একুশে সংবাদ ডেস্ক: যুদ্ধ করতে হলে দরকার অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। কথায় আছে যুদ্ধবিমান যার হাতে যুদ্ধের নিয়ন্ত্রন তার হাতে। সম্প্রতি চীন গোপনে সুপারসনিক ড্রোন বিমান তৈরি করেছে।   মার্কিন বাহিনী প্রায় প্রতিটি যুদ্ধেই ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের উপর দাড়িয়ে বিজয় নিশান উড়ায়। কারণ বিশ্বে এখন পর্যন্ত যুদ্ধ বিমানের দিক দিয়ে এগিয়ে যুক্তরাষ্ট্র।   মার্কিন বাহিনী তার বিমান বাহিনীতে সর্বশেষ সংযোজন ঘটায় মনুষ্যবিহীন ড্রোন বিমান দিয়ে। আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেনে এই ড্রোন বিমানের কারণেই মার্কিন বাহিনী বিশেষ সুবিধা পেয়েছে। তবে বেশকিছু রাষ্ট্র মার্কিন ড্রোন বিমানের আদলে নিজেদের প্রযুক্তি খাটিয়ে ড্রোন বিমান বানাচ্ছে। এই রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে এগিয়ে চীন। সম্প্রতি একদল বিশেষজ্ঞ বলছে, চীন গোপনে সুপারসনিক ড্রোন বিমান তৈরি করেছে। অবশ্য ২০০৬ সালে চীন ড্রোন বিমান বানানোর ঘোষণা দিয়েছিল, কিন্তু তারা আদৌ ড্রোন বিমান বানিয়েছে কিনা সেব্যাপারে কোনো নিশ্চিত তথ্য নেই।   সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এক ভিডিও চিত্র মারফত চীনের সুপারসনিক বিমানের খবর জানা যায়। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের জুহাই বিমানঘাটিতে ‘আনজিয়ান’ বা ‘ডার্ক সোর্ড’ নামে একটি সুপারসনিক ড্রোন বিমানের প্রদর্শনী হয়। তবে প্রদর্শনীটি শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের জন্য উন্মুক্ত ছিল।   বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি সকল জল্পনা কল্পনা ঠিক হয় তাহলে বিশ্বের প্রথম সুপারসনিক ড্রোন বিমানের মালিক হবে চীন। আর এরফলে বিশ্ব মানচিত্রে চীন নতুন করে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করতে পারে।   ফাঁস হওয়া তথ্য মারফত আরও জানা যায়, চীন প্রাথমিক পর্যায়ে গতিসম্পন্ন ড্রোন বিমানের পরিকল্পনা করলেও পরবর্তীতে এর সঙ্গে আধুনিক অস্ত্র সংযোজনের পরিকল্পনাও যুক্ত হয়।   একুশে সংবাদ ডটকম/মামুন/২৫.১১.২০১৪