মৌসুম শেষ না হতেই পেঁয়াজের দাম বাড়ায় উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেছেন ভোক্তারা।
সাধারণত এ সময়টায় মৌসুম বলে পেঁয়াজের দাম থাকে নিম্নমূখী। কিন্তু ৪০ টাকা কেজিতে পেয়াজ কিনে খুশি নন ভোক্তারা। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ দ্রব্যের ফের মূল্যবৃদ্ধি ভাবিয়ে তুলেছে মধ্য ও নিম্নআয়ের মানুষদের।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আরো এক দফা নতুন পেঁযাজ বাজারে এলেই স্বস্তি ফিরবে পেঁয়াজের বাজারে।
এক সপ্তাহ আগে ব্যবসায়ীরা যে পেঁয়াজ ২৮ টাকা দরে বিক্রি করেছেন, বর্তমানে তা ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে সেই পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে আরেকটু চড়া দামে। হঠাৎ পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীরা জানান, পেঁয়াজের আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে। তবে পেঁয়াজ চাষীরা বলছেন, সামনে রাখি পেঁয়াজের মৌসুম। এটা বাজারে আসলে দাম কমে যাবে।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বললেন, এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসলে দাম কমে যাবে।
মাঠের পেঁয়াজ চাষীদের ঘরে উঠলেই কমে যাবে পেঁয়াজের দাম। আসছে রমজানে পেঁয়াজের সংকট হবে না বলে ভোক্তাদের আশ্বস্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে এক মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ভারতীয় পেয়াঁজ আমদানি শুরু হওয়ায় দাম পড়ছে। শ্যামবাজারে পাইকারি আড়তে ৩ থেকে ৫ টাকা কমে প্রতি কেজি দেশি পেয়াঁজ ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা এবং কারওয়ান বাজারে ৪২ থেকে ৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি রাখি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে দাম আরো কমার প্রত্যাশা পাইকারি বিক্রেতাদের।
দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ চহিদা মেটানো হয় আমদানি করে। যার সিংহভাগ আসে ভারত থেকে।
একুশেসংবাদ/অমৃ
আপনার মতামত লিখুন :