সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

'বিএনপির আন্দোলন চলমান আছে এবং চলবে'

প্রকাশিত: ০৬:২৭ এএম, অক্টোবর ২২, ২০১৪
একুশে সংবাদ : সরকারবিরোধী আন্দোলন নিয়ে বিএনপির শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়েছে হতাশা। এর পাশাপাশি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা, কোন্দলসহ নানা সমস্যায় বিপর্যস্ত দলটি। সম্প্রতি এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। বিএনপি আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েও তা থেকে সরে এসেছে। বলা হয়েছিল রোজার ঈদের পর আন্দোলন, আবার বলেছিল কোরবানির ঈদের পর, আসলে কবে শুরু হবে আন্দোলন? বিএনপির আন্দোলন চলমান আছে এবং চলবে। ক্ষমতাসীনদের নানা কর্মকা-ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছি আমরা। আন্দোলন নামেই হরতাল-অবরোধ নয়। আমরা জনগণকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছি। জনমত গঠন হচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে। ঈদ বলে কথা নেই, সময় হলেই সরকারবিরোধী আন্দোলন আরো তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। তীব্র থেকে তীব্রতর আন্দোলনের কথা দুই বছর ধরেই বলে আসছেন আপনারা। কিন্তু কিছুই তো হচ্ছে না। সরকার পেটোয়া বাহিনী দিয়ে গুলি করে তাদের মসনদ টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা করছে। কিন্তু এতে পার পাবে না। অস্ত্রের জোরে আইয়ুব খান টিকতে পারেনি, ইয়াহিয়া খান মানুষের দাবি ঠেকাতে পারেনি, এরশাদকেও পরাজয়বরণ করতে হয়েছে জনতার দাবির কাছে। শেখ হাসিনাও ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন। জনগণ কেন আপনাদের ডাকে মাঠে নামবে? তারা নামবে, কারণ আমরা তো নিজেদের জন্য কিছু চাইছি না। আমরা চাই জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে শাসক নির্বাচন করুক। আমরা বলছি না আমাদের সরকারে যেতে দিতে হবে। বেশিরভাগ ভোটার যদি মনে করে আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে তাহলে তারাই ক্ষমতায় যাবে। কিন্তু ভোটাররা যেন নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করতেই আন্দোলন করছি। আমরা বলছি ভোট হতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে। কিন্তু আওয়ামী লীগ জানে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তারা পাত্তা পাবে না। তাই তারা ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে। কিন্তু এটা মেনে নেয়নি জনগণ। রাজধানীতে বিএনপি কার্যকর কিছু করতে না পারায় আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে বলা হয়। ঢাকা মহানগর বিএনপি মোটেই ব্যর্থ নয়। কারণ ঢাকা মহানগর বিএনপি সভা-সমাবেশ করছে, আর এগুলোতে প্রচুর লোকসমাগম হচ্ছে। ইতোমধ্যেই তারা থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করছে এবং সেগুলোতেও ঢাকা মহানগর বিএনপি সফল ভূমিকা পালন করছে। দলকে সংগঠিত করতে জেলা কমিটিগুলোর পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছিল, সেটি থমকে গেছে কেন? যে জেলাগুলোতে পুনর্গঠন করার দরকার ছিল সেগুলো করা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে অন্যগুলোও করা হবে। তবে সরকারবিরোধী আন্দোলন ও সংগঠনের কাজ করতে যে জেলাগুলো ব্যর্থ হয়েছে শুধু সেগুলোই পুনর্গঠন করা হবে। আর সেই কাজ এখনো অব্যাহত রয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নতুন নেতৃত্বের কথা বলেছেন এবং সেই অনুযায়ী ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনগুলোকে পুনর্গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। স্থায়ী কমিটি ও নির্বাহী কমিটিতেও কি একই ধারা অব্যাহত থাকবে? নেতৃত্ব পুনর্গঠন একটি চলমান প্রক্রিয়া। আর পুনর্বিন্যাস হয় কমিটির মধ্য দিয়ে। ফলে কোনোটিই কোনোটির সঙ্গে বিচ্ছিন্ন নয়। কারণ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যে যেমন কমিটি শক্তিশালী হয় তেমনি সংগঠনের কার্যক্রমের মধ্য দিয়েও কমিটি শক্তিশালী করা যায়। আবার কমিটি পুনর্গঠনের মাধ্যমেও করা সম্ভব। তাই এই প্রক্রিয়াগুলোর মধ্য দিয়েই বিএনপির কমিটিগুলো করা হবে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে টানাপড়েন বলে জানিয়েছেন জোটের অন্য দলগুলোর নেতারা। জোটে কোনো টানাপড়েন নেই। মিথ্যা ও বানোয়াট কথা নিয়ে বিএনপি মাথা ঘামাবে না। কয়েকজন নেতাকে নিয়ে কথা উঠেছে। কিন্তু তাতে বিএনপির কিছু যায় আসে না। কারণ মহাসমুদ্র থেকে কয়েক বালতি পানি তুলে নিলে তাতে সমুদ্রের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় না। ফলে জোট থেকে কয়েকজন ব্যক্তি চলে গেলে তাতে বিএনপির কিছুই যায় আসে না। এক-এগারোর পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে মওদুদ আহমদের লেখা বইয়ের বেশকিছু বিষয় নিয়ে বিতর্ক হয়েছে বিএনপিতে। তারেক রহমান এবং কোকোর জন্য খালেদা জিয়া সেনাসমর্থিত সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করেছিলেন, বলেছেন মওদুদ আহমদ। আপনিও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। কিন্তু কিছুই তো হলো না। এই বিষয়ে আগেই আমি বক্তব্য রেখেছিলাম। দলের বিভিন্ন ফোরামেও এ নিয়ে কথা হয়েছে। পরে মওদুদ সাহেব তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাই এখন এই বিষয় নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। এই সময়ের সৌজন্যে। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২২-১০-০১৪:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1