AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ঠাকুরগাঁওয়ে মিন্টুর ছাদে ৭০ প্রজাতির গাছ


Ekushey Sangbad
কৃষি ডেস্ক
১১:২০ এএম, ১ অক্টোবর, ২০২২
ঠাকুরগাঁওয়ে মিন্টুর ছাদে ৭০ প্রজাতির গাছ

ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের ঘোষপাড়ার বাসিন্দা মিন্টু আহমেদ। পেশায় ব্যবসায়ী। শহরে ২ হাজার ১০০ স্কয়ার ফিট আয়তনের ছাদে ২০০টি টবে ৭০ প্রজাতির দেশি-বিদেশি হরেক রকমের ফুল, ফল ও সবজির গাছ লাগিয়ে ছাদ কৃষি গড়ে তুলেছেন তিনি।

মিন্টুর মতো ঠাকুরগাঁও শহরে অনেকেই ছাদ কৃষিতে মনোযোগী হয়ে উঠেছেন। প্রায় সারা বছরই ছাদ কৃষিতে ফুল-ফল, শাক-সবজি চাষ করছেন তারা। শহরে শতাধিক ভবনের ছাদে ছাদ কৃষি করার কথা জানা গেছে। মিন্টুর মতো অনেকে ছাদ বাগান গড়ে তুলছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, বর্তমানে ঠাকুরগাঁও শতাধিক ভবনের ছাদে ছাদ কৃষি আছে। প্রতিটি ছাদে ৬০ থেকে তিন শতাধিক ফুল ও ফলের গাছ রয়েছে। তবে শহরের ঘোষপাড়া, হাজীপাড়া, শাহাপাড়া, সরকারপাড়া, ইসলামনগর এলাকায় ছাদ কৃষিতে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা বেশি।

জানা যায়, মিন্টু আহমেদ শহরে বাগান করার মতো ভালো কোনো পরিবেশ না পাওয়ায় বাসার ছাদেই গড়ে তুলেছেন বাগান। যেখানে রয়েছে ৭০ প্রজাতির ফলের গাছ। ফল ও সবজির বাগান করে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণের সঙ্গে বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছেন তিনি।

মিন্টু আহমেদ বলেন, ইউটিউবে প্রথম ছাদ বাগান দেখে আগ্রহ জাগে, কীভাবে নিজের ঘরের ছাদে করা যায় একটি বাগান। যা একই সঙ্গে পুষ্টির অভাব দূর করবে, পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা করবে। তিনি বলেন, আমি বিভিন্ন দেশে ঘুরতে যেতাম, সেখানেও এই বিষয়টি নজরে পড়ে এই থেকেই ধীরে-ধীরে বাগান করা শুরু। ‘আমি প্রথমে তিনটি গাছ নিয়ে এই বাগান শুরু করি। একটি লেবু গাছ, একটি আম গাছ ও একটি মাল্টা গাছ। এরপর যখন দেখি ফলন অনেক ভালো হচ্ছে, তখন আমি আরও ফলের চারা নিয়ে আসা শুরু করি। ’ধীরে-ধীরে বাড়তে থাকে মিন্টুর বাগানে গাছের সংখ্যা। তার ছাদবাগানে রয়েছে- আম (১৪ জাতের), লিচু, কাঁঠাল, কমলা (৪ জাতের), মাল্টা (৩ জাতের), পেয়ারা (২ জাতের), কামরাঙা, আমড়া, জলপাই, সফেদা, শরিফা, আমলকী, বেদেনা, জাম্বুরা, জামরুল (২ জাতের), বেল, আতা, করম-চা, আপেল, নাশপাতি, ড্রাগন, আঙ্গুর (৩ জাতের), বরই (২ জাতের), লেবু (২ জাতের), ডালিমসহ দেশি-বিদেশি ৭০ প্রজাতির ফলের গাছ। ছাদের এই বাগানের ফল যেমন নিজেদের চাহিদা মেটায়, অন্যদিকে প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজনদের মাঝেও বিতরণ করেন। বাগান দেখতে অনেকেই আসছে তার বাড়িতে।

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. আবদুল আজিজ বলেন, মিন্টু আহমেদ বাসার ছাদে অসাধারণ একটি বাগান করেছেন। অনেকেই বাড়ির ছাদে ফুলের টপে শোভাবর্ধনের জন্য ফুল রাখে। তবে যার ছাদে জায়গা বেশি তিনি অনায়াসে শীতকালীন শাকসবজি চাষ করতে পারেন। ঘোষপাড়া মহল্লার মিন্টু সেরকমই একজন সৌখিন সবজি চাষি। তিনি নিজের পরিবারের চাহিদা মেটাতে ছাদে সবজি চাষ করছেন। নিজের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত সবজি বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

তিনি আরো জানান ,শহরের সবাই যদি নিজ-নিজ বাড়ির ছাদে সবজি আবাদ করে তবে সহজে সবুজ ও বিষমুক্ত সবজি পাওয়া সম্ভব। সাধারণত ছাদে মাটির টপ ও প্লাস্টিক বস্তায় মাটি দিয়ে চারা লাগানোর পর একটু চর্চা করলেই সহজে সবজি পাওয়া সম্ভব। আর মিন্টু দেখে অনুকরণ করে অনেকেই এখন ছাদ বাগান করার চিন্তা করছেন। এটা আমাদের প্রকৃতিগতভাবে ও কৃষি ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

একুশে সংবাদ/ বা.স.স/ রখ

Link copied!