AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

খুরমা খেজুর চাষে শাহীনের সাফল্য


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি,টাঙ্গাইল
০৩:২৪ পিএম, ৪ অক্টোবর, ২০২২
খুরমা খেজুর চাষে শাহীনের সাফল্য

মোঃ শাহীন আলম, বয়স আটত্রিশ। সৌদি আরব থাকা অবস্থায় খেজুর গাছ ও চারা দেখেই মাথায় আসে এ চিন্তা। শুরুটা তিরস্কার নিয়ে হলেও, এখন অনেকটা সফল ও সকলের ভালোবাসায় সিক্ত তিনি।

 

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সুন্দইল (চকচকিয়া) গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা শাহীন আলমের সাথে গতকাল সোমবার (৩অক্টোবর) কথা হয় তার খেজুর বাগানের আদ্যোপান্ত নিয়ে।

 

তিনি জানান, ২০০৬ সালে আর্থিক স্বচ্ছলতার আশায় পাড়ি জমায় সৌদি আরব। ভাগ্যের চাকা ঘুরার পাশাপাশি নিজ দেশ বাংলাদেশে কিভাবে খুরমা খেজুর উৎপাদন করা যায় এ চিন্তা ঝেঁকে বসে তাকে সৌদিআরবের খেজুর গাছ ও খেজুর দেখে।

 

২০১১সালে প্রথমবার ছুটিতে এসে বাড়ির মুরুব্বীদের সাথে আলোচনা করে নিজ জমিতে সৌদির খেজুরগাছ লাগনো  নিয়ে।  ছোট ভাই সেলিম বাদে সবাই তাকে নিরুৎসাহিত করলেও থেমে থাকলো না তার চিন্তা। তিন মাস ছুটি শেষে আবার সৌদিআরব। সেখানে এক সৌদিয়ানের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি নিয়ে,তিনিও নিরুৎসাহিত করেন। তবুও তার চিন্তা থেমে নেই, শুরু করেন ইউটিউব ঘাঁটা-ঘাঁটি। ময়মনসিংহের ভালুকায় মোতালেব হোসেনের "সৌদির খেজুর"নামে খুরমা খেজুর গাছ ও নার্সারি আরও অনুপ্রেরণা যোগায় তাকে।  
২০১৭সালে আবার ছুটিতে আসার সময় বাঁইশ হাজার টাকা কাস্টমস দিয়ে একটা খেজুরের চারা নিয়ে আসে শাহীন। এবার কারও সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করে পরিকল্পনা মোতাবেক একশত দশ শতাংশ জমি নির্বাচন করে বাঁশ দিয়ে বেড়া দেয় চারপাশে। শুরু করেন একটি গাছ দিয়েই। আর বিদেশে নয়, গাছটির পরিচর্যাই তার নেশা। কিন্তুু বিধি বাম, খেজুর আসা শুরু হওয়া মাত্রই দু‍‍`বছর মাথায় গাছটি মারা যায়।

 

স্বপ্ন পূরণ করতে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে আবার সৌদি গমন। ওখানে গিয়েই যেসব খেজুরের বীজে চারা হয় সেগুলো সংগ্রহ করতে থাকে অদম্য এই মানুষটি। সংগ্রহপূর্বক প্রায় তিনশত বীজ দেশে পাঠিয়ে ছোট ভাই সেলিমকে সব দিক-নির্দেশনা দিতে থাকে শাহীন। প্রায় দুইশত চারার বয়স যখন এক বছর, সব ফেলে ২০২০সালে আবার দেশে ফিরে আসেন শাহীন আলম নামের খুরমা খেজুরগাছ ও খেজুর পাগল এই মানুষটি।


এখন প্রায় তিন বছর বয়সের দেড়শত গাছে খেজুর ধরছে, রয়েছে তিন হাজারের উপড় চারা।

 

শাহীন আলম বলেন, ‘এই খেজুর বাগান করতে গিয়ে অনেক মানুষের অনেক তিরস্কার শুনতে হয়েছে আমায়। যাক সেসব, সব মিলিয়ে আমি সফল হয়েছি এটাই আমার মহাতৃপ্তি। বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসে খেজুর বাগান দেখার জন্য, খুব ভালো লাগে।’ প্রতিটি চারা আড়াই থেকে তিনশত টাকা করে বিক্রি করছেন বলেও  জানান তিনি।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিলশাদ জাহান বলেন, ‘এ রকম কৃষি উদ্যোক্তাদের আমরা স্বাগত জানাই। সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে খুরমা খেজুরগাছ বাংলাদেশের আবহাওয়াতেও খুব ভালো ফলন দেয়। ওনাকে আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে বলুন, আমরা সব রকম সহযোগীতার আশ্বাস দিচ্ছি।’

 

একুশে সংবাদ/ন.ই/এসএপি

Link copied!