সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বৃদ্ধাদের সঙ্গে নির্মম প্রতারণা

প্রকাশিত: ১১:০৩ এএম, অক্টোবর ২৯, ২০১৪
একুশে সংবাদ : তিন বৃদ্ধাকে ঘিরে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংকের শাখার বাইরে মানুষের জটলা দেখা গেল। সবাই তাঁদের ঘিরে ধরেছে। তাঁদের আহাজারি আর বিলাপে শুনে সবাই দুঃখ করছিলেন। একজন বৃদ্ধা বিলাপ করে বলছেন, ‘আমরা এহন কী খায়ে বাঁচপো?’ ভিড় ঠেলে তাঁদের কাছে গিয়ে জানা গেল আসল ঘটনা। প্রতারণার এক গল্প। বৃদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বয়স্ক ভাতার টাকা তুলতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংকের শাখায় এসেছিলেন কুলসুম বেগম (৭৬), রাজিয়া বেগম (৮২) ও নুরজাহান বেগম (৮৫) নামের তিন বৃদ্ধা। তিনজনই প্রতিমাসের ৩০০ টাকা করে মোট তিন মাসের এক হাজার ২০০ টাকা উত্তোলন করেন। তাঁদের বাড়ি মহম্মদপুর উপজেলা সদরের মুরাইল পশ্চিমখণ্ড গ্রামে। ভাতার টাকা তোলার পর তাঁরা তিনজন ব্যাংকের বাইরে এসে দাঁড়ান। এ সময় একজন নিজেকে ব্যাংকের লোক পরিচয় দিয়ে ওই টাকা ফেরত চায়। তাঁদের জানানো হয়, ভুল করে ব্যাংক থেকে তাঁদের টাকা কম দেওয়া হয়েছে। তাঁরা আরও বেশি টাকা পাবেন। এ টাকা নিয়ে ব্যাংকে গিয়ে বেশি টাকা আনা হবে। এ কথা বলে ওই ব্যক্তি তিনজনের মোট তিন হাজার ৬০০ টাকা নিয়ে ব্যাংকের দিকে যায়। পরে দীর্ঘ সময়েও আর ফিরে না আসায় প্রতারণার বিষয়টি তাঁরা বুঝতে পারেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বৃদ্ধা রাজিয়া বেগম বলেন, ‘স্বামী মারা গেছে কুড়ি বছর। আয় করার কেউ নেই। তিন মাস পর পর বয়স্ক ভাতা পাই। ওই দিয়েই কোনোরকমে চলি। তাও নিয়ে গেলো।’ সোনালী ব্যাংকের মহম্মদপুর শাখার ব্যবস্থাপক আবদুল হাই মিয়া বলেন, ‘বয়স্ক ভাতা দেওয়ার দিন ব্যাংকে প্রচুর লোকসমাগম হয়। ভাতা নিতে আসা দরিদ্র লোকজনকে আমরা সাবধান করি। তার পরও প্রতারণার ওই ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’ মহম্মদপুর থানার ওসি মতিয়ার রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। আমি জেলার বাইরে আছি। থানায় ফিরে সবকিছু শুনে ব্যবস্থা নেব।’ একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৯-১০-০১৪:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1