AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
১০:৩৩ এএম, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা

চারিদিকে বীজতলায় চারা উঠানোয় ব্যস্ত কৃষক। আমন চাষে অনেক ক্ষতি সাধন হয়েছে উপজেলার কৃষকদের তাই সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই কোমড় বেধে নেমেছে দিনাজপুরের নবাবগন্জের কৃষকরা।সেই সাথে কৃষানীদেরও বেড়েছে ব্যস্ততা। 

কয়েক দিনের শৈত্য প্রবাহ আর ঘন কুয়াশার সাথে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বোরো রোপনে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। আর শীতের ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে জমি প্রস্তুতে পানি সেচ আর হাল চাষ চলছে। শীত সব সময়ই যেন তাদের কাছে হার মানে। শুধু তাই নয়, ইরি-বোরো চারা রোপনে কৃষকের পাশাপাশি আদিবাসী কৃষাণিরাও মাঠে কাজ করছে ।দিন ভর ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। 

এবার উপজেলায় ০৯ টি ইউনিয়নে রোপন হচ্ছে উন্নত ফলনশীল ব্রি ২৮,ব্রি ৫০, জিরা ( হাইব্রীড জাত), ব্রিধান-৫৮, ব্রিধান-৭৪, ব্রিধান-৮৪, ব্রিধান-৫৮, বীনা-১৮ । অন্যদিকে তৈরী জমিতে চারা রোপন করা হচ্ছে। এদিকে বোরো আবাদের সময় শ্রমিক সংকট দেখা দেয়ায় মজুরিও বৃদ্ধি পেয়েছে। 

বিঘা প্রতি ৯০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত চুক্তি দিচ্ছেন চাষীরা। আবার অনেকে ৩০০-৪০০ টাকা দিনমজুরি দিয়েও শ্রমিক নিচ্ছেন। গত কয়েকদিনের শৈত প্রবাহের ফলে হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় বোরো বীজতলার কিছুটা সমস্যা হয়েছে। 

উপজেলার শওগুনখোলার  গ্রমের কৃষক ফিরোজুল বলেন ১ বিঘা জমি তে খরচ হবে ৭-৮  হাজার টাকা জমি চাষ করতে ১০০০টাকা ,সেচের দাম ১৬০০ টাকা সার বাবদ ২৫০০ টাকা চারা রোপনের জন্য মজুরী বাবদ ১০০০ টাকা ,আরও যেমন মঈ দেওয়া ,মাটি সমান করা ,গোবর সার ইত্যাদি আনুষাঙ্গিক খরচ । তবে ধানের দাম ভালো থাকলে লাভের আশা আছে ।

উপজেলার  বাশবাড়ীয়া গ্রামের কৃষক মো: মিজানুর বলেন, গভীর নলকূপ গুলি যদি কৃষকদের মাঝে সমিতি করে ছেড়ে দেওয়া হত তাহলে সেচের মূল্য আরও কম হত ,অনেক নলকূপ ব্যক্তি মালিকানায় চলছে । আমি এবার প্রায় ৫ বিঘা জমিতে বোর আবাদ করার পরিকল্পনা । শীতের কারণে এখন কয়েকদিন পিছিয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বোরো চাষের ধুম পরে গেছে । বোরো চাষে মাঠে মাঠে জমিতে পানি সেচ ও হাল চাষে ব্যস্ত চাষীরা। এ দিকে কৃষি কর্মকর্তারাও বসে নেই কিভাবে বেশী ফলন হবে সে জন্য কৃষকদের মাঝে এ সময় করনীয় পরামর্শ এবং মাঠ পরির্দশনে ব্যস্ত। বাজারে পর্যাপ্ত পরিমান সার আছে , দাম স্বাভাবিক আছে । এবার তীব্র শীতের কারণে বোরো রোপণ কিছুটা পিছিয়ে গেছে। ধানের দাম ভাল ,তাছাড়া কৃষকের উৎপাদিত ধান-চালের ন্যায্যমুল্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সরকারের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আশা রয়েছে।

একুশে সংবাদ/ সো.আ /এস

Link copied!