AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ধানের নতুন জাত বঙ্গবন্ধু ১০০ পরীক্ষামূলকভাবে চাষাবাদ শুরু


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি
০৩:০৮ পিএম, ২২ জানুয়ারি, ২০২২
ধানের নতুন জাত বঙ্গবন্ধু ১০০ পরীক্ষামূলকভাবে চাষাবাদ শুরু

ছবি: একুশে সংবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি :বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের আবিষ্কারকৃত নতুনজাত বঙ্গবন্ধু ১০০ পরীক্ষামূলক ভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে চাষাবাদ করা হচ্ছে। উপজেলার ৫ জন কৃষককে এ বীজ প্রদান করেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। এর মধ্যে ৩ জনকে রাজস্ব খাতে প্রদর্শনী ও ২জনকে প্রণোদনার এ বীজ দেয়া হয়েছে। তবে বীজতলা প্রস্তুত এক সপ্তাহের মধ্যে জমিতে চারা রোপণ করা হবে বলে উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন।


উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, জিংক সমৃদ্ধ ব্রি বঙ্গবন্ধু ১০০ ধান গত বছর এ ধানটিকে ছাড়পত্র দেয় সরকার।  নতুন  জাতের এ ধানটি আধনিক উফশী ধানের বৈশিষ্ট্যসংবলিত । পূর্ণবয়স্ক গাছের উচ্চতা হবে ১০১ সেন্টিমিটার। জীবনকাল ১৪৮ দিন। বঙ্গবন্ধু ১০০ ধানে জিংক রয়েছে ২৫.৭ মিলিগ্রাম। নাজিরশাইল বা জিরা ধানের দানার মতো হবে। ধানের রং খড়েরমত (সোনালী)। চাউল মাঝারি চিকন ও সাদা হবে। এই চাউলের গুণগত মান অত্যন্ত ভালো। হেক্টর প্রতি গড় ফলন হবে ৭থেকে ৮ টন। তবে উপযুক্ত পরিচর্চা আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ফলন বেশী হবার সম্ভাবনা রয়েছে।


রহনপুর ইউনিয়নের বংপুর এলাকার কৃষক সাদিকুল  ইসলাম জেম বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে নতুন জাতের বঙ্গবন্ধু ১০০ ধানের বীজ দেয়া হয়েছিল। সে বীজ জমিতে বপণ করা আছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। বীজতলা সুন্দর আছে। 


আরেক কৃষক মাইনুল ইসলাম বলেন, বীজতলা ভাল আছে। নতুন জাতের বঙ্গবন্ধু ১০০ ধানটি করতে পেরে ভাল লাগছে। অন্যান্য ধানের চেয়ে উৎপাদন ভাল হবে বলে উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন। রোপনকৃত জমি চাষাবাদের উপযোগী হলে চারা রোপন করবেন।


গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সীমা কর্মকার বলেন, উপজেলার ৫জন কৃষককে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। এক সপ্তাহ পর জমিতে রোপণ করা হবে। কৃষকদের লাইন ও লোগো করে চারা রোপণ করতে বলা হয়েছে।এছাড়া পার্চিং অর্থাৎ রোপণের পর জমিতে গাছের ডাল পুতে দেবার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যাতে পাখি ডালে বসে পোকামাকড় খেতে পান। এতে রোগবালাই ও পোকার আক্রমন কম হবে। তিনি আরও বলেন যেহেতু বীজতলা ভাল হয়েছে সেহেতু বিঘা প্রতি ফলন ২৫ থেকে ৩০ মণ হবে বলে ধারণা করছেন। ভবিষ্যতে জাতটি উপজেলায় সম্প্রসারণ করা হবে বলে সীমা কর্মকার জানান।


একুশে সংবাদ/আব্দুল ওয়াহাব/এইচ আই  

Link copied!