সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

উচ্চ ফলনশীল ধানে অনীহা কৃষকদের

প্রকাশিত: ০৭:৩১ এএম, অক্টোবর ২২, ২০১৪
পটুয়াখালী প্রতিনিধি: জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে দিন দিন কমছে উপকূলীয় এলাকার আবাদযোগ্য কৃষি জমির পরিমাণ। কিন্তু এই বিরূপ পরিবেশে প্রকৃতির সঙ্গে সহনশীল বিভিন্ন জাতের ধান উদ্ভবন হলেও কৃষক পর্যায়ে এখনও এর তেমন ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কৃষকের যে অনীহা তা সরকারি প্রচার-প্রচারণার অভাবকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। উচ্চ ফলনশীল এসব বীজ ব্যবহার করলে ধান উৎপাদনের পরিমাণ যেমন বাড়বে তেমনি খাদ্য নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পটুয়াখালী জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, গত ৫ বছরে পটুয়াখালী জেলায় আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ কমেছে। আমন মৌসুমে ২৩৯৫ হেক্টর, আউশ মৌসুমে কমেছে ৮২৫৮ হেক্টর আর রবি মৌসুমে কৃষি জমির পরিমাণ কমেছে ৭৬৯ হেক্টর। জানা গেছে, লবনাক্ততার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় দিনকে দিন অনাবাদি জমির পরিমাণ বেড়েই চলছে। আর বিরূপ এই পরিস্থিতিতে অল্প জমিতে অধিক ফসল ফলানোর পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। ইতোমধ্যে লবণাক্ত জমিতে ও বন্যা সহিষ্ণু বেশ কিছু ধানের জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। তবে প্রচার প্রচারণার অভাবে সাধারণ কৃষকরা এসব বীজ ব্যবহার করছে না। এ কারণে এখনও দেশীয় জাতের ধানের বীজের উপরই নির্ভর করছে তারা। পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর এলাকার কৃষক আবুর কালাম জানান, এ বছর তিনি ৩ কানি জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন। তবে এরমধ্যে আছে দুধ কলম ও মোটাসহ দেশী জাতের বিভিন্ন ধান। বাজারে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান সব সময়ে পাওয়া যায় না এবং এ সম্পর্কে তারা জানেন না। তাই তিনি এখনও দেশীয় জাতের আমন ধান আবাদ করেন। পটুয়াখালী সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘উচ্চ ফলনশীল, বন্যা ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু বিভিন্ন জাতের ধান চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে আমরা এলাকায় এলাকায় ডেমোর মাধ্যমে এসব ধান চাষ করছি। কিন্তু কৃষকদের এ ধান চাষে উৎসাহী করা যাচ্ছে না। আর এজন্য বিকল্পভাবে প্রচার প্রচারণা করা দরকার। উন্নত জাতের ধান চাষে কৃষকদের আরো উৎসাহী করতে হাট-বাজারে এ সম্পর্কিত ভিডিওচিত্র প্রদর্শনী ও গ্রাম পর্যায়ে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার ব্যবস্থা করলে কৃষক সহজে বুজতে পারবে এবং উফসী জাতের ধান চাষে উৎসাহী হবে। সাধারণত দেশীয় জাতের আমন ধান আবাদ করলে হেক্টর প্রতি ২ থেকে আড়াই টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া সম্ভব। কিন্তু উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাতের উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদ করলে হেক্টর প্রতি ৫ থেকে সারে ৫ টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া সম্ভব। একুশে সংবাদ ডটকম/মামুন/২২.১০.২০১৪

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1