AB Bank
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

এক জমিতে বছরে ৩ বার ধান চাষ


Ekushey Sangbad
কৃষি ডেস্ক
০২:৩১ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
এক জমিতে বছরে ৩ বার ধান চাষ

ধানের দাম ভালো পাওয়ায় বগুড়ার কৃষকরা এখন একই জমিতে আমন, বোরা ও আউশ চাষ করছে। বোরোর পর অন্য ফসলে না গিয়ে সেখানকার কৃষক আউশ চাষে ঝুঁকেছে।

বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডুবাতেঘর এলাকার কৃষকরা আউশ ধান কাটাতে ব্যস্ত। জেলার নন্দীগ্রাম এলকায় কৃষকরা দীর্ঘদিন যাবৎ বছরে ৩ বার আমন , বোরো ও  আউশ ধান চাষ করে আসছেন। আউশে ভালো দাম পাওয়া ও আউশ চাষে সরকারি প্রণোদনা পেয়ে তাদের উৎসাহ বেড়েছে। এতে ফলনও ভালো হচ্ছে বলে জানান কৃষকরা। বোরো ও আমনের মধ্যবর্তী সময়ে তিন মাসে পতিত জমিতে আউশ ধান চাষ করে বেশ লাভবান ওই এলাকার কৃষকরা।

 

বছরের এ সময়টিতে জমিতে পাকা ধান থাকার কথা না থাকলেও ডুবাতে ঘরে দেখা মিলবে রাস্তার দুই পাশের জমিতে এখন সোনালী আউশ ধানের সমারোহ এবং তার পাশাপাশি নতুন ধানের চারা রোপণ করার দৃশ্য। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই সোনালী পাকা আউশ ধান কেটে কৃষকরা উঁচু জায়গায় রেখে ধান মাড়াইয়ের কাজেও ব্যস্ত সময় পার করছেন।

 

বছরের তিন মাস জমি ফেলে না রেখে এ আউশ চাষে ব্যাপক লাভজনক হওয়ায় চাষ করার আগ্রহী হয়েছেন এলাকার কৃষকরা। বছরে ৩ বার ধান চাষ করে প্রতি বিঘাতে ৬০-৭০ মণ ধান পাওয়ার আশা করছেন তারা। এমনকি বোরো ও আমন চাষে কম ফসল পেলে আউশ চাষ করে তা পুষিয়ে উঠা সম্ভব বলেও জানালেন তারা।

 

নন্দীগ্রামের কৃষক জানান, কম খরচে ধান চাষ সম্ভব হওয়ায় তাদের লাভ হয়েছে। ধানের ভালো দাম পেলে তারা আরো বেশি লাভবান হবেন। সেই সাথে সার সঠিকভাবে পাওয়ার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে আবেদন জানান।

ডুবাতেঘরের কৃষক মোঃ বুলু মিয়া জানান, ‘এখন আউশ ধান পরিপক্ক হয়ে উঠেছে। তাই ধান কাটা শুরু করেছি। এর পরপরই জমি হালচাষ করে আবার আমনের চারা লাগাতে শুরু করেছে। আমন শেষে আবার বোরো চারা লাগাব।’

তার কথায়, এখানে জমি ফেলে রাখি না কখনও। ধান কেটেই ধানের চারা রোপণ করি। কেউ কেউ এর মধ্যে রবি মৌসুমের ফসল চাষ করে। তবে অধিকাংশই ধান চাষেই বেশি আগ্রহী।

 

এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার আদনান বাবু জানান, ‘নন্দীগ্রাম মূলত ধান প্রধান এলাকা। এখানে আউশ চাষ একটি অন্যতম ফসল। বিশেষ করে বোরো ও আমনের পাশাপাশি এ অর্থবছরে আমাদের ৩ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে আউশ চাষ করা হয়েছে। যা এখন কাটা শুরু হয়েছে।’ বিঘা প্রতি আউশের ফলন ২দশমিক ৮৪ মেট্রিক টন (চাল আকারে)।

 

তিনি আরও বলেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে তাদের ধানের পাশাপাশি অন্যান্য ফসলও সঠিক ভাবে চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এতে করে ধানের পাশাপাশি রবি মৌসুম ফসলও যেন তারা সংগ্রহ করতে পারেন।

একুশে সংবাদ/ বা.স.স/ রখ

Link copied!