সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

চট্টগ্রামে ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতি

প্রকাশিত: ১১:১২ এএম, অক্টোবর ২৮, ২০১৪
একুশে সংবাদ : চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্পে জমি দিয়ে প্রকৃত মালিকরা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। নাম জালিয়াতি করে ক্ষতিপূরণের অর্থ দেয়া হয়েছে অন্য কাউকে। আবার ক্ষতিপূরণ পেতে অফিস খরচের নামে জেলা প্রশাসনের ভূমি হুকুম দখল বা এলএ শাখার কর্মকর্তাদের দিতে হয়েছে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ অর্থ। সে হিসাবে হাতিয়ে নেয়া অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫০ কোটি টাকারও বেশি। জানা গেছে, প্রকল্পের জন্য নগরীর দক্ষিণ হালিশহরের বাসিন্দা নুরজাহান বেগমের ৮৮ শতক জমি অধিগ্রহণ করে সরকার। তবে তার কিছুই জানেন না তিনি, ক্ষতিপূরণও পাননি। কিন্তু জেলা প্রশাসনের এলএ শাখায় ক্ষতিপূরণ গ্রহীতাদের তালিকায় তার নাম আছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভুয়া নুরজাহান সেজে তার নামে বরাদ্দ অর্থ অন্য কেউ তুলে নিয়েছে। এছাড়া এ প্রকল্পে ফইজুন্নেসা নামে এক মহিলার ৮০ শতক ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু ক্ষতিপূরণের ১৫ ভাগ অর্থই পাননি তিনি। অভিনব কায়দায় অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয় ঘুষ হিসেবে। এভাবেই এ প্রকল্পে ক্ষতিপূরণ দিতে কমিশন বা ঘুষ নিয়েছে এলএ শাখার কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী। অন্যদিকে চট্টগ্রাম আউটার লিংক প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হচ্ছে বলে একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে। অভিযোগে লেখা হয়, এলএ শাখার সার্ভেয়ার মোঃ নুর চৌধুরী, আশীষ কুমার, শহিদুল ইসলাম মুরাদ, কেরানি কানু বিকাশ নন্দী, দালাল মোঃ আইয়ুব, মোঃ সোলাইমানসহ অন্যরা মিলে জমির মালিকদের কাছ থেকে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ হারে ঘুষ আদায় করছেন। হালিশহরের বাসিন্দা মোঃ আবু সাহেল ও মোঃ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রে অধিগ্রহণকৃত জমির বিষয়ে আদালতে মামলা আছে উল্লেখ করে বলা হয়, মামলা নিষ্পত্তি না হলেও এলএ শাখার কর্মকর্তারা দালালদের মাধ্যমে জমির মালিককে চেক দিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেন-১ বলেন, ‘মামলাগুলোতে আদালত নিষেধাজ্ঞা দেননি, শোকজ করেছেন। আইনি বাধা না থাকায় প্রকৃত ভূমি মালিকদের মূল্য পরিশোধ করা হচ্ছে।’চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুল্লাহ আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়। প্রসঙ্গত, জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অর্থায়নে চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা হয় প্রায় ৪৯ একর জমি। যার ক্ষতিপূরণ মূল্য প্রায় ৩৩৫ কোটি টাকা। এর বিপরীতে এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৮-১০-০১৪:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1