সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

একুশ পদক’ প্রাপ্ত কবি আজিজুর রহমানে জন্ম শতবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: ০৭:৪৪ এএম, অক্টোবর ১৮, ২০১৪
একুশে সংবাদ: আজ শনিবার একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি, গীতিকার ও বেতার ব্যক্তিত্ব আজিজুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী। তিনি ১৯১৪ সালের ১৮ অক্টোবর কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর গ্রামের জমিদার বংশে জন্মগ্রহণ করেন। জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে কবি আজিজুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ সম্মান ‘একুশ পদক’ প্রাপ্ত কবি আজিজুর রহমানের মৃত্যুর ৩৬ বছর পার হলেও সরকারিভাবে তার স্মৃতি সংরক্ষণ ও স্মৃতি চারণে এ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে তার বসতভিটা ও সমাধি চত্বর। এ অবস্থায় হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ সর্বস্তরের সচেতন নাগরিকদের একটি উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই উদযাপন কমিটির আয়োজনেই দীর্ঘদিন পর কবির বাস্তুভিটায় জন্মদিন পালন করা হচ্ছে। কবি আজিজুর রহমান প্রায় ৩ হাজারের অধিক গান লিখেছেন। তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ভবের নাট্যশালায় মানুষ চেনা দায়রে, কারো মনে তুমি দিওনা আঘাত- সে আঘাত লাগে কাবার গায়, আকাশের ওই মিটি মিটি তারার সাথে কইবো কথা – নাই বা তুমি এলে। পৃথিবীর এই পান্থশালায় হায় পথভোলা কবি, আমি রুপনগরের রাজকন্যা রুপের জাদু এনেছি, বুঝি না মন যে দোলে বাশিরও সুরে, পলাশ ঢাকা কোকিল ডাকা আমারই দেশ ভাইরে ইত্যাদি। এই জনপ্রিয় গানগুলো আজ সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই কবির গানগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়ার জন্য এবং প্রতিবছর সরকারিভাবে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে কবি আজিজুর রহমানের জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালনের জোর দাবি জানান এলাকাবাসী। উচ্চশিক্ষা লাভের ভাগ্য না থাকলেও প্রবল ইচ্ছা ও অনুসন্ধিৎসার ফলে বহু বিষয়ক পুস্তকাদি স্বগৃহে পাঠ করে তিনি একজন স্বশিক্ষিত ব্যক্তিতে পরিণত হন। সাহিত্য চর্চা শুরুর আগে নাটকের অভিনয়ে তার উৎসাহ ছিল বেশি। তিনি পুরাতন অভিনেতাদের নিয়ে গড়ে তোলেন একটি নাট্য দল। সেই নাট্য দলটি অভিনয় করতেন শিলাইদহ এর ঠাকুর বাড়িতে। এই কাজের জন্য সে সময় কুষ্টিয়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার সুনাম ও খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। সে কালের বিশিষ্ট অভিনেতা ধীরেন দত্ত, উপেশ ঠাকুরসহ বিভিন্ন নামি দামি অভিনেতারা অংশগ্রহণ করতেন তার নাট্য দলে। সমাজ সেবায় কবি ছিলেন একজন নিবেদিত প্রাণ। ১৯৩৪ সালে তিনি তার পিতামহ চাঁদ প্রামানিক এর নামে হরিপুর গ্রামে গড়ে তোলেন চাঁদ স্মৃতি পাঠাগার। এটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি পাঠাগার ছিল। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৪৫ সালে তিনি কুষ্টিয়া ফুড কমিটির সেক্রেটারি নিযুক্ত হন। ১৯৫০ সালে তিনি হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (প্রত্যক্ষ ভোটে) নির্বাচিত হন। প্রতিভা বিকাশের জন্য ১৯৫৪ সালে কবি ঢাকায় চলে যান এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ঢাকার মোহম্মদপুরের একটি সরকারি বাড়িতে বসবাস করতেন। ১৯৫৪ সালে কবি আজিজুর রহমান ঢাকা বেতারে গীতিকার হিসেবে অনুমোদন পান। কবি আজিজুর রহমান কবিতা দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও গান রচনার মধ্যে তার প্রতিভার পূর্ণ প্রকাশ ঘটে। তিনি প্রায় ৩ হাজার গান লিখেছেন। যা আজও আমাদের দেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। শেষ জীবনে একাকী বিছানায় শুয়ে দিন কেটেছে কবির। অর্থাভাবে চিকিৎসাও তার ভাগ্যে জোটেনি। ১৯৭৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি আজিজুর রহমান। কবির জীবদ্দশায় তেমন কোনো সম্মাননা না পেলেও ১৯৭৯ সালে তিনি মরণোত্তর ‘একুশে পদক’-এ ভুষিত হন। কিন্তু এই কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে কোথাও তেমন কোনো কর্মসূচি চোখে পড়ে না। একুশে সঙবাদ ডটকম/মামুন/১৮.১০.২০১৪

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1