AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৬:১২ পিএম, ১৮ মে, ২০২২
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় ৪৯ হাজার ৯৬৬ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। গ্রীষ্মকালীন সবজির চমকে সবুজ হয়ে উঠেছে সাতমাইলসহ জেলার বিভিন্ন মাঠ। এখন সবজির দাম বেশি পাওয়ায় চাষির মুখে যেন বইছে আনন্দের জোয়ার।

যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে  গ্রীষ্মকালীন সবজির আবাদ শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলা-যশোর, ঝিনাইদহ,মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে ৪৯ হাজার ৯৬৬ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০লাখ ৪৮ হাজার ৫৩২ মেট্রিক টন। এর মধ্যে যশোর জেলায় গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে। এ জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩লাখ ৩৯ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন। ঝিনাইদহ জেলায় সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। 

এ জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১লাখ ৯৭ হাজার ৩৭০ মেট্রিক টন। মাগুরা জেলায় সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে। এ জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ হাজার ২১৩ মেট্রিক টন। কুষ্টিয়া জেলায় সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে। এ জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১লাখ ৭৬ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। চুয়াডাঙ্গা জেলায় সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৬১১ হেক্টর জমিতে। এ জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১লাখ ৬৩ হাজার ৬০৯ মেট্রিক টন এবং মেহেরপুর জেলায় গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে। এ জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১লাখ ৬ হাজার ১৯০ মেট্রিক টন।

যশোর সদরের সাতমাইল এলাকার চাষিরা জানান, বিঘা প্রতি জমিতে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষে তাদের খরচ হয় ২০- ২৫ হাজার টাকার মতো। একবিঘা জমিতে তারা কমপক্ষে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করেন।

বাজার সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে খুচরা বাজারে এক কেজি বেগুন ৫০-৫৫টাকা, ধুন্দল প্রতিকেজি ২৫টাকা, লাল শাক ও সবুজ শাক প্রতিকেজি ৫০-৬০টাকা, বরবটি শিম প্রতিকেজি ৩৫-৪০টাকা, ঝিঙ্গে প্রতিকেজি ৩০টাকা, উচ্ছে প্রতিকেজি ৩০-৩৫টাকা ,মিষ্টি কুমড়া প্রতিকেজি ২৫-৩০টাকা, ক্ষিরাই প্রতিকেজি ২৫-৩০টাকা, পটল প্রতিকেজি ৩০টাকা, কচু সাইজভেদে ২০-২৫টাকা, ডাটা প্রতি আটি ২০ টাকা এবং লাউ সাইজভেদে ৩০টাকা থেকে ৩৫টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম জানান,                                                                                     যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলা সবজি উৎপাদনের জন্য উর্বর ভূমি। এখানে উৎপাদিত সবজির চাহিদা আছে প্রচুর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন সবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি জানান।

একুশে সংবাদ/বা.স.স/রখ

Link copied!