AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

১০ লক্ষ বৃক্ষ রোপণ করছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়


Ekushey Sangbad

০৬:৪৫ পিএম, আগস্ট ১০, ২০২০
১০ লক্ষ বৃক্ষ রোপণ করছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়

একুশে সংবাদ: মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্ত সংস্থাসমূহের অফিস প্রাঙ্গণ, আওতাধীন জমি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের খাল-নদীতীর ও অন্যান্য ফাঁকা জায়গায় বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছ রোপণের কর্মসূচী নিয়েছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। আজ ১০ আগস্ট সোমবার দুপুরে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংএ কর্মসূচী জানানো হয়। এ বিষয়ে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম বলেনঃ মুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বনায়ন ও সবুজ বেষ্টনীর লক্ষ্যে ১ কোটি চারা রোপণ কর্মসূচী চালু হয়েছে। দেশে মোট বনভূমি ২৫ শতাংশে উন্নীত করার নির্দেশনযা দিয়েছেন। সে অনুশাসন পালনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৫৯ টি বিভাগের অধীনে প্রায় ২ হাজার ৫শত কিমি দৈর্ঘ্যে মোট ১০ লক্ষ বৃক্ষ রোপণ করা হবে। আমরা আগামী ১১-১৪ আগস্ট এবং ২৭-৩০ আগস্ট দুই ধাপে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ সব জেলাসমূহে বৃক্ষরোপন কাজ তদারকি করবেন। প্রত্যেক এলাকার সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় প্রশাসন, সংবাদ মাধ্যমের সদস্য, সুশীল সমাজ,স্কাউটস এবং মুক্তিযোদ্ধাদের এই কর্মসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।এই কর্মসূচীর গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেনঃ একটি গাছ সারাজীবনে কমপক্ষে ২.৫ লক্ষ টাকার ভূমিক্ষয় রোধ করে। উপকূলীয় এলাকায় দেখা যায়, সকল দুর্যোগে যেখানে গাছ আছে সেখানে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়। বাঁধ টেকসই করতে বৃক্ষরোপনের কোন বিকল্প নেই। এর আগে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেনঃ নির্ধারিত ১৫-২০ দিনের মধ্যেই ১০ লক্ষ চারা রোপণের লক্ষ্য আমরা পূরণ করতে পারবো। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এই চারা রোপণ কর্মসূচী নেয়া হয়েছে। এই কর্মসূচী সফল করতে আমাদের তৃণমূল পর্যায়ে নির্দেশনা দেয়া আছে । এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব কবির বিন আনোয়ার বলেনঃ আমরা বন বিভাগের সাথে আলোচনা করে জেলা পর্যায়ে ভূ-প্রকৃতি, পরিবেশ প্রতিবেশ বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে নির্ধারিত প্রজাতির চারা রোপণ করবো। কারণ সব এলাকায় সব চারা বাঁচবে না। কাল থেকে শুরু হয়ে মাসব্যাপী চালু থাকবে আমাদের প্রোগ্রাম। ১১-১৪ আগস্ট এবং ২৭-৩০ আগস্ট এই দিনগুলো আমরা সকলকে সম্পৃক্ত করে উৎসবমুখর পরিবেশে কাজ করবো। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সি-ডাইকের উভয় ঢাল ও অফশোরে সবুজায়ন যোগ্য গাছের প্রজাতির মধ্যে রয়েছে-নারিকেল ,কেওড়া, গেওয়া, ঝাউ ইত্যাদি। বাপাউবোর বিভিন্ন রেগুলেটর সাইটে সবুজায়নযোগ্য গাছের প্রজাতি হচ্ছে- আম, জাম, কদম, বকুল, পলাশ, হাসনাহেনা, গন্ধরাজ, সোনালু, কৃষ্ণচুড়া, মান্দার ইত্যাদি। বাপাউবোর সেঁচ ও নিষ্কাশন খালের উভয় পাড়ে সবুজায়নযোগ্য গাছের প্রজাতির মধ্যে রয়েছে – তাল , নারিকেল ,সুপারি ও খেজুর। বাপাউবো কলোনীতে সবুজায়নযোগ্য গাছের মধ্যে রয়েছে- আম, কাঠাল, দেশি পেয়ারা, দেশি বরই, আমড়া ,আমলকি, নারিকেল, কদম, বকুল, পলাশ,গন্ধরাজ ইত্যাদি। বাপাউবো আওতাধীন জমিতে লাগানো হবে- জারুল, বাবলা, হিজল, শিশু ইত্যাদি। এছাড়া উপকূলীয় বাঁধের সবুজায়নে পুনিয়াল, বাবলা, গেওয়া,ঝাউ এবং ডুবন্ত বাঁধের উভয়দিকে টো লাইনের সবুজায়নযোগ্য হিজল ,জারুল, পিটালি, তমাল, বরুন ইত্যাদি গাছ লাগানো হবে। একুশে সংবাদ/ আসিফ/১০/০৮/২০২০
Link copied!