সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বিলীন হচ্ছে সমুদ্রসৈকতের ঝাউবীথি

প্রকাশিত: ০৬:৪৬ এএম, অক্টোবর ১৮, ২০১৪
একুশে সংবাদ : দিন দিন বিলীন হচ্ছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের ঝাউবীথি। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত এ ঝাউ বাগানে গত কয়েক মাসে ১ হাজারের অধিক গাছ সামুদ্রিক জোয়ারে উপড়ে পড়েছে। এরই মধ্যে জোয়ারের পানিতে সাগরপাড়ের মাদরাসা পয়েন্ট থেকে নাজিরারটেক পর্যন্ত প্রায় অর্ধ শতাধিক ঝাউগাছ উপড়ে পড়ে সাগরে ভেসে গেছে। এতে করে সমুদ্রতীরের বসতঘর, দোকানপাট ও স্থাপনাগুলো চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় ‘হুদহুদ’ এর প্রভাবে এমন অবস্থা হয়েছে বলে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। ঝাউ বাগানের দায়িত্বে থাকা বাবুল ও মোস্তাক জানান, ঝাউগাছগুলো বর্তমানে বেশ বড় হয়েছে। সৈকতের ঝাউ বাগানটির কারণে একদিকে সৌন্দর্য বেড়েছে, তেমনি সৈকতের ভাঙনও রোধ হয়েছে। কিন্তু পূর্ণিমার সামুদ্রিক জোয়ার ও সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে উপড়ে পড়ছে ঝাউগাছ। উপড়ে পড়া ঝাউগাছগুলো আমরা উদ্ধার করে অফিসে নিয়ে যাই। দুর্বৃত্তের হাত থেকে রক্ষা করা গেলেও সাগরের গ্রাস থেকে রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে ঝাউগাছ। তারা বলেন, এভাবে ঝাউবাগান বিলীন হয়ে পড়লে শহরটি ঝুঁকির মুখে পড়বে। সরেজমিন দেখা গেছে, সৈকতের ডায়াবেটিক হাসপাতাল পয়েন্ট, কবিতা চত্বর, হোটেল শৈবাল পয়েন্ট ও সমিতি পাড়ার সামুদ্রিক জোয়ারের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে অর্ধশতাধিক ঝাউগাছ। জোয়ারে ধাক্কায় গাছের গোড়ার মাঠে সরে গেছে। আস্তে আস্তে উপড়ে পড়ছে গাছগুলো। কক্সবাজার সৈকতের কলাতলী থেকে উত্তরে নাজিরারটেক পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থাকা ঝাউগাছগুলো সামুদ্রিক উঁচু জোয়ারের পানির তোড়ে দুই দিন ধরে ক্রমশ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকায় কবিতা চত্বর থেকে নাজিরারটেক পর্যন্ত ফুঁসে ওঠা সামুদ্রিক জোয়ারের পানিতে ল-ভ- হয়ে গেছে অধিকাংশ ঝাউগাছ। দেশের পর্যটন শহর কক্সবাজারকে সামুদ্রিক ঝড়-ঝঞ্ঝার কবল থেকে রক্ষক হিসেবে পরিচিত সৈকতের এ আকর্ষণীয় ঝাউবীথি। পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখছে ঝাউ বাগান। গত দুই দিনেই অর্ধ শতাধিক ঝাউগাছ সাগরে বিলীন হয়ে যাওয়ায় শহর রক্ষার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। এছাড়া ১৩ ও ১৪ জুলাই পূর্ণিমার জোয়ারে আরও কয়েকশ’ ঝাউগাছ সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিট অফিসার আবদুল জলিল জানান, কক্সবাজার সাগর পাড়ের বালিকা মাদরাসা পয়েন্ট থেকে নাজিরারটেক পর্যন্ত বন বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন মেয়াদে ১০ হেক্টর জমিতে ঝাউ গাছ সৃজিত করা হয়। বর্তমানে ঝাউ গাছগুলো সামুদ্রিক জোয়ারের তোড়ে উপড়ে পড়ছে। এছাড়া প্রতিদিন সামুদ্রিক জোয়ারে গাছের গোড়ার মাটি সরে গিয়ে ৫০ থেকে ৬০ ফুট উঁচু ঝাউগাছ উপড়ে পড়ছে। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৮-১০-০১৪:

বিভাগের আরো খবর

You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MySQL server version for the right syntax to use near 'ORDER BY bn_content.ContentID DESC LIMIT 8' at line 1