সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বাংলাদেশে ইবোলা সংক্রমণের ঝুঁকি কম: আইইডিসিআর

প্রকাশিত: ০২:৪৬ পিএম, অক্টোবর ২৩, ২০১৪
একুশে সংবাদ : বাংলাদেশে ইবোলা সংক্রমণের ঝুঁকি কম। তবু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী রোগটি মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ চলছে, দেশের প্রবেশপথগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এ কথা জানায়। ‘ইবোলা ভাইরাস: সাংবাদিকদের অবহিতকরণ কর্মশালা’য় আইইডিসিআরের পরিচালক মাহমুদুর রহমান বলেন, ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে এমন দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১৮৮ জন এসেছেন। গড়ে প্রতিদিন আসছেন দুজন করে। এঁদের কারও দেহেই ইবোলা সংক্রমণের কোনো লক্ষণ ছিল না। তবু প্রত্যেকের সঙ্গেই আইইডিসিআর যোগাযোগ রাখছে। উপসর্গ দেখা না দিলে রোগটি ছড়ায় না বলেও জানান তিনি। কর্মশালায় বলা হয়, আক্রান্ত দেশগুলোর লাগোয়া দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। আইইডিসিআরের গবেষণাগারে রোগটি শনাক্ত করা যাবে। ইবোলায় আক্রান্ত ব্যক্তির প্রচণ্ড জ্বর, গায়ে ব্যথা, মারাত্মক দুর্বলতা, ডায়রিয়া ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে নাক, মুখ ও পায়ুপথ থেকে রক্ত বের হতে পারে। রোগের উপসর্গ অনুযায়ী রোগীদের চিকিৎসা দিতে হয়। একজন রোগীর সংস্পর্শে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে বলেও জানান মাহমুদুর। বাংলাদেশে কোনো ব্যক্তির মধ্যে ইবোলার সংক্রমণ দেখা দিলে তাঁর কাছে সাংবাদিকদের না যাওয়ার অনুরোধ করেছেন মাহমুদুর রহমান। ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত সারা বিশ্বে ইবোলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯৩৬ জন, মারা গেছেন ৪৮৭৭ জন। এ পর্যন্ত রোগে মৃত্যুর হার ৪৯ শতাংশের কিছু ওপরে। যাঁরা সেরে উঠেছেন, তাঁদের আর আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে না। ১৯৭৬ সালে প্রথম রোগটির প্রাদুর্ভাব হয় কঙ্গোয়। এ দফায় রোগটি শুরু হয়েছে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে। রোগটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে সিয়েরালিয়ন, লাইবেরিয়া ও গিনিতে। সেনেগাল ও নাইজেরিয়ায় রোগটি দেখা দিলেও, এখন দেশগুলো ঝুঁকিমুক্ত। সময়মতো রোগটি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে সমালোচনা আছে। একুশে সংবাদ ডটকম/শিলা/২৩.১০.২০১৪

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1