপরাধ এবং সাম্প্রদায়িক সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে এটি প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এমন এক জটিল পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য পরিস্থিতিকেই আরো জটিল করে তুললো বলে মনে করছেন অনেকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৬-১১-০১৪:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1