AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মদনে সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি
১১:৫৪ এএম, ২০ জানুয়ারি, ২০২২
মদনে সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

ছবি একুশে সংবাদ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনার মদনে বিভিন্ন অঞ্চলে এখন ঢেউ খেলানো দিগন্ত জোরে বিস্তৃত মাঠ হলুদ সরিষার ফুলের মৌ মৌ গন্ধ আর মৌমাছির গুঞ্জনে প্রকৃতি সেজেছে তার নিজস্ব আলোয়। 

 

এছাড়া নানান প্রজাতির পাখির কলরব, ফসলের মাঠে কাজের ফাঁকে মনের আনন্দে কৃষকের ভাটিয়ালী গান, দূরন্ত শিশুদের ছোটাছুটি, দৌঁড়ঝাপ আর ঘোমটাটানা লজ্জাবতী কৃষাণীদের আনাগোনায় নয়নজোড়া মাতাল করা মধুময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক বছর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কৃষকগন আশানুরূপ ফসল ফলাতে পারেননি। কিন্তু চলতি মওসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্যান্য ফসল ফলাতে সাধারনত খরচ বেশী হয়ে থাকে। কিন্তু তুলনামূলক সরিষার উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এবং বাজার মূল্য ভাল হবার কারনে কৃষকগন দিন দিন সরিষা চাষের প্রতি অধিক আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

 


হাওরাঞ্চল মদনের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রকৃতি যেন হলুদ রঙ্গে মেতে উঠেছে। সরিষার ফুলে ঝাকে ঝাকে মৌমাছির গুঞ্জরন চলছে। চারদিকে হলুদ রঙের মাখামাখি আর দিগন্তজুরে শীতের কুয়াশায় নয়নজোড়া প্রকৃতির এমন সৌন্দর্য্যে সহযেই যে কেউ বিমোহিত হতে পারেন।


মদন উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মওসুমে এই উপজেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা থরা হয়েছিল ২৩০ হেক্টর। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ২৬০ হেক্টর।

 

এই এলাকায় সাধারনত ছয় জাতের সরিষা আবাদ হয়ে থাকে। আর তা হলো উচ্চফলনশীল (উফশী) সরিষা বারী-৯, বারী-১৪, বারী-১৫, এসএম-৭৫, টরি-৭ ও সম্পদ জাতীয় সরিষা অন্যতম। উৎপাদিত এইসব সরিষা মাঘ মাসের শেষান্তে ও ফাল্গুন মাসের শুরুতে ক্ষেত থেকে সরিষা তোলা শুরু হবে।উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী গ্রামের কৃষক নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আগে যে সব জমিজিরাত পতিত থাকতো এহন ওইগুলানতে সইরষা লাগাইছি। লাগাইতে ট্যাহাও যেম কম লাগে আবার কষ্টও কম হয়। আমার পতিত ৮৫ শতক জায়গাতে এইবার সরিষা লাগাইছিলাম। ফুল ধইরা হন হলদে হইয়া গেছে।’

 

অপর কৃষক আব্দুল মন্নাফ বলেন, ‘আমি আগেও সরিষা চাষ করতাম। কিন্তু এইবার ক্ষেতের দিকে তাকাইলে মনটা এক্কেরে জুড়াইয়া যায়।

মদন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, এই উপজেলার মাটি সরিষা চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় এবং আশানুরূপ আবাদের কারনে কৃষকগন দিন দিন সরিষার প্রতি ঝুকছেন। সরিষা উৎপাদনে কৃষকগন হয়তো আগামীতে আরো মনযোগী হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

একুশে সংবাদ/সাকের খান/এইচ আই.

Link copied!