প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে ব্ল্যাকরাইস জাতের ধান আবাদ করে সাড়া ফেলেছেন নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার নিয়ামতপুর দেওয়ানিপাড়া গ্রামের কৃষক মো. শফিকুল ইসলাম বাবু। ২২ শতকের জমিতে এ ধান চাষ করে তিনি এখন আশার আলো দেখছেন। ইন্দোনেশিয়ার এই ধানের চাষ আগ্রহ বাড়িয়েছে অন্যান্য কৃষকদের মাঝে।
শফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, এই ধান নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন দেখে ব্ল্যাকরাইস সম্পর্কে জানতে পারি আমি। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পর চট্টগ্রাম থেকে ধানের বীজ এনে চাষাবাদ শুরু করি। ১ কেজি চালের মূল্য ৮০০ টাকা। ধানের ফলন ভালো, অল্প সময়ে অধিক ফলন পাওয়া যায়। ৯০ দিন পূর্তি হলেই ধান কাটা যায়। পোকামাকড়ের কোনো বালাই নেই। ফলন প্রতি বিঘায় ১৮ থেকে ২০ মণ হতে পারে।
এই ধানের বৈশিষ্ট্য হলো, গাছ ও পাতা দেখতে স্বাভাবিক ধানগাছের মতো। তবে ধানের শীষ এবং চাল সবকিছুই লালচে কালো ও চিকন। এ চাল পুষ্টিগুণে ভরপুর।
সৈয়দপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মমতা সাহা বলেন, ব্ল্যাক রাইস ধান বিদেশি জাত। যদিও সরকারিভাবে দেশে এখনো চাষাবাদ শুরু হয়নি। সৈয়দপুর উপজেলায় ধানের চাষ এই প্রথম। মূলত এই ধানগাছের পাতা ও কাণ্ডের রং সবুজ হলেও ধান ও চালের রং কালো।
তাই এ ধানের জাতটি কালো চালের ধান নামে পরিচিত। বীজ বপণের পর কোনোটির পাতা সবুজ, আবার কোনোটির পাতা বেগুনি হলেও চালের রং কালোই হয়। পর্যায়ক্রমে এ কালো ধানের চাষ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/ বা.প্র/ রখ
আপনার মতামত লিখুন :