সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

গোলাম আযম ও বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১০:১৪ এএম, অক্টোবর ২৪, ২০১৪
111একুশে সংবাদ : এ লেখা যখন লিখছি ঠিক তার কিছু আগেই অধ্যাপক গোলাম আযম নামের এক ব্যাক্তি সরকারী টাকায় চিকিতসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেছেন। তিনি সরকারী খরচে চিকিতসাধীন ছিলেন কারন তিনি কারা কর্তৃপক্ষের তত্বাবধানে ছিলেন। বাংলাদেশে মন্ত্রী-আমলা আর বন্ধি রাই সরকারী খরচে চিকিতসা পান। কথা হল কেন তিনি কারাবন্ধি ছিলেন? না তিনি শুধু কারাবন্ধিই ছিলেন না তিনি সাজাপ্রাপ্তও ছিলেন। তার ৯৩ বছরের কারাবাস দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। তিনি মানবতা বিরোধী অপরাধে অর্থাৎ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে সকল বাংগালী দাড়িয়েছিলেন তিনি তাদের মধ্যে একজন। নাহ একজন কেন বলছি তিনি তাদের শিরোমনি ছিলেন। তৎকালীন জামায়াতে ইসলামের আমির ছিলেন তিনি। তার নির্দেশেই পাকিস্তান রক্ষার লড়াইয়ে নেমেছিল রাজাকার বাহিনী। তিনি যে শুধু ১৯৭১ তেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ছিলেন তা নয়, যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে অনেক চেষ্টা করেছেন বাংলাদেশকে যাতে স্বীকৃতি দেওয়া না হয়। তার বাংলাদেশী নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের সময়ে তিনি পাকিস্থানি পাসপোর্টে এদেশে আসেন এবং আদালতের মাধ্যমে নাগরিকত্ব ফিরে পান। অনেকেই বলে থাকেন ততকালীন সরকারই তাকে এটি ফিরিয়ে দিয়ে তাকে পুনর্বাসিত করেন। এরপর তিনি জামায়াতে ইসলামীর আমির হন। তার বিরুদ্ধে পরবর্তীকালে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম সোচ্চার হন। ১৯৯১ সালে প্রতীকি বিচারও করা হয় তাতে গোলাম আযমের দন্ড প্রতীকী কার্যকরী ও করা হয় কিন্তু তখনকার খালেদা জিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার কারনে শহীদ জননীকেই মিথ্যা মামলার বোঝা কাধে নিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে হয়। ওনার সে প্রতিষ্ঠান ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিতে তারপর আর কোন সভাপতি নেই আছেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বর্তমানে শাহরিয়ার কবির দ্বায়িত্বে আছেন। যাই হোক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া সত্বেও আদালত তার বয়ষ বিবেচনা করে ৯৩ বছরের সাজা দিলেন। এটা কেমন বয়স বিবেচনা আমার ক্ষুদ্র মস্তিস্ক তা ঠিক বুঝে উঠতে পারেনি। এ রায়ের ফলাফল এমন হল যে রাজাকার শিরোমনি দেশের চিকিতসা সেবা পেল আর মুক্তিযোদ্ধারা বিনা চিকিতসায়!!! মাঝে মাঝে মনে হয় মুক্তিযোদ্ধাদেরও যদি এমন শাস্তি হত তাহলে অন্ততঃ বিনা চিকিতসায় মরতে হত না তাদের। রাজাকার শিরোমনি লাইফ সাপোর্ট পেলেও মুক্তিযোদ্ধারা যারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিল তারা কিছুই পায়না রাষ্ট্রের কাছ থেকে। অনেকেই বলবেন তারা সরকারের ভাতা পান, কিন্তু সেটাও হয়ত অনেকেই পান না। যাই হোক আযমের কথায় আসি তিনি নাকি তার পরিবারের কাছে শেষ ইচ্ছা হিসাবে জানিয়ে গেছেন তার জানাজায় যেন তারই দুই সহচর সাঈদী অথবা নিজামীর ইমামতিতে হয়। শুয়োরে কচু চিনবে এটা যে চিরন্তন সত্য সেটা তিনি আবার প্রমান করে দিলেন। টেলিভিশন চ্যানেল গুলোর একটু দায়িত্বশীল হওয়া উচিত রাজাকারদের লাইভ প্রচার থেকে বিরত থাকাই শ্রেয় বলে মনে হয়। গোলাম আযম এর মৃত্যুর পর কোন কোন চ্যানেল কোন কোন পত্রিকা তাকে অত্যাধিক সম্মান প্রদর্শন করলো তাতে অনেকটাই বলা যায় যে এই সব রাজাকারেরা কতটা শক্তিশালী এবং তাদের অনুসারী ও এদেশে অনেক আছে। গোলাম আযমের প্রয়ানের মাধ্যমে আজ আবার একটা প্রশ্নের জন্ম দিল তা হল, বাংলাদেশ কি সত্যিই মুক্ত হতে পেরেছে? (এই বিভাগে প্রকাশিত মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নহে) একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৪-১০-০১৪:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1