গলতে শুরু করেছে ম্যানহাটনের চেয়েও বড় আইস শেল্ফ
একুশে সংবাদ:বিশ্ব বিপর্যয় যেন পিছু ছাড়ছে না। একেতো করোনা মহামারির থাবা অন্যদিকে ঝড়,বন্যা,
ভূমিকম্প নানান দূর্যোগ। এর মধ্যেই ক্রমশ গলছে পৃথিবীর উওরাঞ্চলের বরফ।সামনে আসছে আরও এক নতুন বিপর্যয়।খবর ইকো ওয়াচ।
করোনা আবহের মধ্যেই পরিবেশ বিজ্ঞানীদের নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে হিমবাহ ধসের আশঙ্কা। তাপমাত্রা বাড়ছে পৃথিবীর। যার ফলে গলতে শুরু করেছে মেরু অঞ্চলের বরফ। শুধু মেরু অঞ্চলই নয়। বরফ গলছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বরফাবৃত অঞ্চলগুলোরও।
এতদিন এই বিষয়কে খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি কেউ। কিন্তু কানাডার উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম নুনাভাটের বরফ গলতে শুরু করায় এবার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ভূবিজ্ঞানীদের। চলতি বছর কানাডার উওরাঞ্চলের বৃহত্তম নুনাভাটের এলেমসেমি দ্বীপে মিলেন আইস শেল্ফটি গলতে শুরু করেছে।
এমনকি এটি ক্রমশ সমুদ্রের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে গলতে শুরু করা বৃহদাকার এই হিমবাহটি গত ৩০ ও ৩১ জুলাই পর্যন্ত এর ৪৩ শতাংশ অংশ সমুদ্রের সঙ্গে মিশে গেছে। বরফের এই বিশাল শীটটি আর্টিক সাগরে প্রবাহিত হয়ে আরও দুটি বড় অংশে বিভক্ত হয়ে গেছে।
আর এই পুরো শেলিং ইভেন্ট অর্থাৎ হিমবাহ গলে যাওয়ায় যে শব্দ হচ্ছে তা দেখতে এবং শুনতে বৈজ্ঞানিক কোপার্নিকাস সেন্টিনেল উপগ্রহের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। হিমবাহের যে অংশটি ভেঙেছিল তা প্রায় ৮০ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত এবং ম্যানহাটনের চেয়েও ৬০ বর্গ কিলোমিটার বড়।
কানাডার আইস সার্ভিসের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, সাধারণ তাপমাত্রা, উপকূলীয় বাতাস এবং আইস শেল্ফের সামনে থাকা পানিই হলো এটি ভেঙে যাওয়ার মূল কারণ। ওয়াটার অ্যান্ড আইস রিসার্চ ল্যাবরেটরির পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সর্তকবার্তা দিয়ে বলা হয়েছে যে, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারণে যে হারে কানাডার উত্তরাঞ্চলের বরফ গলতে শুরু করেছে তাতে অবশিষ্ট মিলেন আইস শেল্ফটি পুরোপুরি গলে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
এই হ্রদটি চারিদিকে বরফে ঘেরা মিষ্টি পানির একটি হ্রদ। এ জাতীয় বরফ সমুদ্রের পানিতে গলে যাওয়া বরফ এবং পানির প্রবাহকে ধীর করে দিয়ে বাঁধের মতো কাজ করে, বৈশ্বিক সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্থানকে সীমাবদ্ধ করতে সহায়তা করে। এই বড় আকারের ক্যালভিং ইভেন্টগুলো উত্তর মহাসাগরে ভাসমান মূলত বড় আইসবার্গ তৈরি করে এবং জাহাজ চলাচলের জন্যও বিপত্তি তৈরি করতে পারে।
একুশে সংবাদ/তাশা/১৩/০৮/২০২০
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :