AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সুর্যমুখী চাষে ঝুঁকছেন গোপালগঞ্জের কৃষকেরা


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
১০:৫৬ এএম, ২১ মার্চ, ২০২১
সুর্যমুখী চাষে ঝুঁকছেন গোপালগঞ্জের কৃষকেরা

সুর্যমুখী তেলবিজ চাষ লাভজনক হওয়ায় পাশাপশি বিনামূল্যে বীজ-সার পাওয়ায় সুযমুখী ফুল চাষে ঝুঁকছেন গোপালগঞ্জের কৃষকেরা। মাঠে মাঠে ছড়িয়ে পড়েছে ফুলের সৌন্দয। ভ্রমর এসে খেলা করছে ফুলে ফুলে। দুরদুরন্ত হতে প্রকৃতি প্রেমিরা ফুলের সৌন্দয উপভোগ করতে ভীড় করছে ফুলের ক্ষেতে। ফলন ও ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে আনন্দের হাসি।  কৃষকেরা সুর্যমুখীর তেল বিক্রি করে ভালো দাম ও পেয়েছেন। এ ফুলের চাষ বাড়াতে কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে বিজ-সার সরবরাহসহ নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে কৃষি বিভাগ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় গোপালগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ করছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগ বিনামুল্যে বীজ, সার ও পরামর্শ প্রদান করায় দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে এ ফুল চাষে। এ বছর জেলায় ৬০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখি ফুলের আবাদের লক্ষ্যমাত্র ধরা হলেও অর্জিত হয়েছে ৫৮ হেক্টর। প্রতি বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফল থেকে ৮ থেকে ১০ মন তৈলবীজ উৎপাদন হয়। পরে সেই বীজ থেকে উৎপাদন করা হচ্ছে ভোজ্য তেল। অন্যান্য তেল থেকে এ তেলে পুষ্টিগুন বেশি থাকায় বাজারে রয়েছে ব্যাপক চাহিদ। প্রতি কেজি তেল দু’শ থেকে আড়াইশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ আয় থেকে সংসার চালানোর পাশাপশি অনেক কৃষক তাদের সারা বছরের খাবার তেল সংগ্রহ করে রাখছেন। এ ফুল চাষে সফলতা আসায় স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ার পাশাপশি চাহিদা ও বাজার মূল্য থাকায় অনেক কৃষকের সাথে সাথে বেকার যুবকদের মধ্যে সূর্যমুখী ফুল চাষে আগ্রহ বেড়েছে। এসব ফুল বাগানের প্রতিটি ফুলে মৌমাছি বসে মধু আহরণ করছে। ফলে মধু উপপাদনে এ তৈলবীজ চাষ বড় ভুমিকা রাখছে।  

শুধু লাভ বা খাবার তেলের যোগানই নয় সূর্যমুখী ফুলের হলুদ আভারন আকৃষ্ট করে তোলে সৌন্দর্য প্রেমীদের। প্রতিদিনই সৌন্দর্য উপভোগ করতে ক্ষেতগুলোতে ভীড় করছেন সৌন্দর্য প্রেমীরা। আবার অনেকেই এ ফুলের সৌন্দর্য ধারন করে রাখছেন মোবাইল বা ক্যামেরায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অরবিন্দু কুমার রায় বলেন, লাভজনক এ ফুল চাষে কৃষক ও বেকার যুবকদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করতে বিনা মূল্যে বীজ ও সার দেয়ার পাশাপশি পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ তৈল বিজের চাষ সারা প্রতিটি জেলায় ছড়িয়ে দিতে পারলে সয়াবিনসহ অন্যান্য ভোজ্য তেলের উপর চাপ কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

একুশে সংবাদ/ মু.হু / এস

 

Link copied!